tag:blogger.com,1999:blog-91602574173541950102024-03-17T23:02:08.618-04:00Amarboi.comWelcome to our Bengali book website, where you'll find a wide selection of literature from the Bengali language and culture. Whether you're a lover of Bengali novels, poetry, children's books, or any other type of literature, you'll find something to enjoy here.
We offer a wide range of Bengali ebooks and physical books, including popular novels, biographies, self-help books, and more. We also have a selection of educational books, including textbooks and study guides, as well as books on BengaUnknownnoreply@blogger.comBlogger3623125tag:blogger.com,1999:blog-9160257417354195010.post-30013067744117389202024-03-09T20:50:00.000-05:002024-03-09T20:50:26.304-05:00ঢাকা পুরাণ - মীজানুর রহমান<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi-MLQYETaCi5c5wfnqGe8PhXSRVTH9loW9oGfl25fnTvoimLH8acILdduMQJIaSe3GT-IFlE0CIdf4rmM6UyQy9qA0BfPWIy20VbSSPiak2YFVSj-lKMNYFdEehOiSK66szST2wEEca7Tv/s800/cover%2520%25281%2529.jpg" rel="lytebox" "nofollow" style="clear: left; float: left; margin-bottom: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="Dhaka Puran by Mizanur Rahman" height="400" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi-MLQYETaCi5c5wfnqGe8PhXSRVTH9loW9oGfl25fnTvoimLH8acILdduMQJIaSe3GT-IFlE0CIdf4rmM6UyQy9qA0BfPWIy20VbSSPiak2YFVSj-lKMNYFdEehOiSK66szST2wEEca7Tv/s400/cover%2520%25281%2529.jpg" width="300" /></a>ঢাকা পুরাণ - মীজানুর রহমান<br />
কেমন ছিল আজকের এই দুঃসহ ঢাকা নগর? মীজানুর রহমান তাঁর স্মৃতি ঘেঁটে তুলে এনেছেন সেই ছবি। বিশেষত, পুরান ঢাকা আর তার বাসিন্দাদের কথা বিবৃত করেছেন ঝরঝরে ভাষায়। ঢাকা কীভাবে ধীরে ধীরে তাঁর চোখের সামনে বদলে যাচ্ছে, তার চমৎকার বিবরণ দিয়েছেন। যে অঞ্চলের কথাই বলেছেন, সে অঞ্চলের ইতিহাস, ঐতিহ্য, নামকরণ আর বর্তমানের নানা প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন। স্বাদু গদ্য আর অসামান্য রসবোধের গুণে ঢাকা পুরাণ হয়ে উঠেছে এক অনন্য গ্রন্থ।<br />
<script async src="//pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js"></script><br />
<!-- Text add next to link --><br />
<ins class="adsbygoogle"
style="display:block"
data-ad-client="ca-pub-3929163608620072"
data-ad-slot="7220893010"
data-ad-format="auto"></ins><br />
<script>
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
</script><br />
<a href="https://drive.google.com/file/d/0B56QlKpaAg9fTmYtZEtRaDFTUUU/view?usp=sharing&resourcekey=0-YEWz3uXweyMUTdkZbutJ3Q" rel="nofollow" onclick="window.open(this.href, '', 'resizable=no,status=no,location=no,toolbar=no,menubar=no,fullscreen=no,scrollbars=no,dependent=no,width=800,height=1000'); return false;">পড়ুন / Read</a> <br />
Dhaka Puran by Mizanur Rahman in pdf<div class="blogger-post-footer">দুনিয়ার পাঠক এক হও! আমাদের বই পড়া ও আলোচনার গ্রুপের ঠিকানা boierhut.com/fb</div>Unknownnoreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-9160257417354195010.post-68237163506375670312024-03-07T08:57:00.000-05:002024-03-07T08:57:57.767-05:00শুভব্রত ও তার সম্পর্কিত সুসমাচার - হুমায়ূন আজাদ<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEicrYi4CsK-865lS0wwFOmLsFO6PNMm3w1dgKhfP21aHgKPf1OpG7r2_bXPVd7-9CLW2eeteB5XDr9SrGYGDbddYeqfDm5Pn2VHTNY2hQoLn-Z__6a69S_YROkgP0-TTfbhRTXtZybiZuo/s400/Shubhabrata%2520Tar%2520Shamparkita%2520Shushamachar%2520-%2520Humayun%2520Azad.jpg" rel="lytebox" "nofollow" style="clear: left; float: left; margin-bottom: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="শুভব্রত ও তার সম্পর্কিত সুসমাচার - হুমায়ূন আজাদ" height="400" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEicrYi4CsK-865lS0wwFOmLsFO6PNMm3w1dgKhfP21aHgKPf1OpG7r2_bXPVd7-9CLW2eeteB5XDr9SrGYGDbddYeqfDm5Pn2VHTNY2hQoLn-Z__6a69S_YROkgP0-TTfbhRTXtZybiZuo/s400/Shubhabrata%2520Tar%2520Shamparkita%2520Shushamachar%2520-%2520Humayun%2520Azad.jpg" width="300" /></a>হুমায়ূন আজাদ তিনি যে কি প্রতিভাবান এবং বুদ্ধিদিপ্ত লেখক এটি তার শুভব্রত ও তার সম্পর্কিত সুসমাচার না পড়লে বোঝা যাবেনা৷ যারা মন্তব্য করেছেন এবং করবেন তাদের সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।<br />
<script async src="//pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js"></script><br />
<!-- Text add next to link --><br />
<ins class="adsbygoogle"
style="display:block"
data-ad-client="ca-pub-3929163608620072"
data-ad-slot="7220893010"
data-ad-format="auto"></ins><br />
<script>
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
</script><br />
<a href="https://drive.google.com/file/d/1FfU6K1U1eh000_rh2uqiVjNt2JXsfxga/view?usp=sharing" onclick="window.open(this.href, '', 'resizable=no,status=no,location=no,toolbar=no,menubar=no,fullscreen=no,scrollbars=no,dependent=no,width=800,height=1000'); return false;">Download</a><br />
<br />
Shubhabrata O Tar Shomporkito Sushamachar - Humayun Azad<div class="blogger-post-footer">দুনিয়ার পাঠক এক হও! আমাদের বই পড়া ও আলোচনার গ্রুপের ঠিকানা boierhut.com/fb</div>Unknownnoreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-9160257417354195010.post-12052434465758445222024-03-07T08:53:00.000-05:002024-03-07T08:53:12.266-05:00কতো নদী সরোবর বা বাংলা ভাষার জীবনী - হুমায়ুন আজাদ<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhSxWCoWMbnvD18r7YGBxwBaCohyqSjrWkUml5xIMIDQGGB6Axol_fo20ngdeOBp-wUCqlxodOtGjQFU6wDwN6jL4IY4464cNyFyKcHBkEujBdoeYGLyDswJBMyyZL4bw7Hg2sKZ5EpkflT/s800/bhb9ip7ocdffyk4.jpg" rel="lytebox" "nofollow" style="clear: left; float: left; margin-bottom: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="Kato Nadi Sharobar Ba Bangla Bhashar Jiboni - So Many Rivers and Lakes or A Biography of the Bengali Language by Humayun Azad" height="400" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhSxWCoWMbnvD18r7YGBxwBaCohyqSjrWkUml5xIMIDQGGB6Axol_fo20ngdeOBp-wUCqlxodOtGjQFU6wDwN6jL4IY4464cNyFyKcHBkEujBdoeYGLyDswJBMyyZL4bw7Hg2sKZ5EpkflT/s400/bhb9ip7ocdffyk4.jpg" width="300" /></a> কতো নদী সরোবর বা বাংলা ভাষার জীবনী - হুমায়ুন আজাদ।<br />
কোথা থেকে এসেছে আমাদের বাংলা ভাষা? ভাষা কি জন্ম নেয় মানুষের মতো? বা যেমন বীজ থেকে গাছ জন্মে তেমনভাবে জন্ম নেয় ভাষা? না, ভাষা মানুষ বা তরুর মতো জন্ম নেয় না। বাংলা ভাষাও মানুষ বা তরুর মতো জন্ম নেয়নি, কোনো কল্পিত স্বর্গ থেকেও আসেনি। এখন আমরা যে বাংলা ভাষা বলি এক হাজার বছর আগে তা ঠিক এমন ছিল না। সে ভাষায় এ দেশের মানুষ কথা বলত, গান গাইত, কবিতা বানাত। মানুষের মুখে মুখে বদলে যায় ভাষার ধ্বনি। রূপ বদলে যায় শব্দের, বদল ঘটে অর্থের। অনেক দিন কেটে গেলে মনে হয় ভাষাটি একটি নতুন ভাষা হয়ে উঠেছে। আর সে ভাষার বদল ঘটেই জন্ম হয়েছে বাংলা ভাষার। আরো পড়তে আজই সংগ্রহ করুন, হুমায়ূন আজাদের “কতো নদী সরোবর বা বাংলা ভাষার জীবনী”। বইটিতে সূচীপত্রে হাইপারলিঙ্ক করা আছে। ক্লিক করলেই কাংক্ষিত পাতায় চলে যেতে পারবেন। বইটি কেমন লাগলো আশা করি জানাবেন। <br />
<script async src="//pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js"></script><br />
<!-- Text add next to link --><br />
<ins class="adsbygoogle"
style="display:block"
data-ad-client="ca-pub-3929163608620072"
data-ad-slot="7220893010"
data-ad-format="auto"></ins><br />
<script>
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
</script><br />
<a href="https://drive.google.com/file/d/1plmVGgZvGb7VeXXECt5QQaBin_uec8xc/view?usp=sharing" rel="nofollow" onclick="window.open(this.href, '', 'resizable=no,status=no,location=no,toolbar=no,menubar=no,fullscreen=no,scrollbars=no,dependent=no,width=800,height=1000'); return false;"><b>Download</b></a> and <a href="https://www.facebook.com/groups/boierhut/" rel="nofollow" target="blank"><b>Join our Facebook Group</b></a> <br />
Kato Nadi Sharobar Ba Bangla Bhashar Jiboni - So Many Rivers and Lakes or A Biography of the Bengali Language by Humayun Azad<br />
<div class="blogger-post-footer">দুনিয়ার পাঠক এক হও! আমাদের বই পড়া ও আলোচনার গ্রুপের ঠিকানা boierhut.com/fb</div>Unknownnoreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-9160257417354195010.post-67455742823623842112024-03-07T08:30:00.000-05:002024-03-07T08:30:33.717-05:00মার্জিনে মন্তব্য - সৈয়দ শামসুল হক<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><img alt="মার্জিনে মন্তব্য - সৈয়দ শামসুল হক" height="400" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhiD1gsGD-ftPILhgGQwfFZJ7PVLFJBlNgCFSrDwImJpDE8-Y7JAJOVAGfQWx7-xT9Kn3BOqkGz95W7XyHgjvukW8WGK0-pSQrLWnP4e2o8Yn_xMKuocw5if_oBhqkaQQjgE7tPGzVepK9K/s800/001.jpg" width="300" /></div><div style="text-align: left;"><span style="font-family: "solaimanlipi"; font-size: 12pt;"><br />
মার্জিনে মন্তব্য - সৈয়দ শামসুল হক<br />
আমার দীর্ঘদিনের চিত্রকর বন্ধু কাইয়ুম চৌধুরী একবার একটি কথা বলেছিলেন – আমরা মিস্তিরি মানুষ; এ বাড়িতে পোষালো না, র্যাঁদা – করাত – বাটালি চটের থলেতে পুরে আরেক গেরস্তের বাড়ি যাবো। কাইয়ুম আর আমি একসঙ্গে বহু পত্রপত্রিকা আর প্রকাশকের বাড়িতে কাজ করেছি; কাজ নিয়ে একবার একজনের সঙ্গে খটাখটি লাগলে, আমি মন খারাপ করলে, ঐ কথাটি তিনি বলেছিলেন।<br />
সত্যি বৈকি – খাঁটি সত্যি কথা।<br />
শিল্পের গাড়ি নিছক প্রেরণার চাকায় চলে না। তিনি গায়ক হোন, লেখক হোন কি চিত্রকর, তাঁর ভেতরে নিদ্রাহীন দুই পুরুষ – প্রতিভাবান শিল্পী আর নিপুণ মিস্তিরি। মিস্তিরির দিকটা বুদ্ধি নির্ভর, আর শিল্পীর দিক দৃষ্টি নির্ভর। দৃষ্টি আর বুদ্ধি, এ দু’য়ের রসায়নে হয় একটি ছবির জন্ম, কি একটি কবিতার। দৃষ্টি দিয়ে যা আয়ত্ব করলাম বুদ্ধি দিয়ে তা পৌঁছে দিলাম। অধিকাংশ শিল্পচেষ্টাই যে শেষপর্যন্ত পৌঁছোয় না তার পিছনে আমি মনে করি, ঐ মিস্তিরির অভাব।<br />
একটি উপমা আমি প্রায়ই দিয়ে থাকি – চেয়ারের চারটে পা যদি মেঝেতে ঠিকমতো না-ই বসলো তো সে চেয়ার দেখতে যতই মনোহর হোক আমার তাতে কাজ নেই। চেয়ার বসবার জন্যে। মেঝের উপর জুত্ মতো সেটি বসতে হবে, তার পা চারটে স্থির মতো থাকতে হবে, কোথাও এতটুকু টলমল করবে না – তবে সে চেয়ারে আমি বসবো। বসে তারপর দেখব আসন কতটা আরামদায়ক, পিঠ কতটা সুখপ্রদ। সে সব হলো তো দেখব চেয়ারটির নকশা কেমন, পালিশ কেমন, সবশেষে যাচাই করব টেকসই কতদূর। তবেই সে চেয়ার হবে আমার চেয়ার।<br />
লেখা সম্পর্কেও আমার একই দাবী। লেখাটি মিস্তিরির হাতে ঐ চেয়ারের মতো পাকাপোক্ত হতে হবে। কবিতা হলে ছন্দের নির্ভুল ব্যবহার আমি দেখতে চাই; ছন্দ নির্ভুল তো আমি দেখব কবিতার অন্তর্নিহিত যে যুক্তির সিঁড়ি সেটি আছে কি না; থাকলে সে সিঁড়ি কতটা মজবুত। তারপর দেখব কবিতায় বলবার কথাটি জ্যামিতিক সম্পূর্ণতা পেয়েছে কিনা। এই জ্যামিতিক সম্পূর্ণতা বলতে বুঝাতে চাচ্ছি ত্রিভুজ কিংবা বৃত্ত অথবা আয়তক্ষেত্রের বা বর্গক্ষেত্রের তৃপ্তিকর একটি নির্মাণ। ছোট্ট করে এখানে বলে নিতে পারি যে, দৃষ্টিগ্রাহ্য উপমা ছাড়া মানুষ যে কিছুই আলিঙ্গন করতে পারে না, মানুষের এ এক অলঙ্ঘ্য সীমাবদ্ধতা। আর তাই আমার কল্পনায় মানুষের যে কোন সৃষ্টিশীল উচ্চারণ হয় বৃত্ত অথবা আয়তক্ষেত্র কিংবা ত্রিভুজ বা বর্গক্ষেত্রের সঙ্গে তুলনীয়।<br />
কবিতায় মিস্তিরির হাত চৌকষ দেখতে পেলে আমি কবিতাটি কবিতা কিনা বিচার করতে বসবো। বলতে হবে না, মিস্তিরির কাজটুকু কবিতা নয়। আগে যে দৃষ্টির কথা বলেছিলাম, শিল্পীর সেই দৃষ্টিই রচনাটিকে এবার হয় কবিতা করে তুলবে অথবা তুলবে না। যদি না তোলে তো বড়জোর সাময়িক পত্রের একাংশ পূরণ করবার যোগ্যতা স্বীকার করে নেব মাত্র; আর যদি কবিতা হয়, যদি এমন করে এই কথাটি আর কেউ বলে না থাকে তো সে কবিতাকে সাময়িক পত্রের পাতা থেকে তুলে এনে অভিজ্ঞতার অন্তর্গত করে নেব, কিংবা কবিতাটি নিজেই তার প্রবল শক্তিতে আমার অন্তর্গত হয়ে যাবে।<br />
আসলে যে কোন ভাল লেখাই পাঠককে পরাস্ত করে তার অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের ভেতর প্রবিষ্ট হয়ে যায়।<br />
আমার স্মরণ হচ্ছে আমি কবিতা ছাড়াও গল্প, উপন্যাস এবং নাটক লিখে থাকি। শুরুতেই কবিতার কথা তুলে কি কবিতার প্রতি আমার গোপন পক্ষপাতটুকু প্রকাশ করে ফেললাম। গোপন কেন? –এ পক্ষপাত তো প্রকাশ্য। আমি কি আমার প্রিয়তম ব্যক্তিটিকে উপন্যাসের চেয়ে কবিতার বই দিতে ভালবাসি না? আমাকে কবি বলে পরিচয় করিয়ে দিলে আমি কি আধিকতর কৃতজ্ঞ বোধ করি না?<br />
