Showing posts with label মুক্তিযুদ্ধ. Show all posts
Showing posts with label মুক্তিযুদ্ধ. Show all posts
মুক্তিযুদ্ধে আদিবাসী - প্রমথ গুপ্ত
This is the largest online Bengali books reading library. In this site, you can read old Bengali books pdf. Also, Bengali ghost story books pdf free download. We have a collection of best Bengali books to read. We do provide kindle Bengali books free. We have the best Bengali books of all time. We hope you enjoy Bengali books online free reading.
Labels:
Liberation of bangladesh,
প্রমথ গুপ্ত,
মুক্তিযুদ্ধ
একাত্তরের দিনগুলি - শহীদ জননী জাহানারা ইমাম

তবে তাই হোক। হৃদয়কে পাথর করে, বুকের গহীনে বহন করা বেদনাকে সংহত করে দুঃখের নিবিড় অতলে ডুব দিয়ে তুলে আনি বিন্দু বিন্দু মুক্তোদানার মতো অভিজ্ঞতার সকল নির্যাস। আমরা ফিরে তাকাই আমাদের চরম শোক ও পরম গৌরবে মন্ডিত মুক্তিযুদ্ধের সেই দিনগুলোর দিকে। এক মুক্তিযোদ্ধার মাতা, এক সংগ্রামী দেশপ্রেমিকের স্ত্রী, এক দৃঢ়চেতা বাঙালি নারী আমাদের সকলের হয়ে সম্পাদন করেছেন এই কাজ। বুকচেরা আর্তনাদ নয়, শোকবিহ্বল ফরিয়াদ নয়, তিনি গোলাপকুঁড়ির মতো মেলে ধরেছেন আপনকার নিভৃততম দুঃখ অনুভূতি। তাঁর ব্যক্তিগত শোকস্মৃতি তাই মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় আমাদের সকলের টুকরো টুকরো অগণিত দুঃখবোধের অভিজ্ঞতার সঙ্গে, তাঁর আপনজনের গৌরবগাঁথা যুক্ত হয়ে যায় জাতির হাজারো বীরগাঁথার সঙ্গে। রুমী বুঝি কোন অলক্ষ্যে হয়ে যায় আমাদের সকলের আদরের ভাইটি, সজ্জন ব্যক্তিত্ব শরীফ প্রতীক হয়ে পড়েন রাশভারী স্নেহপ্রবণ পিতৃরূপের।
কিছুই আমরা ভুলবো না, কাউকে ভুলবো না, এই অঙ্গীকারের বাহক জাহানারা ইমামের গ্রন্থ নিছক দিনলিপি নয়, জাতির হৃদয়ছবি ফুটে উঠেছে এখানে।
'মানুষের মৃত্যু হলে তবুও মানব থেকে যায়' — এই অমর পঙক্তির মর্মার্থ সামনে রেখে আমরা স্মরণ করতে পারি এক বাঙালি নারী, গৃহবধূ, লেখিকা এবং লড়াকু জননী জাহানারা ইমামকে। স্বাধীনতা — উত্তর বাংলাদেশে এক জাহানারা ইমাম মুক্তিযুদ্ধ পক্ষের মানুষের কাছে হয়ে ওঠেন প্রেরণা ও আস্থার ধ্রুবলোক। তাঁর মধ্য দিয়ে সব অপূর্ণতা পূর্ণ, খন্ড অখন্ডের সঙ্গতি পেয়ে থাকে; আর তিনি জীবনবেদ থেকে উৎসারিত জায়মান চেতনা ছড়িয়ে দেন দুঃসময়ে অসহায় মানবাত্মার সম্পূর্ণ মুক্তির উদ্দেশ্যে।
ঘটনা ঘটে যাচ্ছে, তিনি দেখছেন। কিন্তু দেখছেন দূর থেকে। যদিও এই গল্প একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত গল্প। জননীর তীব্র শোক ও বেদনার গল্প। নিজের গল্প দূর থেকে দেখতে পারেন তাঁরাই, যাঁরা বড় শিল্পী। গভীর আবেগকে সংযত করবার জন্য প্রযোজন হয় একটি পাষাণ হৃদয়ের। সত্যিকার শিল্পীদের হৃদয় হয় পাথরের, নয়ত এত দুঃখকে তাঁরা কোথায় ধারণ করবেন? জাহানারা ইমাম হৃদয়কে পাথর করে লিখলেন তাঁর ডায়রি। কী অসম্ভব আন্তরিকতার সঙ্গেই না তাঁর গল্প বলে গেছেন। সেই গল্প তাঁর একার থাকেনি। কোন এক অলৌকিক উপায়ে হয়ে গেছে আমাদের সবার গল্প।
— হুমায়ূন আহমেদ, বিচিত্রা।
