কিছুক্ষণ বসে নিচু গলায় কথা বলেন দুজন। তারপর কী মনে করে উঠে দাঁড়ান। ফরসামতো তরুণটি বলেন, ‘জাফর ভাই তো এলেন না, আর কতক্ষণ অপেক্ষা করব?’ সিকান্দার আবু জাফর বিখ্যাত সাংবাদিক। তাঁর ওপর আবার সমকালের মতো খ্যাতিমান সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক। আবার ব্যবসার দিকেও নাকি নজর দিয়েছেন বলে গুজব শোনা যায়। তাঁর সম্পর্কে সুস্পষ্ট আর পুরোপুরি ধারণা তখনো আমার ঠিকমতো হয়ে ওঠেনি। তাই তরুণ দুজনের দিকে মুখ তুলে বলি, ‘কোনো কাজে বোধ হয় আটকে পড়ছেন কোথাও—আপনারা কেন এসেছেন তাঁর কাছে?’
‘না এমনি, দেখা করতে—তা আজ যখন দেখা হলো না তাহলে কাল টেলিফোনে যোগাযোগ করব।’
দ্বিতীয় তরুণটির কথায় প্রথমজন মাথা নাড়িয়ে বলে ওঠে, ‘না না, টেলিফোনে কথা নয়—আমরা আগামীকাল আবার আসব। বলবেন, আমার লেখা গল্পটা কবে ছাপানো হবে তা জানতে এসেছিলাম, আমার নাম আখতারুজ্জামান ইলিয়াস।’ (সূত্রঃ প্রথম আলো)

"আমি ট্রেনের ভেতর ঘুরতে শুরু করলাম। ট্রেনে এপাশ থেকে ওপাশ পর্যন্ত যাওয়া যায়। নতুন চীনের লোকের চেহারা দেখতে চাই। 'আফিং' খাওয়া জাত যেন হঠাৎ ঘুম থেকে জেগে উঠেছে। 'আফিং' এখন আর কেউ খায় না, আর ঝিমিয়েও পড়ে না। মনে হলো, এ এক নতুন দেশ, নতুন মানুষ। এদের মনে আশা এসেছে, হতাশা আর নেই। তারা আজ স্বাধীন হয়েছে, দেশের সব কিছুই আজ জনগণের। ভাবলাম, তিন বছরের মধ্যে এত বড় আলোড়ন এরা কী করে করল!" (সূত্রঃ অসমাপ্ত আত্মজীবনী - শেখ মুজিবুর রহমান)
1 Comments