ব্যক্তিগত থাক; আমার সিদ্ধান্ত – সাহিত্যের বিভিন্ন মাধ্যমে যিনি কাজ করেন একই সঙ্গে, তিনি যদি কবিতাও লেখেন, তা তিনি যত কমই লিখুন আর তাঁর কবিতা তুলনামূলক ভাবে যত কম গ্রাহ্যই হোক না কেন, তিনি কবি এবং কবি ছাড়া আর কিছু নন। কবি বলেই তিনি নাট্যকার কিংবা ঔপন্যাসিক। রবীন্দ্রনাথ কবি বলেই পল্লী সংস্কারক পর্যন্ত হতে পেরেছিলেন। ডি এইচ লরেন্স কবি না হলে ঔপন্যাসিক নন। কবিতার কথা তুলেছি কারণ একটি সদ্যক্ষত আমি বহন করছি। কিছুদিন আগে আমাদের প্রধান এক তরুণ কবি আমাকে তাঁর নতুন লেখা ছোট্ট একটি কবিতা দেখিয়েছিলেন। আমি অবাক হয়ে আবিষ্কার করি, এই কবি যাঁর বেশ কয়েকটি বই আছে, বাংলাদেশে সাহিত্য পাঠক প্রায় প্রত্যেকেই যাঁর কবিতা না হোক নামের সঙ্গে পরিচিত, তাঁর এই বারো লাইনের কবিতায় ছন্দটি নির্ভুল নয়। বিশেষ করে একটি লাইনে ছন্দের শোচনীয় পতন আমাকে দ্বিখন্ডিত করে যায়। স্বীকার করবো দশ বছর আগে হলে কবিতাটি কবির হাতে নীরবে ফিরিয়ে দিতাম; কিন্তু এখন সুকুমার রায়ের সেই নব্বই বছর বয়সী নাজিরের মতো আমিও ভাবি – একদিন তো মরবই, অতএব মন্ত্রীর জামা শুঁকে দেখতে ভয় কিসের? কবিকে ছন্দের ভুলটা দেখিয়ে দিতে আরো অবাক, তিনি বললেন, এ ভুল তাঁর নতুন নয়, তাঁর বিভিন্ন বইতেও এ ধরণের পতন রয়ে গেছে এবং এখন তিনি আর কিছু মনে করেন না।<br />
না, পারিনা, আমি ভাবতেও পারিনা, একজন কবি যদি তিনি কবি হন, এই অনুতাপ বর্জিত উচ্চারণ তাঁর, এই অকুঞ্চিত মুখ ঠিক তাঁরই।<br />
মিস্তিরি শিল্পী নন, কিন্তু প্রতিটি শিল্পীই নিপুণ মিস্তিরি। যে চেয়ারের পা টলমল করছে, পিঠ খোঁচা দিচ্ছে, তার নকশা যত নতুন হোক, ঘরে দিন দুয়েক রাখবার পর গৃহস্ত তাকে বারান্দায়, বারান্দা থেকে চাতালে, অবশেষে বিস্মৃতির গুদামে ফেলে রাখবেন। মহাকাল নির্মম এক গৃহস্থ; তিনি এইসব আপাত মনোহর আসবাব জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন।<br />
</span></div><script async src="//pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js"></script> <!-- Text add next to link --> <ins class="adsbygoogle"
style="display:block"
data-ad-client="ca-pub-3929163608620072"
data-ad-slot="7220893010"
data-ad-format="auto"></ins> <script>
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
</script> <div style="text-align: center;"><form method="get" action="https://drive.google.com/file/d/1Edn8Rwe0ju5nucWReKlA5w3EwqSs_OoO/view?usp=sharing"> <button type="submit">Read Or Download</button> </form></div><div class="blogger-post-footer">দুনিয়ার পাঠক এক হও! আমাদের বই পড়া ও আলোচনার গ্রুপের ঠিকানা boierhut.com/fb</div>Unknownnoreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-9160257417354195010.post-35420137886788068602024-03-07T08:27:00.000-05:002024-03-07T08:27:33.463-05:00কথা সামান্যই - সৈয়দ শামসুল হক<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://www.boimela.net/files/iu2ybbiocd9d542.php" rel="nofollow" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="কথা সামান্যই - সৈয়দ শামসুল হক" height="400" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhCw-kNbwYG_DuLgORPruhYCgd5RSbZD1tbFPKZqgOARuZYxKbxI3odQ6u5DIR5lbXKyrl1v9duEAjZjH3OHA9fK7e76ZGRqIsVNJRto0WiLpRIS4dO5R3lunsVjx6ZcXO0Sedmnv_9weJQ/s400/Kotha+Shamannoi+-+Syed+Shamsul+Haq+%2528Amarboi.com%2529.jpg" width="300" /></a></div><div style="text-align: left;">কথা সামান্যই - সৈয়দ শামসুল হক<br />
এ বইটি যে হাতে নিয়েছেন, আপনি এর পাতা ওলটান বা না-ওলটান, দু'এক পাতা পড়ুন বা না-পড়ুন, আমি খুশি । জীবনে দু'বারই মাত্র দুটি দুর্লভ সাক্ষাৎ হয়েছিল আপনার সঙ্গে। সে অনেকদিন আগে আপনি কাপ্তাই হ্রদের বুকে লঞ্চে কোথাও যাচ্ছিলেন, আমি যাচ্ছিলাম মহালছড়ি। আপনি নিচের ডেকে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন বেঞ্চের ওপর পা লম্বা করে, আপনার বুকের ওপর উপুড় করা ছিল আমারই এক উপন্যাস। আর সেবার রাজধানীর চন্দ্ৰিমা উদ্যানে গাছের কোলে বিকেল নেমেছে, আপনি বান্ধবীর কোলে মাথা রেখে তার মুখের পানে চেয়ে ছিলেন যেন চাঁদ উঠেছে আকাশে, আপনার হাতে আলগা হয়ে আছে আমার একটি কবিতার বই। দু'বারই আপনাকে কিন্তু পড়তে দেখি নি। দেখেছি, উপন্যাস আপনার চােখে ঘুম এনে দিয়েছে, কবিতা আপনার চােখ দুটিকে বই থেকে বান্ধবীর দিকে ফিরিয়েছে। <br />
কিন্তু এই যে বই এখন আপনার হাতে এ উপন্যাসও নয়, কবিতাও নয়। আপনি এখনো পড়ে ওঠেন নি বলে আপনাকে আমার পাঠকও বলতে পারছি না। আপনি এখন হ্রদে কি উদ্যানে নাকি বিছানায় বা বইদোকানে, তাও জানি না। এ বই আপনাকে দুপুরের ভাত-ঘুম এনে দেবে, কি বিকেলে বান্ধবীর কোল দেবে- বলতে পারছি না। যদি কিছু দেয়, কিছু শব্দের সাহায়ে আপনাকে আমোদ দেবে। হয়তো ভাবাবেও। <br />
গোটাকয় পাতা উলটে দেখবেন কি? এ বইয়ে আমি কথা বলতে চেয়েছি আপনারই ভাষা আর ভাষায় আপনারই কলম কি উচ্চারণে যে শব্দগুলো আসে তার গুটিকয় নিয়ে । আপনাকে প্রথমেই আশ্বস্ত করি, আমি ভাষাবিদ নই, পণ্ডিত তো নই-ই। তাই এ বই আমার হাতে অ্যাকাডেমিক হবার জো ছিল না। সৃষ্টিশীল লেখক অনেকের যেমন আছে দৃঢ়-গম্ভীর প্রবন্ধ সঙ্কলন- তাও এটি নয়। তবে এটি কী? <br />
বাকিটুকু বইটি পড়েই জেনে নিন। </div><div style="text-align: left;"><a href="https://drive.google.com/file/d/1Xz2ZVrjBvTgWQ9QyRUtDiVP6njz9J02N/view?usp=sharing" onclick="window.open(this.href, '', 'resizable=no,status=no,location=no,toolbar=no,menubar=no,fullscreen=no,scrollbars=no,dependent=no,width=800,height=1000'); return false;" rel="nofollow"><b>Read Now</b></a> and <a href="https://www.facebook.com/groups/boierhut/" rel="nofollow" target="blank"><b>Comments/Join our Facebook Group</b></a></div><div class="blogger-post-footer">দুনিয়ার পাঠক এক হও! আমাদের বই পড়া ও আলোচনার গ্রুপের ঠিকানা boierhut.com/fb</div>Unknownnoreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-9160257417354195010.post-67774128210570041022024-03-07T08:26:00.000-05:002024-03-07T08:26:17.881-05:00কলমের সঙ্গে সংসার - সৈয়দ শামসুল হক<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><img alt="কলমের সঙ্গে সংসার - সৈয়দ শামসুল হক" height="400" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhQoOBaBC5faWeuxPyR6s1VMhSMcaytVSiLS32Zh9lrVAo6z9JP2S5-dGNx3LXH9lAZUlrjXVnvQjkwHPHgkHiydQ25QMTrSIiN5765Ir9E4GsFFyirGxktEhPKW1uu10mB5J1y909vH3_0/s400/Kolomer+Songe+Sangsar+-+Syed+Shamsul+Haq+%2528Amarboi.com%2529.jpg" width="300" /></div><div style="text-align: left;">কলমের সঙ্গে সংসার - সৈয়দ শামসুল হক<br />
<br />
সৈয়দ শামসুল হক, বহুমাত্রিক এই সাহিত্যস্রষ্টার মুখোমুখি হয়েছিলেন চারজন স্বনামধন্য মানুষ। তারা হলেন-মফিদুল হক, শফি আহমেদ, খালেদ হােসাইন এবং আহমাদ মোস্তফা কামাল। উদ্দেশ্য এই সব্যসাচীর সাহিত্য-সংসারের নানা অলিন্দের খোঁজখবর সবিস্তারে পাঠকসমীপে তুলে ধরা। প্রাবন্ধিক মফিদুল হক কথা বলেছেন সৈয়দ হকের ভাবনামূলক গদ্যরচনা বিষয়ে। তা থেকে পরিস্ফুট হয়েছে তার বিচিত্রগামী ভাবনা চিন্তা ও গভীরতাশ্রয়ী বিশ্লেষণ। অধ্যাপক ও নাট্যসমালোচক শফি আহমেদের সঙ্গে কথোপকথনে স্পষ্ট হয়েছে তার নাট্যভুবনের অভিযাত্রিক চারিত্র্য। সৈয়দ হকের কবিসত্তার স্বরূপ উদঘাটনে প্রয়াসী হয়েছেন অধ্যাপক-কবি খালেদ হােসাইন। অনুজ কথাসাহিত্যিক আহমাদ মোস্তফা কামাল অগ্রজের সৃষ্ট পথ ও পদরেখার অনুসন্ধানে ব্ৰতী হয়েছেন। চার বিশিষ্টজনের এই সম্মিলিত উপস্থাপনে সৈয়দ হকের কলমের সঙ্গে সংসারের স্বরূপ উন্মোচিত হয়েছে উজ্জ্বল বিভায় ।<br />
বইটির প্রচ্ছদ করেছেন মাসুম রহমান।<br />
<br />
প্ৰসঙ্গকথা<br />
দেশবিভাগের পর ঢাকাকেন্দ্ৰিক সাহিত্যচর্চার শুরুতে হাতেগোনা কয়েকজন অগ্রজ সাহিত্যকর্মীর সঙ্গে যে ক'জন প্রতিভাবান যুবকের আবির্ভাব ঘটেছিল। সৈয়দ শামসুল হক তাদের অন্যতম। সময়টি ছিল বিপন্নতার। পাকিস্তান নামক অতি-অদ্ভুত একটি রাষ্ট্রের উদ্ভব হওয়ায় রাষ্ট্রের উদ্যোগে ও আয়োজনে তথাকথিত ইসলামি জাতীয়তাবাদের চাদরে মুড়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছিল; বাঙালির নিজস্ব সংস্কৃতি ঐতিহ্য ও ভাষার বিরুদ্ধে চলছিল নানামুখী ষড়যন্ত্র।<br />
যাবতীয় ষড়যন্ত্র ও কূটকৌশল উপেক্ষা করে নিজ ভাষাকে টিকিয়ে রাখার যুদ্ধটি করে গেছেন-নিজের ভাষায় সাহিত্য রচনার এবং এর একটি মানসম্মত রূপদান করার যুদ্ধ। সৈয়দ হক সেই যুদ্ধের অন্যতম সৈনিক । ষাট বছরের বেশি সময় ধরে তিনি অসাধারণ মেধা, প্রজ্ঞা ও প্রতিভায় আজও নিজেকে রেখেছেন বিপুলভাবে সক্রিয়।<br />
গল্প দিয়েই লেখক-জীবন শুরু করেছিলেন। সৈয়দ শামসুল হক, কিন্তু থেমে থাকেন নি সেখানে । বিচরণ করেছেন সাহিত্যের প্রায় সমস্ত শাখায়—কবিতায়, উপন্যাসে, নাটকে ও ভাবনামূলক গদ্যরচনায়। যেখানেই হাত দিয়েছেন, সফল হয়েছেন তিনি।<br />
অন্যদিন-এর পক্ষে এই বহুমাত্রিক সাহিত্যস্রষ্টার মুখোমুখি হয়েছিলেন চারজন স্বনামধন্য মানুষ। তাঁরা হলেন-মফিদুল হক, শফি আহমেদ, খালেদ হোসাইন এবং আহমাদ মোস্তফা কামাল। উদ্দেশ্য এই সব্যসাচীর সাহিত্যসংসারের নানা অলিন্দের খোঁজখবর সবিস্তারে পাঠকসমীপে তুলে ধরা। প্রাবন্ধিক মফিদুল হক কথা বলেছেন সৈয়দ হকের ভাবনামূলক গদ্যরচনাবিষয়ে। তা থেকে পরিস্ফুট হয়েছে তার বিচিত্রগামী ভাবনাচিন্তা ও গভীরতাশ্রয়ী বিশ্লেষণ । অধ্যাপক ও নাট্যসমালোচক শফি আহমেদের সঙ্গে কথোপকথনে স্পষ্ট হয়েছে তাঁর নাট্যভুবনের অভিযাত্রিক চারিত্র্য। সৈয়দ হকের কবিসত্তার স্বরূপ উদঘাটনে প্ৰয়াসী হয়েছেন অধ্যাপক-কবি খালেদ হােসাইন। অনুজ কথাসাহিত্যিক আহমাদ মোস্তফা কামাল অগ্রজের সৃষ্ট পথ আর পদরেখার অনুসন্ধানে ব্ৰতী হয়েছেন। চার বিশিষ্টজনের এই সম্মিলিত উপস্থাপনে সৈয়দ হকের কলমের সঙ্গে সংসারের স্বরূপ উন্মোচিত হয়েছে উজ্জ্বল বিভায়। এই দীর্ঘ আলাপচারিতার সংক্ষেপিত রূপ ছাপা হয়েছিল অন্যদিন ঈদসংখ্যা ২০১৩-তে। পাঁচ দিনে পনেরো ঘন্টারও বেশি সময়ের এই কথোপকথন খুব সঙ্গত কারণেই ঈদসংখ্যার সীমিত পরিসরে ছাপানো সম্ভব। হয় নি। ঈদসংখ্যার পাঠকপ্রিতিক্রিয়ায় অনেকেই এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে কথোপকথনটি সবিস্তারে গ্রন্থাকারে প্রকাশের পরামর্শ দেন।<br />
আমাদের এই উদ্যোগ সফল করার জন্য সৈয়দ শামসুল হক ও চার সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। আরেকজনের নেপথ্য ভূমিকা এই আয়োজনকে সংসারের উষ্ণতায় আপন করে তুলেছে, তিনি আনোয়ারা সৈয়দ হক । এই লেখকদম্পতির গুলশানের বাড়িতেই সম্পন্ন হয় পুরো আয়োজন। সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীদের মধ্যে সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন মোমিন রহমান। এঁদের প্রত্যেকের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।<br />
<br />
মাজহারুল ইসলাম <br />
আবদুল্লাহ্ নাসের<br />
<br />
কথা ছিল সৈয়দ শামসুল হকের সঙ্গে আলাপচারিতা হবে তাঁর ভাবনামূলক গদ্যরচনাসমূহ নিয়ে, ইংরেজিতে বলা যায় নন-ফিকশনাল রাইটিংস। এ ক্ষেত্রে আমাদের অবলম্বন হয়েছে তিনটি গ্রন্থ, মার্জিন মন্তব্য, কথা সামান্যই এবং হালে প্রকাশিত প্রণীত জীবন। তিন গ্রন্থের তিন মাত্রা, এক বৈঠকে এর নানা দিকে আলোকপাত করা দুরূহ। এর বাইরে রয়ে গিয়েছিল। আরেক গ্ৰন্থ স্বর্গের পথ নির্জন এবং ঠিক এই গোত্রের না হলেও আলোচনায় উঠে এসেছিল কিশোরপাঠ্য জীবনকথা, আমার স্কুল। বেশ বোঝা যায়, আলোচনা বঁধাধরা পথ বেয়ে এগোয় নি, কত কথাই না চলে এসেছে প্রসঙ্গক্রমে, তাতে বিষয় ছাপিয়ে বেপথু হওয়ার অভিযোগ উঠতেই পারে, কিন্তু হক ভাইয়ের সঙ্গে আলাপচারিতার আনন্দ তো এখানেই। তিনি সব্যসাচী, এক হাতে করতে পারেন অনেক কাজ, ভাবনাচিন্তাতেও তেমনি বিচিত্রগামী এবং বিশ্লেষণে গভীরতাশ্রয়ী। এই আলোচনা থেকে গ্ৰন্থপরিচয় কতটুকু মিলবে জানি না, কিন্তু লেখক সৈয়দ শামসুল হক, ভাবুক ও বিশ্লেষক এবং সেই সঙ্গে মানুষ সৈয়দ হকের পরিচয় তো কিছুটা হলেও পাওয়া যাবে। সেই-বা কম কী!!</div><div style="text-align: left;"><script async src="//pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js"></script><br />
<!-- Text add next to link --><br />
<ins class="adsbygoogle"
style="display:block"
data-ad-client="ca-pub-3929163608620072"
data-ad-slot="7220893010"
data-ad-format="auto"></ins><br />
<script>
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
</script><br />