যে কারণে এই বই তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে, তা হল ১৯৭১ সালের দীর্ঘ মাসগুলোতে বাঙালিদের আশা — নিরাশা — যন্ত্রণাকে সজীব করে তুলেছে এই গ্রন্থ এবং যে পরীক্ষার তাঁরা সম্মুখীন হয়েছেন ও যে ত্যাগ তাঁরা স্বীকার করেছেন, তার গভীরে দৃষ্টি ফেলতে আমাদের সাহায্য করেছে।
— বিবিসি।
’৭১ — এর ঢাকা শহরের অবস্থা এবং গেরিলা তৎপরতা বুঝবার জন্য এই বইটি অত্যন্ত মূল্যবান বলে বিবেচিত হবে। ঢাকায় গেরিলাদের তৎপরতা নিয়ে এত ভাল বই এখন পর্যন্ত আর কেউ লিখেছেন বলে জানিনে। দলিল-প্রমাণাদি সম্পর্কে উদাসীন বাঙালিদের জন্য জাহানারা ইমাম এক অমূল্য দলিল উপহার দিয়েছেন। মনোজ্ঞ বলে এ দলিলের প্রতি উদাসীন থাকা সহজ হবে না কারো পক্ষে।
— সাইয়িদ আতিকুল্লাহ, সচিত্র সন্ধানী।
একাত্তরের ২৫শে মার্চ পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী নিরস্ত্র ও অপ্রস্তুত দেশবাসীর ওপর নজিরবিহীন বর্বরোচিত হামলা শুরু করার পর অসহায় বাঙালি সেই হামলার প্রথম ধাক্কা সামলে যেভাবে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলে এবং ক্রমশ তা বাংলার মানুষের মুক্তি ও স্বাধীনতা সংগ্রামে পরিণত হয় এবং দেশের অধিকাংশ মানুষই এতে কোন-না-কোনভাবে অংশগ্রহণ করে — সেই ইতিহাসের একটি স্বচ্ছ চিত্র জাহানারা ইমাম এই পুস্তকে তাঁর ব্যক্তিগত দিনলিপির মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সঙ্গে ফুটিয়ে তুলেছেন।
— ভয়েস অব আমেরিকা।
Download and Join our Facebook Group
This is the largest online Bengali books reading library. In this site, you can read old Bengali books pdf. Also, Bengali ghost story books pdf free download. We have a collection of best Bengali books to read. We do provide kindle Bengali books free. We have the best Bengali books of all time. We hope you enjoy Bengali books online free reading.
নিন্দিত নন্দন - ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী

নিন্দিত নন্দন - ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী।
লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সেই সময়ে অবরুদ্ধ বাংলাদেশে কয়েক লক্ষ নারী সম্ভ্রম হারাতে বাধ্য হন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাঙালিনিধন যজ্ঞে মেতে উঠেছিল। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামগঞ্জেও পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যে হত্যাকাণ্ড চালায় তা এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। প্রাণ হারান ত্রিশ লক্ষ মানুষ।
যুদ্ধ শেষে রাষ্ট্র ব্যাপক অর্থে লাঞ্ছিত নারীদের নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করেনি বা সম্মান জানায়নি। তাঁরা দেশের জন্য লাঞ্ছিত হয়েছেন গর্বভরে একথা উচ্চারণ করে তাঁদের ‘বীরাঙ্গনা’ আখ্যা দেওয়া হয়। পরে সামাজিক ও অবহেলাজনিত কারণে অনেকেই লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান। অনেককেই মানবেতর জীবন যাপন করতে হয়। তবে কয়েক বছর থেকে এঁদের অনেককে রাষ্ট্র ও সমাজ নানা ভাবে সম্মান জানাচ্ছে।
