Ticker

6/recent/ticker-posts

মায়ামৃদঙ্গ - সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ

amarboi
সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ
মায়ামৃদঙ্গ

স্বপ্নময় চক্রবর্তীর হলদে গোলাপের অনেক আগেই সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ লিখে গেছেন মায়ামৃদঙ্গ। নিজের যুগের চেয়ে কতটা অগ্রসর হলে এমনটা লেখা যায়? ভাবলেই অবাক হতে হয়।
‘মায়ামৃদঙ্গ’ আলকাপ দলের সুখ-দুঃখ হাসি-কান্না নিয়েই নির্মিত, সাহিত্যিকদের মধ্যে অনেকেরই বোহেমিয়ান হওয়ার একটা প্রবণতা থাকে, মনে-মনে হলেও থাকে কেনো না লেখকজীবনের অভিজ্ঞতা তার লেখালেখিতে আনে বৈচিত্র্য-আনে বর্ণময়তা-আনে ভিন্ন সুর, সেই প্রেক্ষাপট স্মরণ রাখলে বাংলাসাহিত্যের একজন প্রবাদপ্রতীম সাহিত্যিক প্রকৃত অর্থেই ছিলেন বোহেমিয়ান, তিনি সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ। ‘মায়ামৃদঙ্গ’ একাধারে আত্মজৈবনিক এবং ডকুমেন্টারী উপন্যাস। সিরাজের ভাষায় ছয়/সাতটা বছর, সে এক লম্বা আশ্চর্য মায়াময় জীবন, সৌন্দর্য-পাপ বা অমৃত বিষ নির্দ্বিধায় আস্বাদন করতে-করতে নীলকন্ঠি হয়ে যাওয়া। ১৯৪৯ থেকে ১৯৫৬ পর্যন্ত আলকাপ দলের মাষ্টার ছিলেন তিনি, দল এবং দলের লোকজন এবং তার নিজেকে নিয়েই সময়টা কেটেছে, সবটুকুই মায়ামৃদঙ্গ উপন্যাসের বিষয়বস্তু। লোকনাট্য আলকাপের সঙ্গে সিরাজের ব্যক্তিজীবনের অভিজ্ঞতার কথা রয়েছে ‘মায়ামৃদঙ্গ’ উপন্যাসে, যার আখ্যান গড়ে উঠেছে দুই ছোকরা শান্তি এবং সুবর্ণ-কে ঘিরে। ‘মায়ামৃদঙ্গ’ উপন্যাসে ওস্তাদ ঝাঁকসা গাইয়ে হিসেবে প্রতীয়মান, শান্তিকে গান শিখিয়েছেন আদরে বিহলতায় গভীর নেশায় প্রত্যক্ষ করেছেন নিজের সৃষ্টিকে। সেই ওস্তাদকে নিঃস্ব করে শান্তি পালিয়ে যায়। ঝাঁকসা নিথর-পাথর হয় তারপর, সংসার সুখের হয়নি। সিরাজ প্রধানত ‘ মায়ামৃদঙ্গ’ উপন্যাসে সমকামী যৌনচেতনার দিকটিকে আলকাপ দলের শিল্পরীতির অনুষঙ্গে তুলে ধরতে প্রয়াসী হয়েছেন, চৌদ্দটি পরিচ্ছেদে বিন্যস্ত ‘মায়ামৃদঙ্গ’ আখ্যান গঠন-চরিত্র চিত্রন-দেশ কালের পরিচয় ও লেখকের জীবনদর্শনে এক অনবদ্য কাহিনীমালা হয়ে উঠেছে বলতেই হয়।

বই নিয়ে শুধুমাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, বই নিয়ে শুধু মাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, নতুন প্রজন্ম চকঝমকের আকর্ষণে বইয়ের দিক থেকে ঘুরিয়ে নিচ্ছে মুখ। আমাদের এ আয়োজন বইয়ের সাথে মানুষের সম্পর্ককে অনিঃশেষ ও অবিচ্ছিন্ন করে রাখা। আশাকরি আপনাদের সহযোগিতায় আমাদের এই ইচ্ছা আরোও দৃঢ় হবে। দুনিয়ার পাঠক এক হও! বাংলা বই বিশ্বের বিবিধ স্থানে, সকল বাংলাভাষীর কাছে সহজলভ্য হোক!