<a href="https://drive.google.com/file/d/1FciNZtMjuxgkDteTfh20OZTxlbNTtGrm/view?usp=sharing" onclick="window.open(this.href, '', 'resizable=no,status=no,location=no,toolbar=no,menubar=no,fullscreen=no,scrollbars=no,dependent=no,width=800,height=1000'); return false;" rel="nofollow"><b>Read Now</b></a> and <a href="https://www.facebook.com/groups/boierhut/" rel="nofollow" target="blank"><b>Comments/Join our Facebook Group</b></a></div></div><div class="blogger-post-footer">দুনিয়ার পাঠক এক হও! আমাদের বই পড়া ও আলোচনার গ্রুপের ঠিকানা boierhut.com/fb</div>Unknownnoreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-9160257417354195010.post-47244429604387941102024-02-27T10:25:00.000-05:002024-02-27T10:25:09.029-05:00শাহজাদা দারাশুকো - শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় (অখন্ড)<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><img alt="Shahjada Darashuko - Shyamal Gangopadhyay in pdf" height="400" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjZhINp6_WWYkKDKJnJ4nTsp6JcU3x9NtBiPkF6SqDzfjSSFa5iE2dUEShL3fQW7A7nGG6pUGlBGF5whCdrn6oXJwjd_DRLu_6J5hrnWaEJ9QYLnEESnyNpRFTAUdbN36HuSRAFa1uyUzEn/s400/shahjada-darashuko-shyamal-gangopadhyay.jpg" width="300" /><br />
শাহজাদা দারাশুকো - শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় (অখন্ড) <br />
শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের 'শাহজাদা দারাশুকো' যেন উপন্যাস নয়, এ যেন এক স্বপ্নময় জীবনের বয়ান। কদাচিৎ একে ব্যক্তিপূজনের এক আয়োজনও বলা যায়। তবে কথা হচ্ছে, তাঁর এই উপন্যাসকে আমরা নানা দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখতে পারি_সেই রকম ব্যবস্থা ঔপন্যাসিক রেখেছেন। মোগল ইতিহাস যেমন এখানে বর্ণিত হয়েছে, একটা সময়কে যেমন আমরা পাই, তেমনি বিচিত্র শিল্পসম্ভারেও আমাদের প্রাণের অনেকগুলো দরজা-জানালা খুলে দেয় এটা। সেই দরজা-জানালা আবার আমাদের পরিচিত অতি সাধারণ দরজা-জানালা নয়। কারণ এর মেলা আয়োজন আছে, নানা প্রিজমের খেলা আছে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, ঐতিহাসিক উপন্যাসে শুধু ইতিহাসই যে একমাত্র অনুষঙ্গ নয়, তাতে শিল্পীর মোহনীয়তাও একটা আরাধ্য বিষয় হতে পারে, তা-ই আমরা ক্ষণে ক্ষণে প্রত্যক্ষ করি।<br />
কী আছে এই 'শাহজাদা দারাশুকো' নামের বিস্তৃত আয়োজনে? তাতে দারাশুকো নামের যে শাহজাদা আছেন, একজন অতি সাধারণ মানুষ আছেন, একজন ভাবুক আছেন, একটা ইতিহাস আছে, মোগল সাম্রাজ্যের ইতিহাস আছে, সেই ইতিহাসের আবার লয়-ক্ষয় আছে, আমরা সেই ইতিহাস পাঠে স্তম্ভিত, রক্তাক্ত, বিমোহিত হই; আলোকিতও হই। এতে ইতিহাসের পাঠ আছে, মোগল সাম্রাজ্য বিস্তারের কাহিনী আছে, আছে মোগলদের সোনালি দলের কথা_মোগলদের এই অংশটিই হিন্দুস্তান দখল করেছিল। আছে 'জিন্দানামা' ও 'দস্তুর-ই-তৈমুর'-এর পাঠমুখরতার কথা।<br />
উপন্যাসটি মুখ্যত শুরু হয়েছে সম্রাট জাহাঙ্গীরের রাজত্বকাল থেকে। তবে তা শুধু সেই কালেই বিরাজ করেনি। মোগল সাম্রাজ্যের একেবারে অন্দর মহলের খবর অংশত তাতে যেমন আছে, এই সাম্রাজ্যের আদ্যন্ত কথনও আছে। সিংহাসন কিভাবে মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করে, সেই সিংহাসনের বহির্দেশে মনোজগতের নানা লীলা যে চলে, তা-ই আমরা দেখি। সম্রাট জাহাঙ্গীর বরাবরই এক ভাবের মানুষ, ভালোবাসার কাঙাল_সম্রাজ্ঞী নূরজাহানের ভালোবাসা দ্বারা তিনি তাঁর জীবনকে রাঙিয়ে দিতে চেয়েছেন। কিন্তু সিংহাসন তো ভালোবাসা কর্তৃকই নির্মিত নয়। তাতে নিষ্ঠুরতা থাকে, থাকে ছলনা, রসনা, তিক্ততা। এমনকি সবচেয়ে বেশি থাকে ডিপ্লোম্যাসি। প্রেমাসক্ত-রসাসক্ত জাঁহাপনার সেসব দিক পূরণ করতেন সম্রাজ্ঞী নূরজাহান। খসরু, খুররম, পারভেজ, শাহরিয়ার_সম্রাটের এই চার ছেলেকে নানাভাবে স্নেহ-ভালোবাসায়, শাসনে-পেষণে রাখতে হয়েছে। এই উপন্যাসের অনেকটুকু জায়গা দখল করেছেন একসময়কার শাহজাদা খুররম ওরফে সম্রাট শাহজাহান। একসময় তাঁর লোভ হয় সিংহাসনে আরোহণের প্রতি। তা দখলের বাসনা জাগে তাঁর। কিন্তু সম্রাট জাহাঙ্গীর নন, সেই বাসনা বা লালসাকে কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রণ করেন সম্রাজ্ঞী নূরজাহান। দীর্ঘদিন খুররম-আরজুমান্দ বা পরবর্তীকালের সম্রাট শাহজাহান-মমতাজমহল চার পুত্র দারাশুকো, সুজাঙ্গীর, আওরঙ্গজেব ও শিশুপুত্র মুরাদকে নিয়ে বন-জঙ্গলে ঘুরে বেড়ান। সম্রাট জাহাঙ্গীরের জীবদ্দশায় আর তাঁরা তাঁদের প্রিয় স্থান রাজধানী আগ্রায় প্রবেশ করতে পারেননি। তিনি সিংহাসনে আরোহণ করেন জাহাঙ্গীরের মৃত্যুরও বেশ কিছুদিন পর। 'শাহজাদা দারাশুকো' নামের উপন্যাসটি শেষ হয় শাহজাহান কর্তৃক ক্ষমতা দখল করে বিচিত্র আয়োজনের মধ্য দিয়ে দারাশুকোর বিয়ের মাধ্যমে। এবং তারও পরে জাহানারা থ্রোতে মোগল সাম্রাজ্যের অন্দর মহলের এক হাহাকার মিশ্রিত রোদনময়তার ইঙ্গিত রেখে এর পাঠ সমাপন ঘটে। উপন্যাসটির আরো কিছু মজাদার দরকারি চরিত্র হলেন মিনাক্ষী, শফি, রানাদিল ও আসফ খাঁ। খাজা মঈনুদ্দীন চিশতির দরগাহকে এত চমৎকারভাবে এতে উপস্থাপন করা হয়েছে, যেন এটাও আলাদা এক চরিত্রই। ইউরোপীয় বাণিজ্য বিস্তারের, বিশেষ করে বস্ত্রশিল্পের প্রতি তাদের লোভ বা নিয়ন্ত্রণ এতে প্রকাশ পেয়েছে।<br />
রাজা-বাদশাহর উপন্যাস যখন লেখা হয়, তখন আমরা ধরেই নিই, তাদের দ্বারাই উপন্যাস বধিত, স্পর্ধিত ও কলুষিত হবে। কিন্তু অতি বিস্ময়ের সঙ্গে আমরা লক্ষ করতে থাকব, এখানে শেষতক এগুলো আর মোগলময় থাকে না। শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় তাতে তাঁর সৃজনশীলতা মারফত ভালোই ভাগ বসিয়েছেন। বলা যায়, একেবারে ইতিহাসের গা ঘেঁষে বিকল্প ইতিহাস তিনি সৃজন করতে পেরেছেন। সেই ইতিহাসের মূল বিষয় হচ্ছে সাংস্কৃতিক নান্দনিকতায় মোগল সাম্রাজ্য। আমরা হয়তো এটাকে এভাবে ধরে নিলেই এর মৌল রস অনুভব করতে পারব। আমরা একে ইতিহাসের ভেতর থেকে বেড়ে ওঠা অনুভবের বিস্তৃত আয়োজন বলতে চাই। উপন্যাসটির শুরু আগ্রার ফজরের আজান দিয়ে। এর শুরুটির পাঠস্বাদুতা আছে, যেন সুবহে সাদিকের এক স্নিগ্ধ, নরম আবহ আমাদের ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়_'আস-সালাতু খাইরুম মিনান নাওম_শব্দ, সুর একই সঙ্গে ভোররাতের বাতাস কেটে কেটে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছিল। এখন রাতের শেষদিকে আর সেই শীত নেই। ফাল্গুন মাস শুরু হয় হয়। আজানের সুরের ভেতর শেরগির হাতিদের কেউ কেউ দিন শুরুর আগেই প্রথম গরম নাদ ফেলতে শুরু করেছে। তারই মৃদু চেনা শব্দ কানে আসছিল কাছেরই পিলখানা থেকে।' আগ্রার সকাল-বিকাল-রাত এক নয়। এমনকি হিন্দুস্তানের সময়ও নাকি নানা স্থানে নানা ইমেজ নেয়। আমরা এতে এমনই নানা বর্ণনার সমাহার দেখি। শুধু মানুষজন নয়, পরিবেশ, নিসর্গ, হাতি-ঘোড়া, বাঁদি, নফর, সৈন্য-সামন্তের সাজসাজরব এর অনেক অংশই দখল করেছে। রাজপুত, পাঠান, সৈয়দ, ইরানি, তুর্কি, তাতার যেমন আছেন, স্বভাবতই আছেন মোগলও। তবে আলোচনার এ পর্যায়ে বলে রাখতে হয়, বর্ণনার এলায়িত ভাবও এতে আছে।<br />
এই উপন্যাসের মূল অনুষঙ্গ দারাশুকো হলেও সম্রাট জাহাঙ্গীর এবং তাঁর বেগম এর অনেক অংশে আধিপত্য বজায় রেখেছেন। সেই হিসাবে 'শাহজাদা দারাশুকো'র প্রথম খণ্ডকে সম্রাট জাহাঙ্গীরজনিত উপাদানে ঠাসা এক আয়োজনও বলতে পারি। যাহোক, ইতিহাসনির্ভর এমন মহাকাব্যিক আয়োজনের দরুন তা হয়তো পুষিয়েও যায়। সম্রাট জাহাঙ্গীর যে খেয়ালি মানুষ, ভালোবাসার মূর্ত প্রতীক, তা ইতিমধ্যে বলাও হয়েছে। তিনি সম্রাট আকবরের মতো মানুষের সামগ্রিক ইতিবাচকতাকে অক্ষরে অক্ষরে পালন করেননি। আকবরের শাসন-প্রক্রিয়ায় সব ধর্মের সমন্বিত একটা নবধারার যে সম্ভাবনা তিনি রেখে গিয়েছিলেন, তা কিন্তু সেভাবে চালুও থাকেনি। বরং হাস্য-কোলাহলে, নৃত্যে-গানে তিনি জীবন ভাসাতে চাইলেন। ভালোবাসার ফল্গুধারায় জীবনের সব প্রান্ত উজাড় করে দিতেও কসুর করেননি তিনি। অথচ সম্রাট আকবর তাঁর সৃজনকৃত দ্বীন-ই-এলাহির মাধ্যমে সবার মাঝে মানবিক এক আর্তি রেখে যেতে সক্ষম হয়েছিলেন। তিনি সুলহে কুল বা সর্ব-অঙ্গের ভাবব্যাকুল সমন্বয়ের মাধ্যমে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন, বহু জাতি-বহু ধর্মের এই ভারতবর্ষকে এক রাখতে হলে এমন এক রীতি চালু করতে হবে, যাতে সব ধর্মের, সব মতের মানুষ শান্তিতে নিঃশ্বাস নিতে পারে। ষোড়শ শতকে কিংবা বলা যায়, তাঁর সময়ে ধর্মভিত্তিক নানা রকম ভাব আন্দোলনও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। শিখদের প্রধান গুরু পৌত্তলিকতাবিবর্জিত একেশ্বরবাদী নানক, নিরক্ষর সাধক কবীর শুধু নন, চৈতন্য মহাপ্রভুর বৈষ্ণবীয় এক প্রবল ধর্মীয় সাংস্কৃতিক ধারাকে আমরা কার্যকর স্রোত হিসেবে বিকশিত হতে দেখি। বরং বলা যায়, এ সময় ছিল মানব ধর্মের মানবিক উত্থানের কাল। কিংবা বলা যায়, ধর্মকে আশ্রয় করে ধর্মের প্রাবল্যবাদী প্রাতিষ্ঠানিকতা থেকে বেরিয়ে আসার একটা চমৎকার সময়।<br />
শাহজাহান গড়ছেন হামাম শাহি, মোতি মসজিদ, দিলি্লর গা ঘেঁষে দাঁড়ানো আছে নয়া রাজধানী শাহজাহানবাদ। আমরা উপন্যাসটির এ পর্যায়ে শাহজাহানের ময়ূর সিংহাসন, এমনকি তাজমহলের দেখাও পাইনি। মসনদকে তিনি রাঙিয়েছেন নানা রঙে। কারণ, আমরা জানতে থাকি, মসনদ আসলে কোনো ব্যক্তির নয়, এই মসনদ তাগদের, নসিবের। সবচেয়ে বড় কথা, তা মগজের। এমনই একটি ইঙ্গিত আমরা দারাশুকোর ভাবনায় পাই। আমরা যে দারাশুকোকে দেখি, বিয়ের পরও তাঁর চলাচলের নানা মাত্রিকতা প্রত্যক্ষ করতে থাকি। তাতে আমরা এমন সিদ্ধান্তও নিতে পারি যে তিনি আসলে সম্রাট আকবরের ছায়া-প্রতিচ্ছায়া হয়ে নিজেকে আরেক আকাশ করে তুলছেন ক্রমেই। তাঁর স্ত্রী, একসময়কার শাহজাদা পারভেজের কন্যা নাদিরা স্পষ্টতই প্রত্যক্ষ করেন, তাঁর স্বামী দিলখোলা গা-ভাসানো সরল এক মানুষ; প্রাসাদের তীক্ষ্ন হিসাবের বাইরের এক পার্সোনালিটি তিনি বহন করছেন। দারাশুকোকে বুঝতে চাইলে এই দুজনের মাঝে সংঘটিত কিছু সংলাপ আমরা পুনরায় পাঠ করতে পারি_<br />
আপনার দরবেশ-সন্ন্যাসীরা না বলে-কয়ে ঢুকে পড়েন। শায়ের-গাইয়ে-আঁকিয়েরা দিব্যি চলে যান আপনার কাছে। কিন্তু সেদিন উজিরে আজম সাদুল্লা খাঁকে অমন বসিয়ে রাখলেন কেন?<br />
_উজিরে আজম বলেই!<br />
_তার মানে?<br />
_সাধু-সন্ন্যাসীরা সহজ করেই আল্লাহ তায়ালার কাছে এগিয়ে চলেছেন। ওরা সিধে বলেই সিধে আমার কাছে চলে আসেন। উজিরে আজম কি তাই? শাহি জটের কাছে উনিও যে জট পাকিয়ে আছেন, নাদিরা।<br />
_জুমা নামাজ আপনি খেলাপ করেন না। ওই দিন দুই হাতে দান-খয়রাত করেন।<br />
_সুফিরা বলেন, দান-খয়রাতই হলো খোদা তায়ালার আসল ইবাদত। ওই পথেই আমার প্রার্থনা, আমার উপাসনা। এখানে স্পষ্টতই সম্রাট আকবর থেকে তিনি ক্রমেই দূরে সরে যাচ্ছেন। তিনি প্রাতিষ্ঠানিকতা থেকে ক্ষণে ক্ষণে নিজেকে সরিয়ে দিচ্ছেন। ক্রমেই এমনই এক বিমূর্ত নান্দনিকতায় নিজ সত্তাযোগে যেন বিলিয়ে দিচ্ছেন। কায়া নয় ছায়া, মূর্ত নয় বিমূর্ত, বাস্তব নয় বাস্তবের কোল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা খোয়াব দিয়ে তিনি তাঁর মনোজগৎ বিনির্মাণ করতে চান। এখানে আওরঙ্গজেবের ব্যক্তিত্ব আমরা দেখতে পারি_তিনি ভাবুকতার ভেতর নেই, নেই প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের বাইরের কোনো ধারণায়ও। তিনি তাঁর কৈশোর বয়সেই রাজনীতির একটা মজবুত-শৃঙ্খলিত ধারাকে লালন করতে শুরু করেছিলেন। তাঁর শাসনকালের বড় একটা বিষয় ছিল ইসলাম ধর্মের প্রাতিষ্ঠানিকতাকে ঊধর্ে্ব তুলে ধরা। ফিকাহশাস্ত্রের মাধ্যমে ইসলামী আইন-কানুন তিনি চর্চা করেন। এমনকি 'ফতোয়ায়ে আলমগীরি' রচনা করতে এই ধারাকে তিনি একটা উচ্চতর পর্যায়ে নিতে চান। জিজিয়া কর আরোপসহ ভিন্ন ধর্মাবলম্বীকে নানা রকম সংকটে ফেলেন। এমনকি বেশ্যাদের বলপূর্বক বিয়ে দেওয়ার কথাও বলছিলেন। তাঁর সময়ই মারাঠারা হয় নির্যাতিত, শিবাজির নেতৃত্বে তারা দ্রোহ করে; তাদের নিপুণ যুদ্ধকৌশলে আওরঙ্গজেবের রাজ্য শাসনকে নাকানি-চুবানি খাওয়ায়।<br />
বিশাল এই উপন্যাসে আমরা মোগল সাম্রাজ্যের অন্দর মহলের যন্ত্রণার কথা তেমন পাই না। বরং তাঁর উপন্যাসে এরা বরাবরই নিয়ন্ত্রণকারী_তা নূরজাহানে তো আছেই, তা থাকারই কথা; মমতাজমহলে কিছুটা আছে, নাদিরার অন্তর্জগতে কিছুটা হলেও আমরা এগুলো প্রত্যক্ষ করতে থাকি। তবে উপন্যাসটির একেবারে শেষদিকে শাহজাহান-দুহিতা জাহানারার রোদনময় মনোজগতের সন্ধান আমরা পাই, যেখানে নারীর একাকিত্বের আহাজারি নিদারুণভাবে প্রত্যক্ষ করি।<br />
উপন্যাসটির ভাষায় মাদকতা আছে। এটা রবীন্দ্রোত্তর চলমান মানভাষায় লেখা হয়েছে। তবে শ্যামল তাঁর স্বভাবজাত কাব্যিকতা গদ্যে প্রয়োগ করেছেন। হয়তো বাদশাহিকালকে বোঝানোর জন্য, তখনকার কালচারকে একেবারে চাক্ষুষ করানোর নিমিত্তে তিনি আরবি-ফারসি শব্দের বহুল প্রয়োগে আস্থা রেখেছেন। তবে তা কখনো কখনো তাঁর গদ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক যেমন হয়েছে, তেমনি এর ভুল প্রয়োগও করেছেন (ইনশাআল্লাহ্র ইচ্ছায়, ভোরের নামাজ, কচি উমর, দাখিলার ব্যবহার; জানাজার সময়কে মুমূর্ষুকালের সঙ্গে একাকার করে ফেলেছেন); দিদি, দাদা, মেসো, তসলিম, তসবির ইত্যাদির প্রয়োগ খাপছাড়া লেগেছে। আবার কিছু শব্দের চমৎকার ব্যবহারও আমরা দেখি। যেমন_জিন্দাফুল, রঙিন উমর, শাহী সন্ধ্যা, হামাম, দুনিয়াদারি করা মানুষ ইত্যাদি। এর ভেতর ভাষার আলাদা এক প্রাণময়তা যে আছে, তা স্বীকার করতেই হয়।<br />
আবার কখনো কখনো সংস্কারকে দ্বিধাহীনভাবে গ্রহণও করা হয়েছে। যেমন_শাহজাদা খুররম স্বপ্ন দেখলেন, বর্ষার রাতে একটি কালো সাপ মোতিবাগের সেঁউতিকুঞ্জ দিয়ে বেয়ে বেয়ে যমুনার দিকে চলে যাচ্ছে। অথচ তার মাথায় আছে আরেকটি সাদা সাপের কুণ্ডলী। তাতেই নাকি ধারণা করা যায়, তিনি একসময় সম্রাট হবেন। তিনি কেঁপে ওঠেন! উপন্যাসটিতে প্রচুর কাঁপাকাঁপির ব্যাপার আছে (কমপক্ষে ২০ জায়গায় আবেগে কাঁপাকাঁপির প্রয়োগ আর কি)।<br />
