Ticker

6/recent/ticker-posts

হিন্দি গল্প সংকলন

হিন্দি গল্প সংকলন
হিন্দি গল্প সংকলন
সংকলন ও সম্পাদনা ভীষ্ম সাহনি
অনবাদ সুবিমল বসাক

গল্প লেখা এমন একটা সচেতন প্রক্রিয়া নয় যে, লেখক সচেতন ভাবে তার সময় বােধকে পাঠকের কাছে পৌঁছে দেবার জন্য গল্পকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে। গল্প এভাবে ভাবনা-চিন্তা করে লেখা হয় না। গল্প লেখকের সংবেদনই মূলত তার দিক নির্দেশ করে, তত্ত্ব অথবা কোনাে দৃঢ় প্রত্যয় নয়। গল্পের ফর্মও আমার মত আলাদা কোনাে ব্যাপার নয় - যা মােড়ক বা পােশাকের মতাে ব্যবহার করা যায়, কিংবা যা শুধু প্রয়ােগের জন্য প্রয়ােগ করা চলে। লেখকের মনে উদ্ভূত আবেগ অভিব্যক্তির রূপ নিয়ে হাজির হয়। এই ভাবে আঙ্গিক এবং বিষয় একাকার হয়ে পড়ে। ব্যাপারটা এমন নয় যে, প্রথমে আবেগ জন্ম নেয়, তারপর ঐ আবেগকে রূপ দেবার জন্য লেখক ঠাণ্ডা মাথায় গল্পের কোনাে ফ্রেম বেছে নেন, যাতে তিনি নিজের বক্তব্য ফিট করতে পারেন। যেভাবে কবির কাছে কবিতার পঙক্তি আসে ভাব, ব্যঞ্জনা, শব্দ, ছন্দ নিয়ে যেমন বাক্য থেকেই অভিব্যক্তির স্বরূপে গড়িয়ে যায় তেমনি গল্প ও অভিব্যক্তি পথ বেয়ে নিজেকে গড়তে গড়তে এগিয়ে চলে। তাই বলে তাতে লেখকের বিচার, লজিক, মূল্যবােধ অথবা গল্পের কাঠামাের গুরুত্ব কমে যায় না। লেখকের সংবেদনে মিশে গিয়ে যা তার অভিন্ন সত্ত্বা হয়ে প্রকাশিত, সে সবেরই গুরুত্ব আছে।
লেখকের সংবেদন পরিশীলিত রূপে তার পরিবেশকে গ্রহণ করে, সে তাতেই বেঁচে থাকে তাতেই নিঃশ্বাস প্রশ্বাস গ্রহণ করে। এই জন্য কোনাে বিশেষ সময় খণ্ডে লিখিত রচনায় সেই সময় ও পরিবেশের ছাপ পাওয়া যায়, দেশ স্বাধীনতার পূর্বেকার গল্প এবং কুড়ি পঁচিশ বছর পরের গল্পে অবধারিত ভাবে এই দৃষ্টিভঙ্গিতে তফাৎ পাওয়া যায়। গল্প ধারায় এ ধরনের কোনাে মাইলস্টোন থাকে না, যাতে আমরা বলতে পারি অমুক ঘটনার পর গল্প তার আঙ্গিক ও বিষয়বস্তু পালটে ফেলেছে, পরম্পরাগত মূল্যবােধ এবং বিশ্বাস সহসা শিথিল হয়ে গেছে। এমন কিছু হয় না। লেখক যতই ঐতিহ্যকে অস্বীকার করুন না কেন, তা কোনাে না কোনাে ভাবে টিকে থাকে এবং আমাদের পরিবর্তিত পরিবেশে তা মিশে থাকে। কিন্তু পরিবর্তিত সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার প্রভাবেও শিথিলতা নেমে আসে। তখন এক নতুন দৃষ্টি, নতুন কিছু গ্রহণের প্রবণতা দেখা যেতে থাকে।


বই নিয়ে শুধুমাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, বই নিয়ে শুধু মাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, নতুন প্রজন্ম চকঝমকের আকর্ষণে বইয়ের দিক থেকে ঘুরিয়ে নিচ্ছে মুখ। আমাদের এ আয়োজন বইয়ের সাথে মানুষের সম্পর্ককে অনিঃশেষ ও অবিচ্ছিন্ন করে রাখা। আশাকরি আপনাদের সহযোগিতায় আমাদের এই ইচ্ছা আরোও দৃঢ় হবে। দুনিয়ার পাঠক এক হও! বাংলা বই বিশ্বের বিবিধ স্থানে, সকল বাংলাভাষীর কাছে সহজলভ্য হোক!