Ticker

6/recent/ticker-posts

Humayun Ahmed and Zafar Iqbal



দুই ভাইয়ের বাদশাহী আমল
বাংলা সাহিত্যে কিংবদন্তিতুল্য পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছেন হাতেগোনা যে কয়েকজন লেখক, হুমায়ূন আহমেদ তাঁদের মধ্যে অগ্রগণ্য। মুহম্মদ জাফর ইকবালও পাঠকপ্রিয় লেখকদের তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছেন। হুমায়ূন আহমেদের লেখক-জীবন বাংলাদেশের সমানবয়সী। তাঁর অনুজ মুহম্মদ জাফর ইকবালও লেখা শুরু করেন মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী বাংলাদেশে_অশ্রু-হাসিতে মেশানো এক বিপর্যস্ত প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে। এই লেখায় তাঁদের পাঠকপ্রিয়তার স্বরূপ এবং দুই ভাইয়ের পৌনঃপুনিক জনপ্রিয়তার শাসনামল সম্পর্কে একটা নাতিদীর্ঘ আলোচনা করা হলো

সাহিত্যে কাল নির্বিশেষে জনপ্রিয় লেখককে ঘিরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। একদল সমালোচক বেকনের সূত্র ধরে বলছেন, জনপ্রিয় কোনোকিছুই গুণগত মানোত্তীর্ণ হতে পারে না। কেননা, শ্রেষ্ঠবোধসম্পন্ন মানুষ মুষ্টিমেয়ই হয়। আবার অন্য পক্ষ সরব হয়ে ওঠে তখনই, হৃদয়স্পর্শী না হলে সাহিত্যে তার আবেদন তৈরি হয় না। অর্থাৎ, পাঠক-গ্রহণযোগ্যতাই লেখার মান নির্ধারণী প্রশ্নের চূড়ান্ত উত্তর।
হুমায়ূন আহমেদ মূলত ঔপন্যাসিক_এ কথাটি দিয়ে এই পর্ব শুরু করা যাক। প্রথমদিকে লেখা তাঁর 'নন্দিত নরকে' ও 'শঙ্খনীল কারাগার'_শ্রদ্ধাভাজনেষু আহমদ শরীফ, আহমদ ছফার মতো অনেকেরই মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল সেই সময়। বাংলা সাহিত্যে হুমায়ূন আহমেদের আগমন ঘটে বেশ বিনীতভাবে। বেদনামাখা নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের গল্প নিয়ে গভীর জীবনবোধদীপ্ত এই উপন্যাস দুটিকে নিষ্ঠুর সমালোচকদের কেউ কেউ উপন্যাস নয়, বরং বড়গল্প হিসেবে আখ্যায়িত করেন। ফর্ম এবং ফরম্যাটের বিতর্ক সাহিত্যের অধ্যাপকের নিজস্ব এলাকা। আমরা বরং এগিয়ে যাই। উপন্যাসে হুমায়ূন আহমেদ সঙ্গত কারণেই বৈচিত্র্য সন্ধানী হতে পেরেছেন। স্বভাবে অন্তর্মুখী এই লেখক প্রচুর পড়েন। লেখায় সেই ছাপ রয়ে যায়, যা সচেতন পাঠকের দৃষ্টি এড়ায় না। কিছুটা একরোখা-জেদি স্বভাব এবং গভীর বেদনাবোধ তাঁকে ক্রমেই আলাদা করে ফেলেছে। লেখক হুমায়ূন আহমেদের উত্থানপর্ব এবং স্থিতিকাল নিয়ে আমরা যদি মনোযোগী হই, তাহলে দেখব, হুমায়ূন আহমেদ তাঁর লেখার শুরু থেকেই তীক্ষ্নভাবে জীবনকে দেখেন। সরল করে বলেন। তুচ্ছ ঘটনাকে কীভাবে শিল্পীত করে উপস্থাপন করা যায় তা হুমায়ূন আহমেদ না পড়লে বোঝা যাবে না। লেখায় যে হিউমারের কথা বলা হয়, তীব্রভাবে হুমায়ূন আহমেদের লেখায় আমরা তা পাই। আশির দশক হুমায়ূন আহমেদের উত্থানকাল। ক্রমাগত লিখছেন। মানুষ পড়ছে। এই ছেলে ভোলানো কথাটা যারা বিশ্বাস করেন না, তাদের একজন হুমায়ূন আহমেদকে একবার জিজ্ঞেস করলেন_কেন মানুষ আপনার লেখা পড়তে শুরু করল? হুমায়ূন বললেন, সম্ভবত