ইতিহাস তো নায়কবিহীন হয় না। আর যেকালের কথা এখানে বলা হচ্ছে, তা তো নায়কেরই কাল। ইতিহাস নায়ক দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত। এখানে মোগল সাম্রাজ্যই নায়ক হতে পারত। আবার এই নায়কত্ব নির্মাণে হিন্দু-মুসলিম আছে, আছে মারাঠা-রাজপুত। ইউরোপীয়ও আছে। হিন্দু সম্প্রদায় আকবর-দারাশিকো, শিবাজি, চৈতন্য মহাপ্রভুকে নায়ক করতে চান, মুসলমানরা আওরঙ্গজেবকে খাঁটি নায়কের চিরকালীন মর্যাদা দেওয়ার ব্যাপারে জিহাদি হয়ে ওঠেন। কেউ কেউ আবার গুরু নানককে স্মরণ করেন হিন্দু পৌত্তলিকতাকে ঘায়েল করার কৌশল হিসেবে। কিন্তু শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় দারাশুকোকে অবলম্বন করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ ভাব আন্দোলনমুখী মানবতাকেই নায়ক করেছেন। এখানেই উপন্যাসটির বিশেষত্ব।<br />
শেষ পর্যন্ত ইতিহাসের ভেতর দিয়ে গড়ে ওঠা বিকল্প জীবনায়োজনের একটা দরকারি দিক এতে ফুটে উঠেছে বলেও নির্ধারণ করা যায়। মূলত ইতিহাসকে কেন্দ্র করে তিনি তাঁর মতো করে একটা স্বপ্নময় রাজ্য নির্মাণে ব্রতী হয়েছেন_এটুকু বলা যেতেই পারে। এই সৃজনশীলতার ভেতর দিয়ে পাঠকের মনোজগতে ইতিবাচক কার্যকর প্রভাব পড়বে বলেও ধারণা রাখা যায়।<br />
<script async src="//pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js"></script><br />
<!-- Text add next to link --><br />
<ins class="adsbygoogle"
style="display:block"
data-ad-client="ca-pub-3929163608620072"
data-ad-slot="7220893010"
data-ad-format="auto"></ins><br />
<script>
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
</script><br />
<form method="get" action="https://drive.google.com/file/d/1zu_v2pegbGm8qu5NEm9d3aN_Tar2pfNN/view?usp=sharing"><button type="submit">Read Or Download</button><br />
</form>Shahjada Darashuko - Shyamal Gangopadhyay in pdf<br />
</div><div class="blogger-post-footer">দুনিয়ার পাঠক এক হও! আমাদের বই পড়া ও আলোচনার গ্রুপের ঠিকানা boierhut.com/fb</div>Unknownnoreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-9160257417354195010.post-84334000622735810242024-02-27T10:21:00.000-05:002024-02-27T10:21:49.613-05:00সায়েন্স ফিকশন সমগ্র ০১ - হুমায়ূন আহমেদ<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiQehGVRoA2gasyJ4qAv3dfPPAawvzoC-hnvx-zaPovJf1PAZdxm0nuBgpMjX_nkZnTQbnCkKYJ0TcUmgh4XTCSjDA_AWIOYJu9rM71Rxm96wl6renRCG5Hm6vS3DbXGrype7LDFrTwPdgi/s800/IMG_0001.jpg" rel="lytebox" "nofollow" style="clear: left; float: left; margin-bottom: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="সায়েন্স ফিকশন সমগ্র ০১ হুমায়ূন আহমেদ" height="400" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiQehGVRoA2gasyJ4qAv3dfPPAawvzoC-hnvx-zaPovJf1PAZdxm0nuBgpMjX_nkZnTQbnCkKYJ0TcUmgh4XTCSjDA_AWIOYJu9rM71Rxm96wl6renRCG5Hm6vS3DbXGrype7LDFrTwPdgi/s400/IMG_0001.jpg" width="300" /></a> সায়েন্স ফিকশন সমগ্র ০১ হুমায়ূন আহমেদ<br />
তোমাদের জন্য ভালোবাসা<br />
তারা তিনজন<br />
অন্য ভূবন<br />
ইরিনা<br />
অনন্ত নকত্রবীথি<br />
কুহক<br />
<br />
বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর পাঠকদের নিয়ে অবহেলার দৃষ্টিতে তাকানোর নিয়ম আছে। পাঠক সমাজে এরা সর্বনিম্নে অবস্থান করে। ধরা হয়ে থাকে সাহিত্যের মহানবোধ ... ইত্যাদি ইত্যাদি থেকে এরা বঞ্চিত। কোনো পাঠক একবার বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী পড়া শুরু করলে ভাঙ্গা গ্রামোফোন রেকর্ডের মতো সেখানেই আটকে থাকে। পাঠক আর বেড়ে ওঠেন না।<br />
আমার জন্যে এটা বিরাট দুঃসংবাদ কারণ আমি বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর অতি ভক্ত পাঠক। যখন পড়ার মতো কল্পকাহিনী পাই না তখন নিজেই লিখি যেন পড়েতে পারি।<br />
অন্বেষা আমার বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর সব লেখা একত্র করেছে। সিরিয়াস পাঠকদের বলছি এই বইয়ের ধারে কাছে যাবেন না। একবার পড়তে শুরু করলে সিরিয়াস পাঠকের মৃত্যু ঘটবে।<br />
আর যারা আমার মতো পাঠক তাদের বলছি- ‘কেঁও মি ছিয়া’ (ভীন গ্রহের প্রাণীর ভাষা। এর অর্থ পাঠের নিমন্ত্রণ।)<br />
<br />
হুমায়ূন আহমেদ<br />
নুহাশ পল্লী<br />
<script async src="//pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js"></script><br />
<!-- Text add next to link --><br />
<ins class="adsbygoogle"
style="display:block"
data-ad-client="ca-pub-3929163608620072"
data-ad-slot="7220893010"
data-ad-format="auto"></ins><br />
<script>
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
</script><br />
<a href="https://drive.google.com/file/d/1fIhzoWc7JkWWr56vfA4Yf43VSQ36Fvvt/view?usp=sharing" rel="nofollow" onclick="window.open(this.href, '', 'resizable=no,status=no,location=no,toolbar=no,menubar=no,fullscreen=no,scrollbars=no,dependent=no,width=800,height=1000'); return false;"><b>Download</b></a> and <a href="https://www.facebook.com/groups/boierhut/" rel="nofollow" target="blank"><b>Join our Facebook Group</b></a><div class="blogger-post-footer">দুনিয়ার পাঠক এক হও! আমাদের বই পড়া ও আলোচনার গ্রুপের ঠিকানা boierhut.com/fb</div>Unknownnoreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-9160257417354195010.post-51153692026084746052024-02-27T10:18:00.000-05:002024-02-27T10:18:25.293-05:00সায়েন্স ফিকশন সমগ্র ০২ - হুমায়ূন আহমেদ<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh5GJ7QnA44B8kG3PI7XTcnWSS4nn-spr9w9HLEaVMKt_70mnyvtmkm4IqKEZWM9lZYXmYH3ICb-ZLyKudOvuzKOT0znaZXyqbYgQ9fj6bDzMK2oq7lVV2Cr7tcZAQpa8SGR8BlRmeaTFec/s800/Science+Fiction+Samogro+02+by+Humayun+Ahmed.jpg" rel="lytebox" "nofollow" style="clear: left; float: left; margin-bottom: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="সায়েন্স ফিকশন সমগ্র ০২ হুমায়ূন আহমেদ" height="400" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh5GJ7QnA44B8kG3PI7XTcnWSS4nn-spr9w9HLEaVMKt_70mnyvtmkm4IqKEZWM9lZYXmYH3ICb-ZLyKudOvuzKOT0znaZXyqbYgQ9fj6bDzMK2oq7lVV2Cr7tcZAQpa8SGR8BlRmeaTFec/s400/Science+Fiction+Samogro+02+by+Humayun+Ahmed.jpg" width="300" /></a> সায়েন্স ফিকশন সমগ্র ০২ হুমায়ূন আহমেদ<br />
ফিহা সমীকরন<br />
শূন্য<br />
নি<br />
তাহারা<br />
পরেশেয় হইলদা বড়ি<br />
আয়না<br />
নিউনের ভুল সুত্র<br />
যন্ত্র<br />
নিমধ্যমা<br />
<br />
বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর পাঠকদের নিয়ে অবহেলার দৃষ্টিতে তাকানোর নিয়ম আছে। পাঠক সমাজে এরা সর্বনিম্নে অবস্থান করে। ধরা হয়ে থাকে সাহিত্যের মহানবোধ ... ইত্যাদি ইত্যাদি থেকে এরা বঞ্চিত। কোনো পাঠক একবার বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী পড়া শুরু করলে ভাঙ্গা গ্রামোফোন রেকর্ডের মতো সেখানেই আটকে থাকে। পাঠক আর বেড়ে ওঠেন না।<br />
আমার জন্যে এটা বিরাট দুঃসংবাদ কারণ আমি বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর অতি ভক্ত পাঠক। যখন পড়ার মতো কল্পকাহিনী পাই না তখন নিজেই লিখি যেন পড়েতে পারি।<br />
অন্বেষা আমার বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর সব লেখা একত্র করেছে। সিরিয়াস পাঠকদের বলছি এই বইয়ের ধারে কাছে যাবেন না। একবার পড়তে শুরু করলে সিরিয়াস পাঠকের মৃত্যু ঘটবে।<br />
আর যারা আমার মতো পাঠক তাদের বলছি- ‘কেঁও মি ছিয়া’ (ভীন গ্রহের প্রাণীর ভাষা। এর অর্থ পাঠের নিমন্ত্রণ।)<br />
<br />
হুমায়ূন আহমেদ<br />
নুহাশ পল্লী<br />
<script async src="//pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js"></script><br />
<!-- Text add next to link --><br />
<ins class="adsbygoogle"
style="display:block"
data-ad-client="ca-pub-3929163608620072"
data-ad-slot="7220893010"
data-ad-format="auto"></ins><br />
<script>
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
</script><br />
<a href="https://drive.google.com/file/d/1zYWTOfR5e1QtTKk82YdCmNReB7oEU7mY/view?usp=sharing" rel="nofollow" onclick="window.open(this.href, '', 'resizable=no,status=no,location=no,toolbar=no,menubar=no,fullscreen=no,scrollbars=no,dependent=no,width=800,height=1000'); return false;"><b>Download</b></a> and <a href="https://www.facebook.com/groups/boierhut/" rel="nofollow" target="blank"><b>Join our Facebook Group</b></a><div class="blogger-post-footer">দুনিয়ার পাঠক এক হও! আমাদের বই পড়া ও আলোচনার গ্রুপের ঠিকানা boierhut.com/fb</div>Unknownnoreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-9160257417354195010.post-24471521636376823712024-02-27T10:14:00.000-05:002024-02-27T10:14:38.820-05:00সায়েন্স ফিকশন সমগ্র ০৩ - হুমায়ূন আহমেদ<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg74EIQ4D13gxTqEN73KIJpIeC4t7sgPcxK91TDdSvI3UbJt5x2Z8uESsT8UhsdgqGdlqZ5GYqB0snrh8EdcM10uoi8ploSdA_PYq4DibnogDRHtjKcruwor1gKSXfakE_5kda0rSgByi3V/s800/Science+Fiction+Samogro+03+by+Humayun+Ahmed.jpg" rel="lytebox" "nofollow" style="clear: left; float: left; margin-bottom: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="সায়েন্স ফিকশন সমগ্র ০৩ হুমায়ূন আহমেদ" height="400" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg74EIQ4D13gxTqEN73KIJpIeC4t7sgPcxK91TDdSvI3UbJt5x2Z8uESsT8UhsdgqGdlqZ5GYqB0snrh8EdcM10uoi8ploSdA_PYq4DibnogDRHtjKcruwor1gKSXfakE_5kda0rSgByi3V/s400/Science+Fiction+Samogro+03+by+Humayun+Ahmed.jpg" width="300" /></a> সায়েন্স ফিকশন সমগ্র ০৩ হুমায়ূন আহমেদ<br />
ওমেগা পয়েন্ট<br />
ইমা <br />
দ্বিতীয় মানা<br />
অইঁক<br />
জাদুকর<br />
কুদ্দুসের একদিন<br />
সম্পর্ক<br />
<br />
বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর পাঠকদের নিয়ে অবহেলার দৃষ্টিতে তাকানোর নিয়ম আছে। পাঠক সমাজে এরা সর্বনিম্নে অবস্থান করে। ধরা হয়ে থাকে সাহিত্যের মহানবোধ ... ইত্যাদি ইত্যাদি থেকে এরা বঞ্চিত। কোনো পাঠক একবার বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী পড়া শুরু করলে ভাঙ্গা গ্রামোফোন রেকর্ডের মতো সেখানেই আটকে থাকে। পাঠক আর বেড়ে ওঠেন না।<br />
আমার জন্যে এটা বিরাট দুঃসংবাদ কারণ আমি বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর অতি ভক্ত পাঠক। যখন পড়ার মতো কল্পকাহিনী পাই না তখন নিজেই লিখি যেন পড়েতে পারি।<br />
অন্বেষা আমার বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর সব লেখা একত্র করেছে। সিরিয়াস পাঠকদের বলছি এই বইয়ের ধারে কাছে যাবেন না। একবার পড়তে শুরু করলে সিরিয়াস পাঠকের মৃত্যু ঘটবে।<br />
আর যারা আমার মতো পাঠক তাদের বলছি- ‘কেঁও মি ছিয়া’ (ভীন গ্রহের প্রাণীর ভাষা। এর অর্থ পাঠের নিমন্ত্রণ।)<br />
<br />
হুমায়ূন আহমেদ<br />
নুহাশ পল্লী<br />
<script async src="//pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js"></script><br />
<!-- Text add next to link --><br />
<ins class="adsbygoogle"
style="display:block"
data-ad-client="ca-pub-3929163608620072"
data-ad-slot="7220893010"
data-ad-format="auto"></ins><br />
<script>
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
</script><br />
<a href="https://drive.google.com/file/d/16lh2-_uYVLyB-xnOHCfxux0lYIUlp1_l/view?usp=sharing" rel="nofollow" onclick="window.open(this.href, '', 'resizable=no,status=no,location=no,toolbar=no,menubar=no,fullscreen=no,scrollbars=no,dependent=no,width=800,height=1000'); return false;"><b>Download</b></a> and <a href="https://www.facebook.com/groups/boierhut/" rel="nofollow" target="blank"><b>Join our Facebook Group</b></a><div class="blogger-post-footer">দুনিয়ার পাঠক এক হও! আমাদের বই পড়া ও আলোচনার গ্রুপের ঠিকানা boierhut.com/fb</div>Unknownnoreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-9160257417354195010.post-48919674606029285262024-02-20T09:17:00.004-05:002024-02-20T09:17:44.992-05:00হাসতে হাসতে বানান - পবিত্র সরকার<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<img alt="হাসতে হাসতে বানান - পবিত্র সরকার" height="800" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjZPDavrTuNSl6hsVri8hSJp2ATr3AL1j_wDOnyDxIKlSpVpDDg9ezvsKxn8p11ldZJW5MThD1kQPLP9dhCbpLGgW5K3MeWXpX39nt-qGrWZvZo2KL-l5YXCzG8dLl72zujRHyJBO3QwfZD/s1600/haste-haste-banan.jpg" width="600"></div>
হাসতে হাসতে বানান - পবিত্র সরকার
<br>
<br>
