Ticker

6/recent/ticker-posts

স্বপনবুড়ো রচনাবলী

স্বপনবুড়ো রচনাবলী
স্বপনবুড়ো রচনাবলী

আজকের শিশু ও কিশােররা স্বপ্ন দেখতে হয়তাে ভুলে গেছে। আমরাই কেড়ে নিয়েছি ওদের স্বপ্ন। ব্যতিক্রম ছিলেন স্বপনবুড়ো। ‘স্বপনবুড়ো' নামটা আজকালকার ছেলেমেয়েদের কাছে খুব বেশী পরিচিত না হলেও শিও সাহিত্য জগতে তার লেখনীর জন্য তিনি অমর হয়ে আছেন। তাঁর আসল নাম অখিলবন্ধু নিয়ােগী। শিশু ও কিশােরদের জন্য নিবেদিত প্রাণ এরকম মানুষ যথার্থই বিরল। বাঙালী শিশুদের আনন্দযজ্ঞের পুরােহিত, তাদের উৎসবের নায়ক ও সহচর স্বপনবুড়াে ওরফে অখিল নিয়োগীর রচনাবলী বইয়ের হাটে আনতে পেরে আমরা গর্বিত। বাকি কাজটুকু আপনাদের। নিজে পড়বেন, এবং বাড়ির ছোটদের নিয়েও পড়বেন।

শিশু সাহিত্যিক, চিত্রশিল্পী, গীতিকার ও সম্পাদক অখিলবন্ধু নিয়োগী (স্বপনবুড়ো) (জন্মঃ- ২৫ অক্টোবর, ১৯০২ - মৃত্যুঃ- ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৩)
১৯৪৫ সাল থেকে যুগান্তর পত্রিকায় ‘ছোটদের পাততারি’ বিভাগের নিয়মিত লেখক এবং পরিচালক ছিলেন। সেই সূত্রেই ১৯৫৭-য় তৈরি করেন শিশুদের প্রতিষ্ঠান ‘সবপেয়েছির আসর’। তাঁর কথায়, এ হল ‘মানুষ গড়ার কারখানা’। তখন নাচ, গান, কবিতা, ব্রতচারী ইত্যাদি নানা আয়োজনে ভরা থাকত ছোটদের বিকেলগুলো। আসর বসত শোভাবাজার রাজবাড়িতে। পরে এর নানা শাখা কলকাতার গণ্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়ে ভারতের বিভিন্ন জায়গায়।
জন্ম - ময়মনসিংহ। পিতা-গোবিন্দচন্দ্র নিয়োগী প্রধান শিক্ষক ছিলেন। মাতা- ভবতারিণী দেবী।
শিক্ষা- স্কটিশচার্চ কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, সিটি কলেজ থেকে আই এস সি পাশ করে আর্ট কলেজে ভর্তি হন।
এই সময় ‘শিশুসাথী’ পত্রিকায় তাঁর ধারাবাহিক উপন্যাস ‘বেপরোয়া’ প্রকাশিত হয়।
১৯৫২ সালে ‘আন্তর্জাতিক শিশুরক্ষা সমতি’-এর আমন্ত্রনে ভিয়েনা যান। ফিরে এসে লেখেন ‘সাত সমুদ্র তের নদীর পারে’। তিনিই প্রথম নেতাজীর স্ত্রী ও কন্যার কথা এই বইতে লেখেন।