Ticker

6/recent/ticker-posts

রিচার্ড ডকিন্স এর দি গড ডিল্যুশন

রিচার্ড ডকিন্স এর দি গড ডিল্যুশন রিচার্ড ডকিন্স এর দি গড ডিল্যুশন
অনুবাদঃ কাজী মাহবুব হাসান

কার্ল সাগান তার ‘‘পেল ব্লু  ডট’’ এ লিখেছিলেন:

কেন এরকম হলো যে, প্রধান ধর্মগুলোর প্রায় কোনটাই বিজ্ঞানকে  অন্ততঃ  সামান্য  হলেও একটু বোঝার চেষ্টা করেছে এবং এই সিদ্ধান্তে  আসতে পেরেছে , “আমরা যা ভেবেছিলাম এটাতো তার  চেয়েও অনেক ভালো! এই মহাবিশ্বতো আমাদের নবীরা যা বলে গেছেন তার চেয়েও অনেক বিশাল, আরো সুক্ষ আর অভিজাত”; বরং বলেছে, “না, না, না! আমার ইশ্বর হলো ছোট ইশ্বর আর আমরা চাই সে সেভাবেই থাকুক” ;  কোন ধর্ম, নতুন কিংবা পুরাতন যাই হোক, যা কিনা আধুনিক বিজ্ঞানের মাধ্যমে  উন্মোচিত এই মহাবিশ্বের  অসাধারণত্বকে গুরুত্ব দিয়েছে, হয়তো চিরাচরিত বিশ্বাস যা পারেনি তার চেয়ে অনেক বেশী শ্রদ্ধার জন্ম দিতে পারতো।

কার্ল সাগান সব বইগুলোই আমাদের সর্ব্বোচ্চ বিস্ময়গুলোকে সরাসরি স্পর্শ করে, যার উপর গত শতাব্দীগুলোতে এক্চ্ছত্র দখল ছিল ধর্মগুলোর। আমার নিজের বইগুলো সেভাবে সবাইকে স্পর্শ করুক সেটা আমারো কাম্য। সম্ভবতঃ সে কারনে একজন গভীরভাবে ধার্মিক বলে আমাকে প্রায়ই বর্ণনা করা হয় বলে শুনেছি। একজন আমেরিকান ছাত্রী আমাকে লিখেছিল, তার এক অধ্যাপককে, আমার সম্বন্ধে কোন মতামত আছে কিনা জানতে চেয়েছিল। ‘অবশ্যই”, তিনি উত্তর দিয়েছিলেন“তার ইতিবাচক বিজ্ঞান ধর্মের সাথে সঙ্গতিপুর্ণ নয় ঠিকই, ‍কিন্তু, প্রকৃতি আর মহাবিশ্ব নিয়ে তিনি যেভাবে তিনি আবেগময় উচ্ছাস প্রকাশ করেন, আমার কাছে, সেটাইতো ধর্ম”’; কিন্তু ‘ধর্ম’ শব্দটা কি সঠিক এক্ষেত্রে ? আমি সেটা মনে করি না।  নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী (এবং একজন নীরিশ্বরবাদী) স্টীফেন ওয়াইনবার্গ ‍তার ‘‘ড্রিমস অব ফাইনাল থিওরী’’ অনেকের মতই এই প্রসঙ্গে লিখেছিলেন:

ঈশ্বর সম্বন্ধে কিছু মানুষের ধারনা এত ব্যপক আর নমনীয় যে, এটা অবশ্যম্ভাবী যে তারা যেদিকে খুজবে সেখানেই ইশ্বরকে খুজে পাবে। মাঝে মাঝে শোনা যায়, ‘ইশ্বরই চুড়ান্ত’ অথবা ‘ইশ্বর আমাদের ভালো অংশ’ বা ‘ইশ্বরই এই মহাজগত’; অবশ্যই, অন্য যে কোন শব্দের মতোই ইশ্বর শব্দটিকে আমরা আমাদের ইচ্ছামতন অর্থ করতে পারি। আপনি  যদি বলতে চান বলতে পারেন যে ‘ইশ্বরই শক্তি’, তাহলে আপনি ইশ্বরকে এক টুকরো কয়লার মধ্যে পেতে পারেন।

স্টীফেন ওয়াইনবার্গ ‍ অবশ্যই সঠিক, যদি ‘ইশ্বর’ শব্দটা আমরা পুরোপুরি অব্যবহারযোগ্য করে ফেলতে না চাই, তাহলে একে ব্যবহার করতে হবে ঠিক সেভাবে, যেভাবে বেশিরভাগ মানুষ সাধারণতঃ শব্দটা অর্থ করে: অর্থাৎএকজন অতিপ্রাকৃত সৃষ্টিকর্তাকে বোঝাতে, যিনি ‘আমাদের উপাসনার উপযুক্ত’।

Download and Comments/Join our Facebook Group

বইটির সম্পূর্ণ ডকুমেন্ট্রি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।