<span></span><a href="https://www.amarboi.com/2024/02/haste-haste-banan.html#more"></a><div class="blogger-post-footer">দুনিয়ার পাঠক এক হও! আমাদের বই পড়া ও আলোচনার গ্রুপের ঠিকানা boierhut.com/fb</div>Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-9160257417354195010.post-30852562126014982862024-02-20T09:14:00.001-05:002024-02-20T09:14:10.308-05:00দ্য আইল্যাণ্ড অফ ডক্টর মোরো - এইচ জি ওয়েলস<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<img alt="দ্য আইল্যাণ্ড অফ ডক্টর মোরো - এইচ জি ওয়েলস" height="800" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgHZer6psSx6P0lTFSl2ZEAnM-HbnyhNB_XiTUJqTPbjj1p87HhgkfX3DBSDYkhIOC_Bzz_3j6eUHHfOAyaz43DKuTT_MWrCWnjq_iQOxfdb3f_VNoueeG60pb_LUyXPtb6dSui3PxQplS4/s1600/island.jpg" width="600"></div>
দ্য আইল্যাণ্ড অফ ডক্টর মোরো - এইচ জি ওয়েলস
<br>
<br>
<span></span><a href="https://www.amarboi.com/2024/02/the-island.html#more"></a><div class="blogger-post-footer">দুনিয়ার পাঠক এক হও! আমাদের বই পড়া ও আলোচনার গ্রুপের ঠিকানা boierhut.com/fb</div>Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-9160257417354195010.post-48465583606242456712024-02-13T13:24:00.000-05:002024-02-13T13:24:21.457-05:00ওয়েটিং ফর গডো - স্যামুয়েল বার্কলে বেকেট - অনুবাদ কবীর চৌধুরী<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><img alt="ওয়েটিং ফর গডো" height="400" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg-cmFBTv02giDMLPT0rAH4i-u1htiV255EYPVIKVnncVeo7pUYPEjSXYW-jJ_VYLhRGo7dDbmn2FWPkVVVzt-cgviMcZwhwf66WQZZ9160p9fYpRSHdgpd3OqSQqvuplW6S-B3rIZiUHM-/s400/IMG_0001.jpg" width="300" /></div><div style="text-align: left;">ওয়েটিং ফর গডো <br />
স্যামুয়েল বার্কলে বেকেট <br />
অনুবাদ কবীর চৌধুরী<br />
আধুনিক ইংরেজী সাহিত্যের স্বনামধন্য নাট্যকার স্যামুয়েল বার্কলে বেকেট( Samuel Barclay Beckett )। তিনি ছিলেন আধুনিক ইংরেজি সাহিত্যের একজন স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব এবং নাট্যকার। বেকেটের সর্বশ্রেষ্ঠ নাট্যকর্ম ওয়েটিং ফর গডো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দুনিয়া যখন এক চূড়ান্ত অবক্ষয়ের সামনে; চারদিকে ধ্বংসযজ্ঞ; মানবতা পদদলিত; বেঁচে থাকাই যখন এক বেদনাদায়ক, ক্লান্তিকর, গ্লানিময় অভিজ্ঞতা আর অস্তিত্ব যখন হয়ে উঠছে এক ভীষণ অর্থহীন বিষয়; ঠিক সে সময় ফরাসি নাট্যকার স্যামুয়েল বেকেট তার নাটক ওয়েটিং ফর গডো গডোর জন্য অপেক্ষা নিয়ে হাজির হলেন বিশ্ব দরবারে। সেই থেকে চলছে গডোর জন্য অপেক্ষা। হাজারো নৈরাশ্যের মধ্যে একটা কিছু পাওয়ার প্রত্যাশায় মানুষের অন্তহীন পথচলা, বিনিদ্র অপেক্ষা, তারই প্রেক্ষাপটে নাট্যকার স্যামুয়েল বেকেটের অ্যাবসার্ডধর্মী নাটক ওয়েটিং ফর গডো। এই নাটকই তাকে বিশ্বজোড়া খ্যাতি এনে দেয়। ১৯৬৯ সালে তিনি লাভ করেন সাহিত্যে সর্বোচ্চ সম্মান নোবেল পুরস্কার।</div><script async src="//pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js"></script><br />
<!-- Text add next to link --><br />
<ins class="adsbygoogle"
style="display:block"
data-ad-client="ca-pub-3929163608620072"
data-ad-slot="7220893010"
data-ad-format="auto"></ins><br />
<script>
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
</script><br />
<div style="text-align: left;"><a href="https://drive.google.com/file/d/1QSwm_my4-KqKJhK8yWzdoRJL5KNoqgU5/view?usp=sharing" rel="nofollow" target="_blank"><b>Read Or Download</b></a> and <a href="https://www.facebook.com/groups/boierhut/" rel="nofollow" target="_blank"><b>Comments/Join our Facebook Group</b></a></div><div class="blogger-post-footer">দুনিয়ার পাঠক এক হও! আমাদের বই পড়া ও আলোচনার গ্রুপের ঠিকানা boierhut.com/fb</div>Unknownnoreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-9160257417354195010.post-70557694066421802112024-02-05T08:29:00.000-05:002024-02-05T08:29:42.947-05:00মুহাম্মদ - ক্যারেন আর্মস্ট্রং<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><img alt="amarboi" height="400" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgaE_-np7pMBz4fZkvu4_3hivJAV18i4hZnOn0IDBeg_pLCmKvkyLKW8Jdzj25ogop_Nnt97LCC4JtURp2gK6L8wWhC_vZdF3K3NE22Jf2szfnmfAf8aYvCSXl8ePoMO2pl-PRuDIPEISQ/s400/muhammad-a-biography-of-the-prophet-karen-armstrong-bangla-onubad.jpg" width="300" /></div><div style="text-align: left;"><span style="font-family: "solaimanlipi"; font-size: 12pt;"><br />
মুহাম্মদ - ক্যারেন আর্মস্ট্রং<br />
অনুবাদ শওকত হোসেন<br />
<br />
৬১০ সালের দিকে রমযান মাসে হিজাজের মক্কা নগরীতে এক আরব বণিক শেষপর্যন্ত পৃথিবীর ইতিহাসের চাকা ঘুরিয়ে দেওয়া অভিজ্ঞতা লাভ করেন। ইনিই মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ যাঁর মাধ্যমে ইসলাম ধর্মের আবির্ভাব। আরবে তখন চলছিল জাহেলিয়া বা অজ্ঞতার যুগ : পারস্পরিক হানাহানিতে লিপ্ত ছিল বিভিন্ন গোত্র। দুর্বল অসহায়েরা আগ্রাসী পুঁজিবাদের অধীনে শোষিত হচ্ছিল। এক ধরনের আধ্যাত্নিক অস্থিরতা গোটা আরব বিশ্বকে কুরে কুরে খাচ্ছিল। এমনি পরিস্থিতিতে শান্তি ও সমন্ভয়ের ধর্ম ইসলামের বাণী প্রচারের দায়িত্ব পান মুহাম্মদ (স) । প্রায় একক প্রয়াসে ঐ অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে এনেছিলেন তিনি, প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এক নতুন আদর্শের। কিন্তু মোটেই সহজ ছিলো না এ কাজ। ঘরে-বাইরে অসংখ্য বাধা-বিপত্তির মোকাবিলা করতে হয়েছে তাঁকে। মুহাম্মদের (স) সেই অসাধারণ জীবন কাহিনী তুলে ধরেছেন ক্যারেন আর্মস্ট্রং তাঁর মুহাম্মদ : আ বায়োগ্রাফি অভ দ্য প্রফেট গ্রন্থে। মহানবীর (স) আবির্ভাবের কারণ বিশ্লেষণ করেছেন তিনি, সেই সাথে তুলে ধরেছেন বর্তমান বিশ্বে ইসলামের নামে গড়ে ওঠা বিভিন্ন মৌলবাদী গোষ্ঠীর কর্মকাণ্ডের ধর্মের মৌল বিষয়ের বিরোধিতার দিকটি ; আধুনিক বিশ্বের প্রেক্ষাটটে ইসলামকে অনুসরণ করার গুরুত্ব ব্যাখ্যা দিয়েছেন ।এই গ্রন্থে মহানবীর (স) জীবনের প্রতিটি পর্যায় যুক্তির আলোয় এমনভাবে তুলে ধরা হয়েছে যার ফলে এটি মুসলিম তো বটেই, অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর কাছেও প্রয়োজনীয় বিবেচিত হচ্ছে। <br />
<br />
সূচি<br />
১. প্রতিপক্ষ মুহাম্মদ<br />
২. মুহাম্মদ, আল্লাহর দূত<br />
৩. জাহিলিয়া<br />
৪. প্রত্যাদেশ<br />
৫. সতর্ককারী<br />
৬. দ্য স্যাটানিক ভার্সেস<br />
৭. হিজরা : নতুন দিক নির্দেশনা<br />
৮. পবিত্র যুদ্ধ<br />
৯. পবিত্র শান্তি<br />
১০. পয়গম্বরের পরলোকগমন? <br />
<br />
</span></div><br />
<div style="text-align: left;"><span style="font-family: "solaimanlipi"; font-size: 12pt;">বই নিয়ে শুধুমাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, বই নিয়ে শুধু মাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, নতুন প্রজন্ম চকঝমকের আকর্ষণে বইয়ের দিক থেকে ঘুরিয়ে নিচ্ছে মুখ। আমাদের এ আয়োজন বইয়ের সাথে মানুষের সম্পর্ককে অনিঃশেষ ও অবিচ্ছিন্ন করে রাখা। আশাকরি আপনাদের সহযোগিতায় আমাদের এই ইচ্ছা আরোও দৃঢ় হবে। দুনিয়ার পাঠক এক হও! বাংলা বই বিশ্বের বিবিধ স্থানে, সকল বাংলাভাষীর কাছে সহজলভ্য হোক!</span></div><script async src="//pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js"></script> <!-- Text add next to link --> <ins class="adsbygoogle"
style="display:block"
data-ad-client="ca-pub-3929163608620072"
data-ad-slot="7220893010"
data-ad-format="auto"></ins> <script>
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
</script> <div style="text-align: center;"><form method="get" action="https://drive.google.com/file/d/1QkZ0qEEcW15g-BL1zjECFSeSKbyyTb7z/view?usp=sharing"><button type="submit">Read Or Download</button> </form></div><div class="blogger-post-footer">দুনিয়ার পাঠক এক হও! আমাদের বই পড়া ও আলোচনার গ্রুপের ঠিকানা boierhut.com/fb</div>Unknownnoreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-9160257417354195010.post-79780972978377573082024-02-01T11:36:00.004-05:002024-02-01T11:36:49.233-05:00কোম্পানী আমলে ঢাকা - জেমস টেলর<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<img alt="কোম্পানী আমলে ঢাকা - জেমস টেলর" height="800" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjuGU2-XAfSVzHmJc_lxSPI1rGLPBQv15_DLgYnbvGQDvIXUWIg7A2osWdyfDxTQOSEmg4NvKjfzuF86bbOkh4Wh8tqYnjWTbTXL64hzgi1bB85MAoxNILa0PHYLOLD35FBVfAkRBl-qLHQ/s800/no-cover.png" width="600"></div>
কোম্পানী আমলে ঢাকা - জেমস টেলর
<br>
<br>
<span></span><a href="https://www.amarboi.com/2024/02/blog-post.html#more"></a><div class="blogger-post-footer">দুনিয়ার পাঠক এক হও! আমাদের বই পড়া ও আলোচনার গ্রুপের ঠিকানা boierhut.com/fb</div>Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-9160257417354195010.post-64799364178714895122024-01-30T11:20:00.001-05:002024-01-31T11:41:31.044-05:00বিদ্রোহী রণক্লান্ত নজরুল-জীবনী গোলাম মুরশিদ<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><img alt="বিদ্রোহী রণক্লান্ত নজরুল-জীবনী গোলাম মুরশিদ" height="400" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjrWXvpasZL31qVSLmJynwktgwA6fsQamvTagdTdDUILEwmUT4IwL_ppNCsvoef7JL2go0AhojrhVmpa_0KDSvjkhK71JKbKrvKV_DrRueSL7CaZ0oCVeMXewbJaeWYxBG-BTSCznKKxGm_/s600/03_book.png" width="600" /></div><div style="text-align: left;">আমার নজরুল-জীবনী<br />
‘বিদ্রোহী রণক্লান্ত’<br />
গোলাম মুরশিদ<br />
‘বিদ্রোহী’ কবিতা প্রকাশিত হওয়ার পর কবি অনেকের কাছ থেকেই ‘কাফের’, ‘নমরুদ’, ‘শয়তান’ ইত্যাদি উপাধি পেয়েছিলেন। বহু বছর ধরে নিন্দার সেই ঢেউটা ফিরে ফিরে তাঁকে আঘাত করেছে। গোলাম মোস্তফা তখন ‘বিদ্রোহী’ কবিকে ‘সংযত’ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে কবিতা লিখেছিলেন। তারপর, কিমাশ্চর্যম! যখন দেশ বিভাগ হলো, তখন সেই কাফের নজরুলকে নিয়েই পূর্ব পাকিস্তানে গর্ব করার, তাঁকে রবীন্দ্রনাথের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানোর একটা প্রবণতা দেখা দিল। এমনকি সেই পরিবেশে গোলাম মোস্তফা আগের অবস্থান থেকে সরে এসে নতুন করে বিবেচনা করলেন যে নজরুল পুরোপুরি কাফের নন, তিনি হাফ-মুসলমান। অতএব তাঁর রচনাগুলো সংস্কার করে—‘ভগবান’কে ‘রহমান’ করে, ‘মহাশ্মশান’কে ‘গোরস্থান’ করে, দরকার হলে কোনো কোনো অংশ পুরোপুরি বর্জন করে—তাঁকে মুসলিম দেশে পাঠোপযোগী করা যেতে পারে। কাহিনিটা এখানেই শেষ নয়, তার কয়েক দশক পরে স্বাধীন বাংলাদেশের একজন বিচারপতি নজরুলকে ‘পাক্কা মুসলমান’ বলে আখ্যায়িত করেন। ওদিকে নজরুল যেমন ছিলেন, তেমনই থাকলেন—নীরব, নিশ্চুপ। কেবল আমরা তাঁকে বিভিন্ন সময়ে দেখেছি, এখনো দেখছি নানাভাবে—অন্ধের হাতি দেখার মতো। নজরুল কবি হিসেবে বিখ্যাত হওয়ার পর প্রায় এক শ বছর হয়ে গেল, আজও তাঁর সফলতা, সীমাবদ্ধতা, স্ববিরোধিতার সত্যিকার মূল্যায়ন হলো না!<br />
<br />
একজন মানুষের কবে কোথায় জন্ম আর কবে কোথায় মৃত্যু—এই তথ্য অথবা এ রকমের আরও কতগুলো তথ্যের সমাহারকে জীবনী বলা যায় না। জীবনী তথ্য এবং তারিখের ফিরিস্তি নয়। জীবনীর লক্ষ্য পাঠকের কাছে একজন মানুষের সামগ্রিক ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তোলা। সেদিক দিয়ে বিচার করলে প্রশান্ত পালের রবি-জীবনী রবীন্দ্রনাথের সবচেয়ে দীর্ঘ জীবনী হলেও, আদৌ জীবনী কি না, সন্দেহ আছে। অন্য পক্ষে, গোলাম মোস্তফার ‘ভায়া লাফ দেয় তিন হাত/ হেসে গান গায় দিন রাত’ নজরুল ইসলামের সংক্ষিপ্ততম জীবনী। সে জন্যই, আমার ধারণা, নজরুল ইসলামকে নিয়ে রাশি রাশি ছোট-বড় জীবনী লেখা হলেও এবং তাতে অনেক মূল্যবান তথ্য থাকলেও, সত্যিকার নির্ভরযোগ্য এবং পূর্ণাঙ্গ জীবনী আজও লেখা হয়নি।<br />
<br />
এযাবৎ যেসব নজরুল-জীবনী প্রকাশিত হয়েছে, এক কথায় সেগুলোকে বলা যায়, শোনা-কথা-নির্ভর, বীরপূজামূলক। বিভিন্নজন নজরুল সম্পর্কে যেসব অতিরঞ্জিত গালগল্প লিখেছেন, কোনো রকম যাচাই-বাছাই না করে সেসব বানানো-ফেনানো-রাঙানো গল্প একত্র করে লেখা হয়েছে বেশির ভাগ নজরুল-জীবনী বলতে পারছি না—লেখা হয়েছে নজরুল-জীবনপঞ্জি। লেখকেরা খোলা মন নিয়ে নজরুলকে আবিষ্কার করতে চেষ্টা করেননি। বরং তাঁরা নজরুল নামক কিংবদন্তিকেই আরও পাকাপোক্ত করে নির্মাণ করতে চেষ্টা করেছেন। যে কবি একদিন লাথি মেরে অবরোধের তালা ভাঙার আহ্বান জানিয়েছিলেন, সেই মুক্ত জীবনানন্দকেই ভক্ত লেখকেরা বন্দী করতে চেষ্টা করেছেন নিজেদের সংস্কারে লালিত অচলায়তনে।<br />
<br />
আমি যে নজরুলের কথা লিখছি, কোনো মার্কা মেরে তাঁকে চিহ্নিত করা যায় না। তিনি হিন্দু নন, মুসলমান নন, মুসলিম-জাতীয়তাবাদের প্রতীক নন। বৈষ্ণব নন, শাক্ত নন, তিনি মানুষ। কোনো ধর্ম দিয়ে যাঁকে চিহ্নিত করা যায় না। যিনি লিখেছেন, মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান। মানুষকে যিনি ধর্মগ্রন্থ ও উপাসনালয়ের থেকে শ্রেষ্ঠ বলেছেন। জাতীয় কবি বলে যিনি বিখ্যাত নন, কার্যত মরে যাওয়ার পরে যিনি জাতীয় কবি হন। জাতীয় কবির দায়ভার আরোপ করা যাঁর ওপর তাই অন্যায্য।<br />
<br />