বহু নারী আত্মসম্মানে ঘা লাগায় আত্মঘাতী হন। ধর্ষণের শিকার বহু নারী গর্ভবতী হয়ে পড়েন। এই সব মেয়েদের পরিবার গ্রহণ না করায় তাঁরা নারী-পুনর্বাসন কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। পুনর্বাসন কেন্দ্রে ও হোমে বহু শিশুকে রাখা হয়। বিদেশে দত্তক গ্রহণে ইচ্ছুক দম্পতিদের হাতে অনেক শিশুকে তুলে দেওয়া হয়। পাশ্চাত্যের বেশ কয়েকটি দেশেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যুদ্ধশিশুকে পাঠানো হয়। মাদার টেরিজা তাঁর পরিচালিত হোমে কয়েকটি শিশুকে গ্রহণ করেন। আজ বিদেশে প্রতিষ্ঠিত এই শিশুদের অনেকেই কখনও কখনও দেশমাতৃকার টানে বাংলাদেশ দেখতে আসেন।
বিগত শতকের একাত্তরে যখন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলছে, সেই দুঃসময়ে, সেই সুসময়ের কথা লিখিত হয়েছে একটি গ্রন্থে। গ্রন্থটি লিখেছেন এমন একজন নারী, যিনি ভাস্কর; যাঁর কাজ দেখলে অবনঠাকুরের কথা মনে পড়ে যায়। প্রথাবদ্ধ ভাস্কর্যশিক্ষা নেননি বটে, তবে তাঁর কাজে ভাস্কর্যগুণ আছে। ছন্দ আছে। অন্য দিকে বর্তমানে তিনি প্রতিবাদী এক কণ্ঠস্বর। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকার্যে পাকিস্তানিদের লোমহর্ষক নির্যাতনের সাক্ষ্যও দিয়েছেন। কী ভাবে তিনি নির্যাতিত হয়েছিলেন সে কথাও বলেছেন।
আলোচ্য বইয়ে ফেরদৌসী তাঁর সম্ভ্রম হারানোর বেদনা ও কষ্টের কথা লিখেছেন বিস্তারিত ভাবে। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর সব পর্যায়ের সেনারা মানুষ হত্যার সঙ্গে যে কত নারীলোলুপ হয়ে উঠেছিল তা চোখের সামনে ভেসে ওঠে। বুকচাপা এক কষ্ট নিয়ে ফেরদৌসী সে সব কথা লিখেছেন। সেনারা ছলে ও বলে নারীধর্ষণের মধ্যে দিয়ে এক মানসিক উল্লাসের স্বাদ পেত। কিন্তু বহু নারী ধর্ষিত হলেও ফেরদৌসীর মতো কেউ এই দুঃসহ কষ্টের কথা লেখেননি। সে দিক থেকে এই বইটি হৃদয়মথিত করা তাৎপর্যময় এক আলেখ্য হয়ে উঠেছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় ফেরদৌসী খুলনার একটি জুটমিলে চাকরি করতেন। অবরুদ্ধ খুলনায় তিনি সেই ঘেরাটোপে বন্দি হন ও ধর্ষিত হতে থাকেন। প্রথম যে দিন ধর্ষিত হন তার বিবরণ বড় মর্মস্পর্শী। পরে বারবার এর পুনরাবৃত্তি ঘটে। সম্ভ্রম রক্ষার জন্য প্রাণান্ত চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন ফেরদৌসী। কখনও একজনের হাত থেকে পরিত্রাণ পেলেও আর একজন ওঁত পেতে থাকে। একাত্তরের এপ্রিলের পর থেকে খুলনা ও খালিশপুর শিল্পাঞ্চলে পাকিস্তানি অবাঙালি, রাজাকার ও পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যে ভাবে স্বাধীনতাকামী বাঙালিকে নিধন করার যজ্ঞে মেতে উঠেছিল তা বিশদে উঠে এসেছে।
বইটিতে ফেরদৌসী তাঁর বাল্য ও কৈশোরের কথাও লিখেছেন। তাঁর বাল্য ও কৈশোর কেটেছে খুলনায়। কৈশোরকালের জীবনযুদ্ধের ও বেঁচে থাকার আকূতির কথা আছে। তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন মধ্যবিত্তের বেঁচে থাকার খুঁটিনাটি, অসচ্ছলতা ও প্রাত্যহিক নানা অনুষঙ্গ। কৈশোরে সংগ্রাম করতে হলেও তাঁর কাছে সময়টা ছিল বর্ণময়। বাড়িতে ছিল সংস্কৃতি চর্চার আবহ। পিতার চাকরিসূত্রে খালিশপুর ও ঢাকায় পড়াশোনা করেন তিনি। খুলনা থেকে