Ticker

6/recent/ticker-posts

ক্রাচের কর্নেল - শাহাদুজ্জামান

ক্রাচের কর্নেল - শাহাদুজ্জামান
ক্রাচের কর্নেল - শাহাদুজ্জামান
১৯৭৬ সালে বিশেষ সামরিক ট্রাইব্যুনালে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার লে. কর্নেল এম এ তাহের ও তাঁর সঙ্গীদের গোপন বিচার অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় গতকাল সোমবার প্রকাশিত হয়েছে। এতে তাহেরের মৃত্যুদণ্ডকে ঠান্ডা মাথার খুন হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
রায়ে বলা হয়, কর্নেল তাহেরের মৃত্যুদণ্ড হত্যাকাণ্ড। কারণ, ট্রাইব্যুনাল গঠনের অনেক আগেই জেনারেল জিয়াউর রহমান কর্নেল তাহেরকে মৃত্যুদণ্ড প্রদানে মনস্থির করেন। ওই হত্যাকাণ্ডকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হিসেবে চিত্রিত করতে সরকারের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেহেতু জেনারেল জিয়া জীবিত নেই, আইন অনুযায়ী তাঁর বিচার সম্ভব নয়। তাই দণ্ডবিধি অনুযায়ী তাঁর বিচার করার সুযোগ নেই। কিন্তু এ হত্যার জন্য দায়ী কেউ জীবিত থাকলে সরকারের উচিত হবে তাঁদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনা।
শাহাদুজ্জামান এই সময়ের একজন শক্তিশালী গদ্যকার হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছেন। তাঁর নিজস্ব পাঠকগোষ্ঠী আছে, সেই পাঠক ঋদ্ধ পাঠক। কর্নেল তাহের আমাদের সময়ের এক আলোচিত চরিত্র, যিনি ফাঁসির মঞ্চে উচ্চারণ করে গেছেন, নিঃশঙ্ক জীবনের চেয়ে জীবনের চেয়ে বড় কোনো সম্পদ নেই। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশী তরুণদের মধ্যে কর্নেল তাহের নিয়ে আলাদা একটি আগ্রহ আছে। আমাদের দেশে রাজনৈতিক চরিত্রনির্ভর উপন্যাসের স্বল্পতা, শাহাদুজ্জামানের লিখনশৈলীর ওপর আস্থা এবং কর্নেল তাহেরের মতো চরিত্র; সব মিলিয়ে 'ক্রাচের কর্নেল' বইটির জন্য প্রকাশের আগে থেকেই পাঠক মহলে বেশ সাড়া পড়েছিল। ২০০৯ সালের একুশে বইমেলার শেষদিকে উপন্যাসটি প্রকাশ করে মাওলা ব্রাদার্স। উপন্যাসটির নামটি যথাযথ, প্রচ্ছদ সুন্দর, কাগজ বাঁধাই এগুলোও ভালো। এই প্রজন্মের যাঁরা কর্নেল তাহেরকে নিয়ে কোনো লেখা আগে পড়েননি বা ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের ঘটনাবলি সম্পর্কে সম্যক ধারণা নেই, এই বইটি পড়ে তাঁরা কিছু ধারণা পেতে পারেন। ক্রাচের কর্নেল প্রচ্ছদ : ধ্রূব এষ প্রকাশক : মাওলা ব্রাদার্স