যাঁর জন্ম অত্যন্ত দরিদ্র ও স্বল্প শিক্ষিত একটি পরিবারে; যিনি বড় হয়েছেন প্রচণ্ড প্রতিকূল পরিবেশে; প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা যাঁর অসম্পূর্ণ, তিনি কী করে অত বড় কবি এবং সংগীতকার হলেন—আমার জীবনীতে সবার আগে আমি এই কঠিন প্রশ্নটার উত্তর দিতে চেষ্টা করেছি।<br />
<br />
সেনাবাহিনী থেকে যিনি কলকাতায় ফিরেছিলেন একজন মুসলিম গল্পলেখক হিসেবে, যাঁর অঙ্কিত চরিত্রগুলো সব মুসলমান, যাঁর ভাষা মুসলমানি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ, যাঁর গল্পগুলো প্রকাশিত হয়েছিল মুসলিম-প্রকাশিত পত্রপত্রিকায়, সেই ‘অতি সাধারণ’ ছাপ-মারা গল্পলেখক এক বছর নয় মাসের মাথায় কী করে ‘খোদার আসন আরশ ছেদিয়া’ রচনা করলেন ‘বিদ্রোহী’র মতো ধর্মনিরপেক্ষ কবিতা, সব্যসাচীর মতো তিনি কী করে সমান দক্ষতার সঙ্গে ব্যবহার করলেন হিন্দু-পুরাণ আর মুসলিম ঐতিহ্যের কথা? এ শক্তি কি তিনি স্বপ্নে পেয়েছিলেন, না কি ধীরে ধীরে অর্জন করেছিলেন?—দু নম্বরে উত্তর দিতে চেষ্টা করেছি, এই প্রশ্নের।<br />
<br />
নজরুলের জন্ম মুসলিম পরিবারে। কবি হয়ে তিনি অনেকগুলো ইসলামি গানও লিখেছিলেন। কিন্তু ইসলামি গান লেখার আগে তিনি লিখেছিলেন কীর্তন এবং ভজনসহ বৈষ্ণবদের গান। ওদিকে বৈষ্ণবদের সঙ্গে শাক্তদের বিরোধ সাপে-নেউলের বিরোধের মতো। তা সত্ত্বেও তিনি ‘শ্যামা মায়ের কোলে চড়ে’ শ্যামের নাম জপ করেছেন। কখনো তিনি মসজিদের পাশে কবর দেওয়ার বাসনা প্রকাশ করেছেন, আবার কখনো গজলের মাতাল সুরে প্রকাশ করেছেন নিজের লাশ লাল পানি দিয়ে ধোওয়ানোর ইচ্ছা।—এসব পরস্পরবিরোধী উক্তি কি নিতান্তই ফরমাশি প্রলাপ, নাকি এসব আপাতবিরোধী উক্তির মধ্যে কোনো ঐক্যসূত্র লুকিয়ে আছে? আমি তার ব্যাখ্যা দিতে চেষ্টা করেছি।<br />
<br />
বাজারে যেসব নজরুল-জীবনী মেলে, সেগুলোতে কবির জীবনের সঙ্গে তাঁর সাহিত্যকর্মের হিসাবে মেলে না, তাঁর সাহিত্য থেকে লম্বা লম্বা উদ্ধৃতি মিললেও। আমি তাঁর সাহিত্যের সঙ্গে তাঁর জীবনের প্রধান ঘটনাগুলোর যোগসূত্র দেখাতে চেষ্টা করেছি।<br />
<br />
সর্বোপরি, দৈবক্রমে, আমি এমন একটা পাড়ায় বাস করি, যেখান থেকে আমাদের জন্য প্রাসঙ্গিক বিশাল ব্রিটিশ লাইব্রেরির দূরত্ব খুব বেশি নয়। অন্তত, সেখানে বিমানে করে যেতে হয় না। সেই গ্রন্থাগার এবং দলিলাগারে নজরুল সম্পর্কে খুব বেশি না হলেও এমন কিছু তথ্য আবিষ্কার করেছি, আগেকার জীবনীলেখকরা যার হদিস পাননি।<br />
<br />
নজরুল জন্মেছিলেন সমাজের এমন একটা তলায়, যেখানে জন্ম-মৃত্যু-বিবাহের মতো মৌল তথ্যাদিও লিখে রাখার রেওয়াজ সেকালে তো ছিলই না, একালেও নেই। কাজেই নজরুল সম্পর্কে তথ্য নিয়ে বড়াই করা অর্থহীন, প্রায় ফাঁকাওয়াজের মতো। সত্যিকার নজরুলকে দেখার জন্য সবার আগে প্রয়োজন মুক্ত মন। জীবনীলেখকদের মধ্যে সেই মনেরই অভাব দেখতে পাই সবচেয়ে বেশি। মনে আছে, বছর বিশেক আগে আমার লেখা মাইকেল-জীবনী—আশার ছলনে ভুলি—প্রকাশিত হওয়ার পর যখন ঢাকায় গিয়েছিলাম, তখন এক পার্টিতে আমাকে একজন জিজ্ঞেস করেছিলেন, মাইকেলকে আমি কি বড় করতে চেয়েছি, নাকি ছোট করতে চেয়েছি? প্রশ্নটা শুনে আমি একেবারে আকাশ থেকে পড়েছিলাম। যাঁর জীবনী লিখছি, তাঁকে বড় করা জীবনীলেখকের কাজ নয়, ছোট করা তো নয়ই। জীবনীলেখককে হতে হবে নিরাসক্ত ও সত্যদ্রষ্টা। শতকরা এক শ ভাগ নিরাসক্ত হওয়া বোধ হয় অসম্ভব। তবু পাহাড়ের চূড়া থেকে নদীর বাঁক দেখার মতো খানিকটা দূরত্ব বজায় রেখে একটি নিরাসক্ত নজরুল-জীবনী লেখা আমাদের জন্য অত্যাবশ্যক। অত্যাবশ্যক কারণ, নজরুলের নামটা এখন নানাজন ব্যবহার করছেন তাঁদের নিজেদের কাজে। তাঁর নাম ভাঙিয়ে ফয়দা লুটছেন। যে নজরুল ছিলেন আপাদমস্তক অসাম্প্রদায়িক, তাঁর দোহাই দিয়ে আজ সাম্প্রদায়িকতাও প্রচার করা হচ্ছে। কবির প্রতি এর থেকে অবিচার আর কিছু হতে পারে না।<br />
<br /><br />
</div><script async="" src="//pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js"></script> <!--Text add next to link--> <ins class="adsbygoogle" data-ad-client="ca-pub-3929163608620072" data-ad-format="auto" data-ad-slot="7220893010" style="display: block;"></ins> <script>
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
</script> <div style="text-align: center;"><form action="https://drive.google.com/file/d/1auRqhlGBToDQgnkyIUL6Gy9W4aSHA9AL/view?usp=sharing" method="get"><button control-id="ControlID-1" type="submit">Read Or Download</button> </form></div><div id="gtx-trans" style="left: -18px; position: absolute; top: 2176px;"><div class="gtx-trans-icon"></div></div><div class="blogger-post-footer">দুনিয়ার পাঠক এক হও! আমাদের বই পড়া ও আলোচনার গ্রুপের ঠিকানা boierhut.com/fb</div>Unknownnoreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-9160257417354195010.post-46259630814294198392024-01-26T12:55:00.000-05:002024-01-26T12:55:22.726-05:00আশার ছলনে ভুলি (মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবনী) - গোলাম মুরশিদ<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><img alt="আশার ছলনে ভুলি (মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবনী) - গোলাম মুরশিদ" height="400" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjKHaUhBAQgxicjrW9d8npd79xPP5-OqP3Xh2FtXV1Af-05soMtsMmMWQS_aJMtl5QPsDanN2V1PF4bf2HDeGByQ-icKSlVLha8XRNt0FEzAwwgcwVV3YvKIQnti6Y86ZKWR5vuek2GY0Td/s800/ashar-chalane-vuli-biography-of-michael-madhusudan-dutt-by-golam-murshid.jpg" width="300" /></div><div style="text-align: left;"><span style="font-family: "solaimanlipi"; font-size: 14pt;"><br />
আশার ছলনে ভুলি (মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবনী)<br />
গোলাম মুরশিদ<br />
<br />
গল্পটা হয়তো খুব বড় না। ১৮২৪ এ জন্ম নেয়া একজন মানুষের গল্প। ছেলেবেলার প্রথম কয়েক বছর যশোরের গ্রামের বাড়িতেই। একটু বড় হয়ে মায়ের হাত ধরে যেতে হয় কলকাতাতে যেখানে বাবা কাজ করেন। সেখানেই বসবাস আর লেখাপড়ার সাথে সাথে অন্যরকম হয়ে ওঠা। পরে বাবার পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করতে না চাওযার দরুন ধর্ম পরিবর্তন। তাই নিয়ে টানাপোড়েন। সাথে বড় কবি হয়ে ওঠার স্বপ্ন। সচ্ছল জীবনের ছন্দপতন। একসময় মাদ্রাসে যাওয়া বা পালানো। সেখানেই সত্যিকারের কবি বা লেখক হয়ে ওঠার চেষ্টা। সাথে বিয়ে সংসার। একজন শেতাঙ্গ। রেবেকা। চার সন্তারের বাবা হওয়া। টানাটানির সংসার যাপন।<br />
<br />
সেখান থেকেও পালানো। বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর সম্পত্তির অধিকার নেয়ার যুদ্ধ। রেবেকার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করা। হেনরিয়েটার সাথে বিয়ে ছাড়া সংসার করা। সন্তানের পিতা হওয়া। পরপর তিনটি। এইসময়ে বাংলাতে লেখালেখির শুরু। শুরু ‘রত্নাবলী’ নাটকের ইংরেজি অনুবাদ দিয়ে হলেও দ্রুতই তিনি লিখে ফেলেন ‘শর্ম্মিষ্ঠা নাটক’। তারপর মাত্র চার বছরের মত সময়ে ‘মেঘনাদ বধ’এ পৌছে যাওয়া বা এই ধরণের ছোটখাট মহাকাব্য লিখে হাত পাকিয়ে নেয়ার চেষ্টা। কিন্তু ছোটখাট মহাকাব্যই যখন যশ এনে দিল তখন লেখালেখি প্রায় ছেড়েই দেয়া। তখন অন্য যশের পেছনে ছোটা। ব্যারিস্টার হতে হবে। তাই বিলেত যাত্রা। তার জন্য টাকাপয়সার যোগার যন্ত্র। সেখানে গিয়ে টাকপয়সার সংকটে পড়া। সেখানে হেনরিয়েটার আগমণ। তাই ফ্রান্সের ভার্সায় যাওয়া। ব্যারিস্টারি পড়া স্থগিত রেখে সেখানে থাকা। ইউরোপিয়ান কিছু ভাষা শেখা। ‘হেক্টর বধ’ অনুবাদ বা লেখা। পরে আবার বিলেতে ফিরে গিয়ে ব্যারিস্টারি পড়া শেষ করা। এই সময়ের মধ্যে বিদ্যাসাগরের দ্বারস্থ হওয়া। টাকা-পয়সার জন্য।<br />
<br />
ব্যারিস্টার হয়ে পসার করতে না পারা। উচ্চাভিলাসী জীবন যাপন। পরিণামে অর্থাভাব। নিজের এবং হেনরিয়েটার জীবন সংশয়কে এগিয়ে আনা। মৃত্যুর কয়েক সপ্তাহ আগে শর্মিষ্ঠার বিয়ে দেয়া। অথচ একসময় নিজে পিতার পছন্দে বিয়ে করেননি। সন্তানদের জন্য নিশ্চিত কোন ভবিষ্যৎ রেখে যেতে না পারা এক জীবন। কবি জীবন। ১৮৭৩ এ যার অবসান।<br />
</span></div><script async src="//pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js"></script> <!-- Text add next to link --> <ins class="adsbygoogle"
style="display:block"
data-ad-client="ca-pub-3929163608620072"
data-ad-slot="7220893010"
data-ad-format="auto"></ins> <script>
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
</script> <div style="text-align: center;"><form method="get" action="https://mega.nz/file/8aAnRD7Q#fPb1JTnEd2Zp4HOQQRPqnE9mSIw72-igeUzvNjnoZIo"><button type="submit">Read Or Download</button> </form>Password: amarboi.com</div><div class="blogger-post-footer">দুনিয়ার পাঠক এক হও! আমাদের বই পড়া ও আলোচনার গ্রুপের ঠিকানা boierhut.com/fb</div>Unknownnoreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-9160257417354195010.post-9058050413905108352024-01-26T12:53:00.000-05:002024-01-26T12:53:43.381-05:00মাইকেল মধুসূদন রচনাবলী <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><img alt="মাইকেল মধুসূদন রচনাবলী " height="400" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhtKk2keXVehZ3I-3ORbydyN36_o-5jaT6BfAf3hEDZna3CKOeyCILkA-N79Ua_-35GZWeckVlE2yla3VbSRM4mKHffn0TV0o13vPNGhjELHgFDDCLy3gzijKWDNnnicvpxBIYHTMtmWRpv/s600/madhu.png" width="600" /></div><div style="text-align: left;"><span style="font-family: "solaimanlipi"; font-size: 14pt;"><br />
মাইকেল মধুসূদন রচনাবলী<br />
<br />
আশার ছলনে ভুলি কি ফল লভিনু হায়,<br />
তাই ভাবি মনে?<br />
জীবন-প্রবাহ বহি কাল-সিন্ধু পানে ধায়,<br />
ফিরাব কেমনে?<br />
দিন দিন আয়ুহীন, হীনবল দিন দিন,—<br />
তবু এ আশার নেশা ছুটিল না? এ কি দায়!<br />
</span></div><script async src="//pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js"></script> <!-- Text add next to link --> <ins class="adsbygoogle"
style="display:block"
data-ad-client="ca-pub-3929163608620072"
data-ad-slot="7220893010"
data-ad-format="auto"></ins> <script>
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
</script> <div style="text-align: center;"><form method="get" action="https://mega.nz/file/sOA2zajK#Xl62zlNYJlOI_sX6orDfGxhLg1B8hN46prV5A-ktucs"> <button type="submit">Read Or Download</button> </form></div><div class="blogger-post-footer">দুনিয়ার পাঠক এক হও! আমাদের বই পড়া ও আলোচনার গ্রুপের ঠিকানা boierhut.com/fb</div>Anonymousnoreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-9160257417354195010.post-56894628537195931062024-01-26T10:20:00.000-05:002024-01-26T10:20:41.666-05:00গণতন্ত্র এবং উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ - প্রেক্ষাপট: বাংলাদেশের রাজনীতি এবং সামরিক শাসন - মওদুদ আহমদ<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh8vQiDqZpYEcUKtei5wuxu4zBWWUgIhFMgXsDiUftMXMyNuoEoWc51dmwjw2p4vYaj04UMdwFyJEMXRO8AVD_Z8bsC4dZUwdDH5ZdGiYj0HrhQkDNbNhb2158NwZYNWimU-9w2zySvoshP/s800/gonotontro-ebong-unnoyoner-chalange-moudud-ahmed.jpg" nofollow="" rel="lytebox" style="clear: left; float: left; margin-bottom: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="amarboi.com" height="400" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh8vQiDqZpYEcUKtei5wuxu4zBWWUgIhFMgXsDiUftMXMyNuoEoWc51dmwjw2p4vYaj04UMdwFyJEMXRO8AVD_Z8bsC4dZUwdDH5ZdGiYj0HrhQkDNbNhb2158NwZYNWimU-9w2zySvoshP/s400/gonotontro-ebong-unnoyoner-chalange-moudud-ahmed.jpg" width="300" /></a> বাংলাদেশে সুষ্ঠুভাবে গণতন্ত্র বিকশিত হতে না পারার প্রধান কারণ হলো ১৯৭৫ সালে আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক এক দলীয় শাসন কায়েম এবং পরবর্তীতে দেশের রাজনীতিতে সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপ। এদেশের প্রথম কুড়ি বছরের মধ্যে পনের বছরই দু’জন সামরিক প্রধানের অধীনে দেশ পরিচালিত হয়, যেখানে উভয়ের মধ্যে যেমন ছিল সাদৃশ্য তেমনি ছিল বৈসাদৃশ্যও। জিয়া এবং এরশাদের সময় সাংবিধানিক শাসন, লোক প্রশাসন এবং আদালতের প্রচলিত বিচার ব্যবস্থা ব্যাহত হয় এবং রাজনীতিতে সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ত করা হয়। কোন গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অনুসরণ না করে তাঁরা সামরিক আইন বা ডিক্রীর মাধ্যমে নিজেদের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাঁরা দেশ শাসনে রাজনীতিবিদদের চাইতে আমলাদের উপর বেশি নির্ভর করেছেন। তখন রাষ্ট্রের শাসন ক্ষমতা রাজনীতিবিদদের হাত থেকে আমলা ও টেকনোক্র্যাটদের কাছে চলে যায়। ফলে সামগ্রিক শাসন ব্যবস্থার চরিত্র ও রূপ বদলে যায় এবং দেশে রাজনৈতিক নেতৃত্বের সংকট সৃষ্টি হয়। বইটি বাংলাদেশের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী মওদুদ আহমদ কর্তৃক রচিত একটি অনন্য গ্রন্থ। দেশে গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় তিনি উল্লেখিত দুই সরকারের অধীনেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সামরিক হস্তক্ষেপের ফলে তৃতীয় বিশ্বের দেশসমূহে সামরিক শাসকরা কিভাবে দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও গণতান্ত্রিক উপাদানসমূহকে বিনষ্ট করে এই গ্রন্থে সে বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। লেখক বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি চমৎকার চালচিত্র তুলে ধরেছেন এই বইতে। এটা শুভ দিক যে, বাংলাদেশ পুনরায় গণতান্ত্রিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। যদিও এই বিষয়টি এই গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়নি, তবে এই বইয়ে লিপিবদ্ধ ঘটনা এবং ইস্যুসমূহ বাংলাদেশ ও তৃতীয় বিশ্বের গণতন্ত্রের যাত্রাকে ভালভাবে বুঝতে সাহায্য করবে।<br />