তারা নিজেদের সঙ্গে মিল খুঁজে পেতে শুরু করে। আরো জুড়ে দিলেন_একমাত্র টেলিভিশন, বিটিভিতে নাটক প্রচারের পর ক্রমাগত নাট্যকারের খ্যাতি হয়তো আমার লেখক-সত্তাকে প্রশংসিত করতে থাকে। হুমায়ূন আহমেদকে কখনো তাঁর পাঠকপ্রিয়তা নিয়ে বড়াই করতে আমরা দেখিনি। বড় লেখকের তা করার দরকার নেই। একজন লেখক হিসেবে হুমায়ূন কত বড় বা আদৌ বড় কি না, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। বড় লেখক মানুষকে জাগিয়ে তোলেন, বদলে দেন গভীরে। তাঁর লেখায় যুগ যুগ ধরে রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে থাকা বিশ্বাসকে ফুৎকারে উড়িয়ে দেওয়ার শক্তি থাকে। হুমায়ূন আহমেদের লেখায় অনুসন্ধান করলে আমরা মূলত পাই শহুরে জীবনের বয়ে চলার গল্প। লেখায় গ্রামীণ জীবনের কথা না থাকাটা গভীর বোধসম্পন্ন লেখা না হওয়ার প্রমাণ_এ কথায় যুক্তি দেখি না। শহরের গল্প তো আসলে মানুষেরই গল্প। শহরের মানুষটিকে খুঁজে বের করে এনে তাকে ক্রমেই ব্যবচ্ছেদ করে পাঠকের কাছে এনেছেন হুমায়ূন আহমেদই, সফলভাবে। শহরের জীবন, প্রেম এবং প্রেমহীনতা, মানুষের কৌতুকপ্রবণতা, জীবনকে হিসাবের ছকের বাইরে এনে প্রবলের দিকে নিয়ে যাওয়া_এই তো দেখেছি আমরা হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসে। মানব সম্পর্ককে ব্যাখ্যাতীত মেনে নিয়েই তার বিভিন্ন মাত্রা অনুধাবন করা যায়_এটাই সম্ভবত হুমায়ূন-সাহিত্যে অনুরণিত হতে থাকা মন্ত্রবাক্য।
ছোটগল্পে সম্ভবত হুমায়ূন সবচেয়ে মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন। তাঁর 'খাদক' কিংবা 'রূপা' কিংবা 'খেলা' বা 'সঙ্গিনী' গল্পগুলো সত্তর ও আশির দশক পেরিয়ে এসে নিরীক্ষাধর্মী বাংলা সাহিত্যের ছোটগল্পের ধারাকে আরো সুসংহত করেছে। বাংলাসাহিত্যের যে কোনো ধ্রুপদী গল্পের সমমানের এই গল্পগুলি,_এ কথা নিঃসন্দেহে এখন বলতে পারি।
বাংলাদেশ টেলিভিশনে তাঁর লেখা নাটক অসম্ভব দর্শকপ্রিয়তা লাভ করে একসময়। নাট্যকার হুমায়ূন আহমেদ লেখক হু-আকে বরণীয় করে তোলে অধিক সংখ্যক পাঠকের কাছে।
মিসির আলীর প্রসঙ্গে হুমায়ূন নিজেই বলছেন, শরদিন্দুর ব্যোমকেশের কথা মাথায় রেখে তিনি মিসির আলী চরিত্রটিকে ভাবতে শুরু করেন। মিসির আলী চৌকস কখনোই নয়। কিন্তু ধীশক্তিতে বলীয়ান, তীক্ষ্ন পর্যবেক্ষণ আর গভীর বিশ্লেষণ দিয়ে যুক্তির বাইরের পৃথিবীকে যে ছোট করে আনা যায়, মিসির আলী তারই প্রমাণ। বাংলাদেশের পাঠক মিসির আলীকে গ্রহণ করেছে।
হিমু নিরাসক্ত কিংবা তীব্র আসক্তিতে বিভোর। বাংলা সাহিত্যে কমলাকান্তের দপ্তর আফিমখোরের মনের যে কথাগুলো শুনিয়েছিল, হালের বাংলাদেশে হিমু সেই তুমুল নিস্পৃহ সত্তার প্রতিচ্ছবি; এবং একই সঙ্গে হুমায়ূন আহমেদীয় বোধসম্পন্ন এক নাগরিক ভবঘুরে। হয়তো সে ছায়াকাঙাল নয়, কিন্তু বৃক্ষের জন্য গভীরে তার রোদন আছে। আগাগোড়া প্রেমিক সে সত্যিই_হয়তো প্রথাগত অর্থে নয়। যা করা হয়নি, অথচ করা যায়_মন চেয়েছে_যা মেকি নয়, ফাঁকি নয়, সুসংহত ভদ্রলোকের সমাজ যাকে মেনে নেয়নি, নেবেও না, হিমু সেই যাচ্ছেতাই করতে পারা বেপরোয়া যুবক। হিমু হুমায়ূন আহমেদের হাত দিয়ে আমাদের মানবিক অক্ষমতাগুলো কাটিয়ে ওঠা এক অসামান্য চরিত্র। ওই চরিত্রটিকে ক্রমেই পাঠক ভালোবেসে গ্রহণ করেছে। আদরণীয় হয়েছেন লেখক। শুদ্ধমানব শুভ্র কিংবা অধরা প্রেমিকা রূপা তরুণ পাঠক সমাজকে সাহিত্যের নতুন মাত্রার সঙ্গে পরিচিত করেছে।