কর্নেল (অব.) আবু তাহেরের ফাঁসি হয় সামরিক ট্রাইব্যুনালে ১৯৭৬ সালে। সেই বিচার ছিল গোপন বিচার। সেই বিচার সম্পর্কে প্রকাশ্যে জানবার কোনো সুযোগ ছিল না। হালে মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব.) আবু তাহেরের আত্মীয়দের আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টে এই হত্যা মামলার শুনানি চলছে। সরকারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে সেই গোপন বিচারের নথি আদালতে হাজির করতে। কিন্তু নথির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। <br />
আদালত তখনকার দায়িত্বশীল সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তিদের বক্তব্য শুনবার উদ্যোগ নিয়েছে। এই প্রসঙ্গে আদালতে আলোচিত হয়েছে মওদুদ আহমদ-এর ‘গণতন্ত্র এবং উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ, প্রেক্ষাপট : বাংলাদেশের রাজনীতি এবং সামরিক শাসন’ শীর্ষক বইটির কথা। <br />
সাবেক সামরিক শাসক এরশাদ, বিএনপি নেতা জিয়াউর রহমান এবং বেগম খালেদা জিয়ার মন্ত্রী সভার সদস্য ছিলেন মওদুদ আহমদ। মওদুদ আহমদ রচিত এই বইয়ের ২৬-২৯ পৃষ্ঠার কিছু অংশ। সম্পূর্ণ বইটির ডাউনলোড লিঙ্ক নিচে দেওয়া হলো। <br />
<br />
নবেম্বর ২৩ রাতে, মুক্তি পাবার মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে এম এ জলিল, আ স ম আব্দুর রব এবং অন্যান্য জাসদ নেতাকে আবার গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন আধা সামরিক বাহিনী আবু তাহেরের বাড়ি ঘেরাও করে এবং তাঁকে অন্তরীণাবদ্ধ করা হয়। ক্রমান্বয়ে দেশব্যাপী বিপুলসংখ্যক জাসদ কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। সরকারের এই তৎপরতায় জাসদ কর্মীরা আত্মগোপন করতে বাধ্য হয়।<br />
জিয়া এখানেই থেমে থাকেননি। সেনাবাহিনীতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে তিনি বিদ্রোহী সংগঠন এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে তাহেরের বিচার করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল সেনাবাহিনী থেকে জাসদপন্থিদের উৎখাত করা। এতদুপলক্ষে তাহের এবং অন্যান্য প্রথম সারির নেতাদের ওপরই প্রথম কোপদৃষ্টি নিক্ষেপ করা হয়। ক্যান্টনমেন্টসমূহে সংঘটিত ঘটনাবলি, বিশেষ করে অফিসারদের হত্যার পর সেনাবাহিনীর অফিসারদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরাজ করছিল একটা নিরাপত্তাহীনতা এবং অভ্যুত্থানের নায়কদের শাস্তি দেবার জন্য ক্রমশ চাপ দেয়া হচ্ছিল। মামলার আয়োজন করতে সরকারের প্রায় ছয় মাস সময় লেগে যায়। ১৯৭৬ সালের মে মাসে তাহেরকে হেলিকপ্টারে করে রাজশাহী থেকে ঢাকা এনে কেন্দ্রীয় কারাগারে নির্জন প্রকোষ্ঠে অন্তরীণ রাখা হয়। তিন সপ্তাহের মধ্যে একটি অধ্যাদেশ বলে গঠন করা হয় একটি বিশেষ সামরিক ট্রাইব্যুনাল। পাকিস্তান প্রত্যাগত সেনা অফিসার কর্নেল ইউসুফ হায়দারকে এই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয়।<br />
সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, এই বিচার করা হবে পর্দার অন্তরালে এবং সংবাদ মাধ্যমে এর কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করতে দেয়া হবে না। আইনজ্ঞরা বিচারের আগে গোপনীয়তা রক্ষা করার ব্যাপারে শপথ করবেন এবং তাহেরের বিচারকার্য সম্পন্ন হবে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে। এর আগে কারাগারের অভ্যন্তরে এমন ধরনের আর কোনো বিচারের আয়োজন করা হয়নি।৫০ তাহের বাদে আরো ৩২ জনকে একই অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। এঁদের মধ্যে ২২ জন ছিলেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য এবং বাকিরা ছিলেন জলিল, রব, সিরাজুল আলম খান, মো. শাহজাহান, মাহবুবুর রহমান মান্না, হাসানুল হক ইনু, ড. আখলাকুর রহমান এবং সাপ্তাহিক ওয়েভ পত্রিকার সম্পাদক কে বি এম মাহমুদের মতো জাসদের প্রথম সারির নেতৃবৃন্দ। <br />
নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে ১৯৭৬ সালের ২১ জুন কারাগারের অভ্যন্তরে বিচারের কাজ শুরু হয়। একই বছর ১৭ জুলাই তা সমাপ্ত হয়। একই দিনে ট্রাইব্যুনাল ফাঁসিতে তাহেরের মুত্যুদ-াদেশ কার্যকর করার পক্ষে রায় ঘোষণা করে। অন্যান্য জাসদ নেতাকেও বিভিন্ন মেয়াদের সাজা দেয়া হয়। জলিলকে দেয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদ-, রবের ১০ বছর এবং মেজর জিয়াউদ্দিন ও সিরাজুল আলম খানের পাঁচ বছর করে কারাদ-াদেশ বহাল থাকে। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে ফাঁসির দ-াদেশপ্রাপ্ত ক্ষুদিরাম বসু এবং সূর্যসেনের পরে এই প্রথম রাজনৈতিক কারণে কারো বিরুদ্ধে মৃত্যুদ-াদেশ প্রদান করা হলো। আদালতে তাহের নিজের জীবনবৃত্তান্ত, প্রেক্ষাপট, মুক্তিযুদ্ধকালে নিজের ভূমিকা, একজন মেধাবী সেনা অফিসার হিসেবে তাঁর কর্মতৎপরতা এবং ৬ ও ৭ নবেম্বরের সিপাহি-জনতা অভ্যুত্থানে তাঁর ভূমিকার বিশদ বিবরণ দিয়ে এক সুদীর্ঘ বিবৃতি প্রদান করেন। রাষ্ট্রদ্রোহিতা এবং সিপাহি বিদ্রোহের অভিযানের প্রত্যুত্তরে তিনি বলেন-<br />
এটা একটা রেকর্ডকৃত নথির অংশবিশেষ যে, ১৯৭৫ সালের ৬/৭ নবেম্বর রাতে কতিপয় ষড়যন্ত্রকারীর অসৎ উদ্দেশ্যমূলক ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করার লক্ষ্যে আমার নেতৃত্বে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে একটি সেনা অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়। এতে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে অন্তরীণদশা থেকে মুক্ত করা হয় এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা হয়। এটা যদি রাষ্ট্রদ্রোহিতা হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে তাহলে সে অপরাধে আমি অপরাধী। আমি যদি কোনো অপরাধ করে থাকি, তবে তা হলো শৃঙ্খলা পুনঃস্থাপন করার অপরাধ, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার অপরাধ, দেশের সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফকে অন্তরীণদশা থেকে মুক্ত করার অপরাধ এবং সর্বোপরি বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আমার অগাধ আস্থা স্থাপনের অপরাধ।<br />
তাহের আরো দাবি করেন যে তিনি জিয়া এবং প্রধান বিচারপতি সায়েমকে এই মর্মে সমর্থন জ্ঞাপন করেছিলেন যে, সকল রাজবন্দিকে মুক্তি দেয়া হবে, রাজনৈতিক কর্মকা- শুরু করার অনুমতি দেয়া হবে এবং জনগণের সরকার কায়েমের জন্য অনুষ্ঠিত হবে একটি সাধারণ নির্বাচন। তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, গৃহবন্দি থাকাকালে ভোর চারটার সময় জিয়া তাঁকে টেলিফোন করে তাঁর সাহায্য ভিক্ষা করেন এবং ৪ নবেম্বর জিয়া সৈন্যসহ সেখানে গিয়ে তাঁকে মুক্ত করার জন্য তাহেরের কাছে একটি গোপন বার্তা প্রেরণ করেন। এরপর তিনি কিভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তা বর্ণনা করতে গিয়ে আদালতে তাহের বলেন : <br />
আমাদের সেনাসদস্যদের সঙ্গে গভীর আলোচনা ও যোগাযোগের পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়। ৬ নবেম্বর আমি ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের সকল ইউনিটের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখা এবং আমার পরবর্তী নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করার জন্য ইউনিট প্রতিনিধিদের মাধ্যমে আহ্বান জানাই। ৬ নবেম্বর শেষ রাত নাগাদ ইউনিটের সকলেই ছিলেন পুরোপুরি সজাগ। পরিকল্পনা নেয়া হয় যে, ৭ নবেম্বর প্রত্যুষে সেনা অভ্যুত্থান শুরু করা হবে। আমাদের সিদ্ধান্ত ছিল (১) ক্ষমতা কোটারি হতে খালেদ মোশাররফকে অপসারণ করা; (২) জিয়াউর রহমানকে অন্তরীণদশা থেকে মুক্ত করা; (৩) একটি বিপ্লবী সামরিক কম্যান্ড কাউন্সিল গঠন করা; (৪) দলমতনির্বিশেষে সকল রাজবন্দির মুক্তি প্রদান করা; (৫) রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ওপর থেকে সকল আটকাদেশ রহিত করা; (৬) বাকশাল বাদে অন্য সকল রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে একটি সর্বদলীয় গণতান্ত্রিক জাতীয় সরকার গঠন করা এবং (৭) বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা ঘোষিত ১২ দফা দাবিনামা বাস্তবায়ন করা।<br />
তাহের বলেন, গোড়া থেকেই সব কিছু অগ্রসর হচ্ছিল পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী। তিনি বলেন : <br />
প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে রেডিও, টেলিফোন, টিভি, পোস্ট অফিস, এয়ারপোর্ট এবং অন্য গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলো দখল করা হয়। প্রত্যুষে জিয়াকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় সেকেন্ড আর্টিলারি হেডকোয়ার্টার্সে। সকাল তিনটার কাছাকাছি সময়ে আমি আমার বড় ভাই ফ্লাইট সার্জেন্ট আবু ইউসুফ খানকে সঙ্গে নিয়ে ক্যান্টনমেন্টে যাই। সেখানে আমি জিয়াকে নাইটড্রেস পরিহিত অবস্থায় ব্রিগেডিয়ার মীর শওকত আলী ও আরো কতিপয় অফিসার এবং সিপাহির সঙ্গে কথাবার্তা বলতে দেখি। জিয়া আমাকে আলিঙ্গনাবদ্ধ করেন, তাঁকে রক্ষা করায় আমার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, তাঁর প্রাণ রক্ষা করায় তিনি আমার এবং জাসদের প্রচেষ্টার কাছে ঋণী। তিনি বলেন, তিনি এত কৃতজ্ঞ যে, আমরা তাকে যা করতে বলব তিনি তাই করবেন। আমরা তাঁর সঙ্গে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে কিছুক্ষণ আলোচনা করি এবং সকাল আনুমানিক ৪টার দিকে বেতার ভবনে (রেডিও বাংলাদেশ) যাই। পথে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ করণীয় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করি।৫৪ সেনাবাহিনীতে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলা এবং অসন্তোষের অভিযোগ সম্পর্কে তাহের ১৫ আগস্ট এবং ৩ নবেম্বর সংঘটিত ঘটনাবলি বিবেচনা করার জন্য ট্রাইব্যুনালের কাছে আবেদন জানান। তিনি বলেন, সে সময় সংঘটিত হত্যাকা- ও অন্যান্য ঘটনার জন্য কোনো অফিসারকে দোষীসাব্যস্ত করা হয়নি বা কোনো বিচারের আয়োজন করা হয়নি। পক্ষান্তরে ১৫ আগস্ট হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত অফিসাররা বরং তাদের ঊর্ধ্বতন অফিসারের বরাবরে নির্দেশনামা পাঠিয়েছে। তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর চেইন অব কম্যান্ড ইতিপূর্বেই বার বার বিখ-িত হয়েছে। এতে প্রমাণিত হয় যে, অসন্তোষ এবং বিশৃঙ্খল অবস্থা সেনাবাহিনীতে অনেক আগে থেকেই বিরাজ করছিল। <br />
আইনের মাধ্যমে সুপ্রতিষ্ঠিত একটি সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ সম্পর্কে তাহের পুনরায় শেখ মুজিব এবং তাঁর পরিবারকে হত্যাকারী ঘটনাসমূহ দৃষ্টান্ত হিসেবে তুলে ধরেন। তিনি বলেন যে, মুশতাক জিয়াকে চিফ অব স্টাফ নিযুক্ত করেছিলেন, সেই মুশতাকের সরকারকেও এক সময় উৎখাত করা হয়েছিল। ‘সে ব্যাপারে কিছুই করা হয়নি। কাউকে বিচার করা হয়নিÑউপরন্তু তাদের সকলকে করা হয়েছে পুরস্কৃত। বর্তমান জিয়া সরকার শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকা- এবং পরবর্তীকালে খালেদ মোশাররফকে ক্ষমতাচ্যুত করার ফলেই ক্ষমতা দখল করতে সক্ষম হয়েছেন।’<br />
তাহের আরো উল্লেখ করেন, ৭ নবেম্বর অভ্যুত্থানে সবচাইতে বেশি লাভবান হয়েছেন জিয়া এবং এই অভ্যুত্থান না ঘটলে এতদিন তিনি বেঁচেই থাকতেন না। জিয়াকে মুক্ত করার ঘটনা বর্ণনা করে তিনি বলেন, আমার নির্দেশে পরিচালিত অভ্যুত্থানে জিয়া আত্মরক্ষা করতে সমর্থ হয়েছেন।৫৬ তিনি এই বলে তাঁর বিবৃতি শেষ করেন যে, জিয়া তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে রাষ্ট্রদ্রোহিতার পরিচয় দিয়েছেন। তাঁর ভাষায় ‘আমাদের ইতিহাসে এ ধরনের বিশ্বাসঘাতকতার একটি মাত্র দৃষ্টান্ত রয়েছে। সেটা হলো মীর জাফরের বিশ্বাসঘাতকতাÑ যিনি বাংলাদেশ এবং উপমহাদেশের জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করায় আমাদের ২০০ বছরের জন্য দাসত্ব বরণ করতে হয়েছে। সৌভাগ্যক্রমে এটা ১৭৫৭ সাল নয়। এটা ১৯৭৬ সাল। আমাদের রয়েছে বিপ্লবী সৈনিক এবং বিপ্লবী জনগণ যারা জিয়াউর রহমানের মতো বিশ্বাসঘাতকদের ষড়যন্ত্রের সমুচিত জবাব দেবে।<br />
১৯৭৬ সালের ২১ জুলাই ভোর চারটায় ফাঁসিতে তাহেরের মৃত্যুদ-াদেশ কার্যকর করা হয়। এর ফলে দেশের রাজনৈতিক আকাশে কোনো ঝড়ের পূর্বাভাস পরিলক্ষিত হয়নি। এর প্রধান কারণ ছিল এই যে, বিচার অনুষ্ঠিত হয় পর্দার অন্তরালে কঠোর গোপনীয়তার সঙ্গে এবং সংবাদ মাধ্যমের ওপর জারি ছিল কঠোর নিষেধাজ্ঞা। অন্যদিকে শহরের প্রকাশ্য সংগঠন জাসদের প্রথম সারির সকল নেতাই ছিলেন অন্তরীণ। যা-ই হোক, দেশের প্রায় সকল রাজনৈতিক দল, রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী মহল, এমন কি অনেক বিদেশি সংগঠন ও ব্যক্তিত্বও তাঁর প্রাণ রক্ষার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানান। তাহের নীরবে মৃত্যুবরণ করলেও দেশের রাজনৈতিক মহল এবং সামরিক অঙ্গনে এই মৃত্যুদ-াদেশের কারণে প্রবল প্রতিক্রিয়া প্রত্যক্ষ করা গেছে। যাঁরা ৭ নবেম্বরের অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেছেন এবং যারা করেন নি, সকলের মধ্যেই এই ঘটনা এক বিষময় প্রভাব রেখে গেছে। তাহের যে রাজনৈতিক বাণী রেখে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন তা সশস্ত্রবাহিনীর সর্বনিম্ন পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে যায় এবং তা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং দেশের রাজনৈতিক উন্নয়নে সুগভীর প্রভাব বিস্তার করে রাখে। <br />
প্রশ্ন থেকে যায় : যে তাহের জিয়াকে অন্তরীণাবস্থা থেকে মুক্ত করে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করলেন, জিয়া কেন তাঁর মৃত্যুদ-াদেশ কার্যকর হতে দিলেন? স্বাধীনতা যুদ্ধকালে তাঁরা একই সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন এবং দীর্ঘদিন যাবৎ পরস্পরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে পরিচিত ছিলেন।৫৮ স্বাধীনতার পরে জিয়াকে পাকিস্তান থেকে প্রত্যাগত অফিসারদের সঙ্গে ভারসাম্য বিধান করে সেনাবাহিনীতে নিজের অবস্থান জোরদার করতে হয়েছে। যে সমস্ত অফিসার সরাসরি যুদ্ধে যাননি, শেখ মুজিব হত্যাকা- এবং মুশতাকের অপসারণের পর তাঁরা জিয়ার মধ্যে নিজেদের স্বার্থ রক্ষার্থে একজন বন্ধু খুঁজে পান। দেশের সামরিক-বেসামরিক ক্ষমতা কাঠামোতে একটি শ্রেণী ও শক্তি হিসেবে টিকে থাকার জন্য এঁরা পরস্পরের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করছিলেন। তাহেরের মৃত্যুদ-াদেশের প্রশ্নে পাকিস্তান প্রত্যাগত অফিসাররা সবসময় ইতিবাচক সায় দিয়েছেন। এ ব্যাপারে জিয়া ৪৬ জন সিনিয়র সামরিক অফিসারের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং সকলেই একবাক্যে তাহেরের জন্য চূড়ান্ত শাস্তির পক্ষে সায় দেন।<br />
<a href="https://drive.google.com/file/d/1IzVn6NsiDJkQyMmuparQq3jPQOPb4ylt/view?usp=sharing" onclick="window.open(this.href, '', 'resizable=no,status=no,location=no,toolbar=no,menubar=no,fullscreen=no,scrollbars=no,dependent=no,width=800,height=1000'); return false;" rel="nofollow">Download</a> <div class="blogger-post-footer">দুনিয়ার পাঠক এক হও! আমাদের বই পড়া ও আলোচনার গ্রুপের ঠিকানা boierhut.com/fb</div>Anonymousnoreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-9160257417354195010.post-75405024961032002562024-01-26T08:10:00.002-05:002024-01-26T08:10:10.828-05:00বাঘ হাতি হরিণ - বিমলকুমার ভট্টাচার্য্য<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<img alt="amarboi" height="800" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj1JgTnDthyHigGCbWeNjsyws_IzFUERbhIbTYvdKroGzI37HXcyPPGBloYetOuK_TOx453TMfa8n3b1uwjyNlVB8EPxX4tg4Fly9lq-ZqtrgkILnXjrluBRfSkvh5FHO_y1unTAQmbSH1l/s1600/bagh-haati-harin.jpg" width="600"></div>
বাঘ হাতি হরিণ - বিমলকুমার ভট্টাচার্য্য
<br>
<br>
<span></span><a href="https://www.amarboi.com/2024/01/bagh-haati-harin.html#more"></a><div class="blogger-post-footer">দুনিয়ার পাঠক এক হও! আমাদের বই পড়া ও আলোচনার গ্রুপের ঠিকানা boierhut.com/fb</div>Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-9160257417354195010.post-69393471186346265232024-01-25T07:57:00.000-05:002024-01-25T07:57:50.392-05:00ভালোবাসা প্রীতিলতা - সেলিনা হোসেন<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjYC9nlJ3xTYbtG9mpRDCwNpRygO10GqIXfofXu0D0-ULfMCNjvwy-gPrGXzr-RkRLKWcV8qqJgu8v5J3ZmLGlsSURjMEr3cOSWXN7HCW4FE3pc59NJzkYv05d6FWyp5SgdXmQjtSGAF93W/s400/cover.jpg" rel="nofollow" style="clear: left; float: left; margin-bottom: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="ভালোবাসা প্রীতিলতা - সেলিনা হোসেন" height="400" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjYC9nlJ3xTYbtG9mpRDCwNpRygO10GqIXfofXu0D0-ULfMCNjvwy-gPrGXzr-RkRLKWcV8qqJgu8v5J3ZmLGlsSURjMEr3cOSWXN7HCW4FE3pc59NJzkYv05d6FWyp5SgdXmQjtSGAF93W/s400/cover.jpg" width="300" /></a> ভালোবাসা প্রীতিলতা - সেলিনা হোসেন<br />
রামকৃষ্ণ বিশ্বাস এখন ফাঁসির আসামি। আলিপুর জেলে মৃত্যুকুঠুরিতে দিন গুনছে। হাইকোর্টে আপিল করা হয়েছে।<br />
দৈনিক পত্রিকার পৃষ্ঠায় খবরটি পড়ে প্রীতিলতা কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে থাকে। কোন রামকৃষ্ণ? চট্টগ্রাম কলেজে একজন পড়তেন, ভালো ছাত্র হিসেবে নাম শুনেছিল। বৃত্তি নিয়ে পড়াশোনা করছিল রামকৃষ্ণ। কখনো দেখা হয়নি। যদি সেই রামকৃষ্ণ না হয়, তবে তো অন্য কেউ হবে। তাতে কিছু এসে যায় না। প্রিয় শহর চট্টগ্রাম। বিপ্লবীদের অনেকেই চট্টগ্রামের। যে রামকৃষ্ণই হোক, সে তার চট্টগ্রামের। প্রীতিলতা স্তব্ধ হয়ে–থাকা থেকে বেরিয়ে এসে সংবাদপত্রের অন্য পৃষ্ঠায় যায়। কিন্তু পড়া হয় না। আবার নিজের ভাবনা তাকে স্তব্ধ করে দেয়। পত্রিকা ভাঁজ করে নিজের হাতের মুঠোয় রাখে।<br />
ওর প্রিয় চট্টগ্রামের বিপ্লবী রামকৃষ্ণের কথা ও আগে কখনো শোনেনি। নামটাও জানা ছিল না। তবু একই জেলার বলে ওকে বেশি কাছের মানুষ মনে হয়। এই অনুভব এক ধরনের হৃদয়ের বন্ধন, যে বন্ধন দিয়ে অনেক দূরের মানুষ কাছে আসে, যা নিবিড় হয়ে প্রীতি, ভালোবাসা, মমতার ঘেরাটোপ তৈরি করে। রামকৃষ্ণ বিশ্বাস এবং ফাঁসির আসামি — এই চারটি শব্দ দৈনিক পত্রিকার পৃষ্ঠার অন্যসব অক্ষর মুছে দিয়ে বিশাল হয়ে ওঠে। শব্দগুলো পরস্পরের সঙ্গে এত গভীরভাবে জড়িয়ে আছে যে, তাকে বিচ্ছিন্ন করা যায় না। অন্তত প্রীতিলতার দৃষ্টি থেকে কিছুতেই দূরে সরে না। ফলে প্রীতিলতা অস্থিরতা বোধ করে। মনের ভেতরে ইচ্ছার কাঠঠোকরা পাখিটা কুটকুট শব্দে ঠুকরে যাচ্ছে। বলছে, আমি ওকে দেখতে চাই। একবার, শুধু একবার দেখব। এখন এই কলকাতা শহরে আমি আছি। এত কাছে থেকে আমি যদি রামকৃষ্ণ বিশ্বাসকে না দেখি, তবে নিজেকেই ক্ষমা করতে পারব না। ওকে দেখে, ওর মৃত্যুর সাহস বুকে নিয়ে ফিরে যাব চট্টগ্রামে।<br />
নিজের এই ইচ্ছায় চমকে ওঠে ও। নিজেকে নিয়ে বিব্রত বোধ করে। তারপর নিজেকে শাসায়, এ কী ভাবছ, প্রীতিলতা! নিজে বিপ্লবী হয়ে জান না যে, গোপনীয়তা বিপ্লবীদের প্রাথমিক শর্ত।<br />
জানি, জানি। তবু একজন মৃত্যুপথযাত্রী সাহসী মানুষকে আমার দেখতেই হবে। এইসব মানুষ হাজার হাজার জন্মায় না। এদের দেখতে যাওয়া পুণ্যের কাজ। ভগবান আমার সহায় হবেন।<br />
প্রীতিলতা জানালায় এসে দাঁড়ায়। বাইরে খোলা প্রান্তর — যতদূর চোখ যায়, কেবলই সবুজ। হোস্টেলের মেয়েদের কথা ভেসে আসছে। যেন কলধ্বনি নয়, প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ। কাছে কোথাও বোমা ফাটল বুঝি, নাকি কেউ পিস্তলের ট্রিগার টিপল। প্রীতিলতা দু-হাতে নিজের মাথা চেপে ধরে। না, কোথাও তো কোনো শব্দ নেই। বাইরে পাখি ডাকছে একটি। মনে পড়ে, ছোটোবেলায় ক্ষুদিরামের কথা শুনেছিল। ক্ষুদিরাম হাসতে হাসতে ফাঁসির মঞ্চে গিয়ে উঠেছিল। রামকৃষ্ণ কি ক্ষুদিরামের মতো মৃত্যুকুঠুরিতে বসে হাসছে? মরণ কী? মরণ কেমন? দর্শনের ছাত্রী প্রীতিলতা মৃত্যুর কথা ভেবে ব্যাকুল হয়ে ওঠে। কিছুতেই ভাবতে পারে না যে, মরণ এক গভীর অন্ধকার। ওর মনে হয়, মরণ স্বপ্নময় জগৎ — মানুষ যে স্বপ্ন দেখে নিজে বাঁচে এবং অন্যকে বাঁচতে শেখায়, অন্তত তেমন মৃত্যু — ফাঁসির আসামি যাকে বীরের মতো বরণ করে। মৃত্যুকে জীবনের স্রোত বলা যায়। একজন থেকে আর একজনের কাছে আসে মহত্ত্বের বাণী নিয়ে। দেশের জন্য, মানুষের জন্য অবিনাশী বাণী। মৃত্যু তো ক্ষুদিরামের হাসিকে ম্লান করতে পারেনি। রামকৃষ্ণের হাসিকেও পারবে না। তখন প্রীতিলতার চোখের সামনে যতদূর দেখা যায়, সবুজ প্রান্তরটি অজস্র ফুলে রঙিন হয়ে ওঠে। মৃত্যুকে ফুলের মতো দু-হাতে নিয়ে রামকৃষ্ণ হেঁটে আসছে। পত্রিকার পৃষ্ঠার এই খবর ওকে তাড়িত করে না। ও বুঝতে পারে যে, ওর এই অস্থিরতা কোনো দুঃসংবাদ শোনার জন্য নয়। এই অস্থিরতার মধ্যে প্রচণ্ড আবেগ আছে। চিত্তচাঞ্চল্যের তাড়না আছে। এই আবেগ একজন বিপ্লবী থেকে অন্য বিপ্লবীতে সঞ্চারিত হয়। ফলে যত বিপদই হোক, রামকৃষ্ণকে দেখার জন্য প্রীতিলতা মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে। এই দেখা করার মধ্যে বিপ্লবীদের গোপনীয়তা রক্ষা করার শর্ত ও কোনোভাবেই ক্ষুণ্ণ করবে না।<br />
<script async src="//pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js"></script><br />
<!-- Text add next to link --><br />
<ins class="adsbygoogle"
style="display:block"
data-ad-client="ca-pub-3929163608620072"
data-ad-slot="7220893010"
data-ad-format="auto"></ins><br />
<script>
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
</script><br />
<a href="https://drive.google.com/file/d/1ecVRTrTlwbo4jIiB71yAfs4Dxoi2nmZX/view?usp=sharing" rel="nofollow" onclick="window.open(this.href, '', 'resizable=no,status=no,location=no,toolbar=no,menubar=no,fullscreen=no,scrollbars=no,dependent=no,width=800,height=1000'); return false;"><b>Download</b></a> and <a href="https://www.facebook.com/groups/boierhut/" rel="nofollow" target="blank"><b>Comments/Join our Facebook Group</b></a><div class="blogger-post-footer">দুনিয়ার পাঠক এক হও! আমাদের বই পড়া ও আলোচনার গ্রুপের ঠিকানা boierhut.com/fb</div>Unknownnoreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-9160257417354195010.post-54784597338500278202024-01-14T12:26:00.000-05:002024-01-14T12:26:02.088-05:00বাংলা ভাষার উদ্ভব ও অন্যান্য - গোলাম মুরশিদ<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<img alt="বাংলা ভাষার উদ্ভব ও অন্যান্য - গোলাম মুরশিদ" height="800" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjm9T4kvleARz2C-RELNllQ18SwLZ_KJuaf35o5VMoo9tBh11VA0fLHdSHEwL5LYYhBbSi44GjZ71JIkp_QANj0HpQpfTvCOc-WRFExiaQaRB730VSVr2Cn_VCmKmAftxg8v8IwWCV7Tzci/s1600/bangla.png" width="600"></div>
বাংলা ভাষার উদ্ভব ও অন্যান্য - গোলাম মুরশিদ
<br>
<br>
<span></span><a href="https://www.amarboi.com/2024/01/bangla-bhashar-udbhab.html#more"></a><div class="blogger-post-footer">দুনিয়ার পাঠক এক হও! আমাদের বই পড়া ও আলোচনার গ্রুপের ঠিকানা boierhut.com/fb</div>Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-9160257417354195010.post-19201130862985535112024-01-13T11:56:00.002-05:002024-01-13T11:56:14.787-05:00কেমন করে সিনেমা তৈরি হয় - বঙ্গানুবাদ: অমিতাভ চক্রবর্তী<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<img alt="কেমন করে সিনেমা তৈরি হয় - বঙ্গানুবাদ: অমিতাভ চক্রবর্তী" height="800" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgtowWB69nZS7tx9c5edhcQnTytqeu6MXe1LXokVvjkLq05D6opAcTXwWSEE2MgoscA5D-VRYwxXPlzDCjpl56KD53vZncOqIdtVVvNhtiqeXef8I6P3e8_WaYaP1x-b5fSMeRd1yAi7ffv/s1600/kemon.png" width="600"></div>
কেমন করে সিনেমা তৈরি হয় - বঙ্গানুবাদ: অমিতাভ চক্রবর্তী
<br>
<br>
<span></span><a href="https://www.amarboi.com/2024/01/kemon-kore-cinema.html#more"></a><div class="blogger-post-footer">দুনিয়ার পাঠক এক হও! আমাদের বই পড়া ও আলোচনার গ্রুপের ঠিকানা boierhut.com/fb</div>Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-9160257417354195010.post-73325411096879328572024-01-13T11:38:00.001-05:002024-01-13T11:38:03.634-05:00গ্রন্থাগারের রূপ ও বিকাশ - বিমলকুমার দত্ত<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<img alt="গ্রন্থাগারের রূপ ও বিকাশ - বিমলকুমার দত্ত" height="800" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjuGU2-XAfSVzHmJc_lxSPI1rGLPBQv15_DLgYnbvGQDvIXUWIg7A2osWdyfDxTQOSEmg4NvKjfzuF86bbOkh4Wh8tqYnjWTbTXL64hzgi1bB85MAoxNILa0PHYLOLD35FBVfAkRBl-qLHQ/s800/no-cover.png" width="600"></div>
গ্রন্থাগারের রূপ ও বিকাশ - বিমলকুমার দত্ত
<br>
<br>
<span></span><a href="https://www.amarboi.com/2024/01/granthagar.html#more"></a><div class="blogger-post-footer">দুনিয়ার পাঠক এক হও! আমাদের বই পড়া ও আলোচনার গ্রুপের ঠিকানা boierhut.com/fb</div>Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-9160257417354195010.post-17456428752546864942024-01-13T11:12:00.000-05:002024-01-13T11:12:37.824-05:00বিট প্রজন্ম অফবিট প্রসঙ্গ<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<img alt="amarboi" height="800" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEil_rMuqnv2Liq4xv5LddbZ0Ttidb5UKcR1Ll1Nb7akwf6Rb4qrSDLOulOcSqAmrnP8zkaVp3DzRqo-6MaMzzSzGweXne7r5d2DvxLP6shUBvfQu5rGrC1WA3kUL9v2394D-zRsuPFxP0Ib/s1600/beat.png" width="600"></div>
বিট প্রজন্ম অফবিট প্রসঙ্গ
<br>
<br>
<span></span><a href="https://www.amarboi.com/2024/01/beat-projonmo.html#more"></a><div class="blogger-post-footer">দুনিয়ার পাঠক এক হও! আমাদের বই পড়া ও আলোচনার গ্রুপের ঠিকানা boierhut.com/fb</div>Unknownnoreply@blogger.com0