সায়েন্স ফিকশনকেও এ দেশে শুরুতে জনপ্রিয় করে তোলায় ভূমিকা রাখেন হুমায়ূন আহমেদই। 'তোমাদের জন্য ভালোবাসা' বা 'ফিহা সমীকরণ', 'অনন্ত নক্ষত্রবীথি' গভীর মমতা নিয়ে পড়েছে এ দেশের পাঠক। 'ওমেগা পয়েন্ট'-এ এসে হুমায়ূন আহমেদ দেখিয়ে দেন বুদ্ধিবৃত্তিক ভালোবাসা বোধ সভ্যতাকে গভীরে কী ঋদ্ধই না করে তোলে।
সায়েন্স ফিকশনের সূত্র ধরে আমরা মুহম্মদ জাফর ইকবালের প্রসঙ্গ এখানে উত্থাপন করতে পারি। মুহম্মদ জাফর ইকবাল কপোট্রনিক সুখ-দুঃখ লিখে যাত্রা শুরু করেন। আহমদ ছফা একবার বিচিত্রায় ছাপা হওয়া এক গল্পের প্রশংসা করে এক টাকা উপহার দেন তাঁকে এবং ম-এ হ্রস্ব উ-কার দিয়ে মুহম্মদ লেখার পরামর্শ দিলে জাফর ইকবাল তা গ্রহণও করেন। এ কথা তিনিই বলেছেন তাঁর এক লেখায়।
পাঠক লক্ষ্য করুন, আহমদ ছফা শুরুর দিনগুলোতে মুহম্মদ জাফর ইকবালকে সম্ভাবনাময় হিসেবেই পেয়েছিলেন।
মুহম্মদ জাফর ইকবাল বাংলাদেশের আরেকজন তুমুল জনপ্রিয় লেখক। দুই ভাই দুই ভুবনের বা দুই ভূখণ্ডের শাসক। একজন শিশু-কিশোর সাহিত্যে, অন্যজন সমগ্র কথাসাহিত্যে জনপ্রিয়তার একচ্ছত্র অধিপতি। শাসন করে আসছেন দীর্ঘ বিশ-বাইশ বছর যাবৎ, এ যেন বাদশাহী আমলের সহদর বাদশা। সাহসী এবং নিরাসক্ত শিক্ষক হিসেবে মুহম্মদ জাফর ইকবালের জাতির সামনে স্পষ্ট একটি রূপ রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধকে ঘিরে দায়িত্বশীল কর্মকাণ্ড, জাতিগঠনমূলক বক্তৃতার পরিবর্তে কর্মসূচি সম্পন্নকরণ দেশবাসীর কাছে তাঁকে করে তুলেছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব। এটাও তাঁর লেখক সত্তার পাঠকপ্রিয়তার পেছনে ভূমিকা রেখেছে।
সায়েন্স ফিকশনকে তিনিই প্রকৃতপক্ষে পূর্ণতা এনে দেন। গল্পের বর্ণনারীতিতে বা কাঠামোগত কৌশলেই শুধু নয়, তীব্র বোধসম্পন্ন সায়েন্স ফিকশন লেখার মাধ্যমে তিনি জাগিয়ে তুলেছেন পৃথিবীর প্রতি, জন্মভূমির প্রতি মানুষের মমতা-ভালোবাসা।
মুহম্মদ জাফর ইকবাল 'ছেলেমানুষি' বা 'একজন দুর্বল মানুষ'-এর মতো মর্মস্পর্শী ছোটগল্পও আমাদের উপহার দিয়েছেন। আমরা বলতে পারি সিস্টেম এডিফাসের মতো বুদ্ধিদীপ্ত গল্প কাঠামোর প্রসঙ্গ। মুহম্মদ জাফর ইকবাল, সবার ওপরে, কিশোরদের জন্য লেখক। বাংলা সাহিত্যে 'দীপু নাম্বার টু' বা 'আমার বন্ধু রাশেদ' আর দ্বিতীয়টি নেই। বাংলাদেশে 'দুষ্টু ছেলের দল' বা 'বকুলাপ্পু'র মতো লেখা তাঁর হাত ধরেই গ্রহণীয় হয়ে ওঠে। কিশোর উপন্যাসই জাফর ইকবালকে তুমুলভাবে পাঠকপ্রিয় করে তুলেছে। মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, আমি শিশুদের জন্য লিখি। কারণ, শিশুরা বই পড়ে; শুধু সমালোচনাটি নয়।
মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং হুমায়ূন আহমেদ বাংলাদেশে পাঠক মনন গড়নে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছেন। অন্যদেরও যথেষ্ট অর্থবহ অবদান রয়েছে এবং তা স্বীকার করতেই হবে। তবে একই পরিবারের এই দুই ভাই দু'জনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানের ছাত্র, দু'জনেরই সাহিত্যের প্রতি আনুগত্য রয়েছে_দু'জনই হাতেগোনা সামান্য ক'জন সাহসী লেখকের মধ্যে অন্যতম। এই দু'জনের রাজনৈতিক মুকুট নেই, মুক্তিযুদ্ধ তাঁদের কারো কাছে অব্যর্থ মনোরঞ্জনমূলক পণ্য নয়; ভাষা এবং দেশের প্রতি মমতা, জীবনকে দেখে সরলে-সবলে বলে যাওয়ার ক্ষমতা এই ভ্রাতৃযুগলকে করেছে পাঠককুলের হৃদয়বেদিতে আসীন। মাঝে মাঝে মনে হয় জনপ্রিয়তার বাদশা না বলে রাজপুত্র বলি, তা হলে ক্ষমতা হারানোর ভয় নেই। কারণ রাজপুত্রের তিলক মোছা যায় না, বাদশার বাদশাহী আমলের শেষ আছে। দেশে ফিরে এসে মুহম্মদ জাফর ইকবাল সিলেটে শাহ্জালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করার পর একদিন এক মধ্যবয়সী লোক তাঁর কাছে এলেন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে। বয়স্ক ভদ্রলোক তাঁকে নাটকীয়ভাবে জিজ্ঞেস করলেন_
: আপনার সম্পর্কে যা শুনি, তা কি সঠিক?
মুহম্মদ জাফর ইকবাল জিজ্ঞেস করলেন_
: কী শোনেন?
: বলুন না, যা শুনি, ঠিক কি না?
আচ্ছা, আপনি কি ফয়েজুর আহমেদের সন্তান?
: হ্যাঁ
: তাহলে তো ঠিকই শুনি!
: কী শোনেন?
: আপনি তাহলে হুমায়ূনের ভাই?
মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন : হ্যাঁ।
ভদ্রলোকের কাতর অনুরোধ : জনাব, আপনার হাতটা কি আমি একটু ধরতে পারি?
মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেছেন, সেই ভদ্রলোক, হুমায়ূন আহমেদের আপন ভাইয়ের হাত ধরে কিছুক্ষণ বসে রইলেন। এ অংশটি মুগ্ধতার। সব লেখকই পাঠকপ্রিয়তা পান না। আমরা মনে করি না, শুধু পাঠকপ্রিয়তাই লেখককে বড় করে। তবে এই চরম সত্য উদাসীনভাবে অগ্রাহ্যও করি না যে, বড় লেখক মাত্রই পাঠকপ্রিয়_শুধু তা আগামীকাল বা পরশুর বিবেচ্য বিষয়। চার্লস ডিকেন্স থেকে জন স্টেইনবেক কিংবা রবীন্দ্রনাথ থেকে জীবনানন্দ দাশ_কে পাঠকপ্রিয় নন?
বাংলাদেশের পাঠকের রুচি গঠন এবং মনন বিকাশে ওই দুই সহোদরের ভূমিকা রয়েছে সুগভীরে। দেশীয় প্রকাশনা শিল্পকে অর্থনীতির মাপকাঠিতে আনলে এই দুই লেখককে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ রাখবে দীর্ঘকাল।
সমাজকে গ্রন্থমুখী করে আনা, বই-ই বন্ধু চেতনায় এ বিশ্বাস প্রোথিত করে দেওয়া_তুচ্ছ নয় মোটেও। হুমায়ূন আহমেদ প্রায়ই বলেন, 'আমি আমার আনন্দের জন্য লিখি।' কী ভয়াবহ এবং প্রবল সত্য এই কথন। জীবনে আনন্দের জন্য বাঁচতে চাওয়া, বেঁচে থাকায় আনন্দ পাওয়া_উপলব্ধি এই মহৎ বাণী বহুমাত্রিক করে তোলে, আশাবাদী করে। বাংলা সাহিত্য তাই ওই যুগলের কাছে ঋণী। যুগ যুগ ধরে এঁদের বাদশাহী আমল অটুট থাকুক। জয়তু হুমায়ূন, জয়তু জাফর ইকবাল।

Post a Comment

0 Comments