দৌলতপুর, কখনও ঢাকা, আবার খুলনায় কৈশোরের এই পরিক্রমা, শিক্ষাগ্রহণ ও জীবন অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন তিনি। স্কুলের শিক্ষা শেষে তাঁর বিয়ে হয়। সে বিয়ে সুখের হয়নি। স্বামীর পীড়নে বিবাহিত জীবন হয়ে ওঠে দুর্বিষহ। স্বামী তিন সন্তান ও স্ত্রীর দায় বহন না করায় জীবনসংগ্রামে বিপর্যস্ত হতে হতে যখন দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে তখন ফেরদৌসী খুলনা জুটমিলে চাকরি নেন। নিজের পায়ে দাঁড়ানর জন্য তাঁর এই চেষ্টায় পাশে ছিলেন তাঁর মা। এই পর্বেই তিনি একাত্তরের দিনগুলির সম্মুখীন হন। বাড়ির সামনে পাক বাহিনীকে ব্রাশফায়ারে একসঙ্গে চৌদ্দোজনকে মেরে ফেলতে দেখেছেন। এই হত্যাযজ্ঞ তাঁর হৃদয়কে দীর্ঘদিন বিষাদগ্রস্ত করে রেখেছিল। হত্যাদৃশ্য দেখা, ত্রাসের মধ্যে জীবনযাপন ছিল নিত্যসঙ্গী। মুক্তিযোদ্ধাদের কথাও লিখেছেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বামী তাঁকে পরিত্যাগ করেন, সন্তানদের নিয়ে কিছু দিনের জন্য নিরুদ্দিষ্টও হয়ে যান। সন্তানদের ও সম্ভ্রমহানির জন্য তাঁর জীবনে যে শূন্যতা এসেছিল এবং বেঁচে থাকার সমস্ত অবলম্বন চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গিয়েছিল, সেই সময় জীবন বিপন্ন জেনেও একজন উদারহৃদয় মানুষ পরম নির্ভরতা নিয়ে এগিয়ে এসেছিলেন তাঁর জীবনে। সব জেনেই বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেন তিনি, জীবনসঙ্গী হন। চরাচরব্যাপী অন্ধকারের মধ্যে সেটাই ছিল এক আলোকরেখা।
লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সেই সময়ে অবরুদ্ধ বাংলাদেশে কয়েক লক্ষ নারী সম্ভ্রম হারাতে বাধ্য হন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাঙালিনিধন যজ্ঞে মেতে উঠেছিল। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামগঞ্জেও পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যে হত্যাকাণ্ড চালায় তা এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। প্রাণ হারান ত্রিশ লক্ষ মানুষ।
যুদ্ধ শেষে রাষ্ট্র ব্যাপক অর্থে লাঞ্ছিত নারীদের নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করেনি বা সম্মান জানায়নি। তাঁরা দেশের জন্য লাঞ্ছিত হয়েছেন গর্বভরে একথা উচ্চারণ করে তাঁদের ‘বীরাঙ্গনা’ আখ্যা দেওয়া হয়। পরে সামাজিক ও অবহেলাজনিত কারণে অনেকেই লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান। অনেককেই মানবেতর জীবন যাপন করতে হয়। তবে কয়েক বছর থেকে এঁদের অনেককে রাষ্ট্র ও সমাজ নানা ভাবে সম্মান জানাচ্ছে।
বহু নারী আত্মসম্মানে ঘা লাগায় আত্মঘাতী হন। ধর্ষণের শিকার বহু নারী গর্ভবতী হয়ে পড়েন। এই সব মেয়েদের পরিবার গ্রহণ না করায় তাঁরা নারী-পুনর্বাসন কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। পুনর্বাসন কেন্দ্রে ও হোমে বহু শিশুকে রাখা হয়। বিদেশে দত্তক গ্রহণে ইচ্ছুক দম্পতিদের হাতে অনেক শিশুকে তুলে দেওয়া হয়। পাশ্চাত্যের বেশ কয়েকটি দেশেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যুদ্ধশিশুকে পাঠানো হয়। মাদার টেরিজা তাঁর পরিচালিত হোমে কয়েকটি শিশুকে গ্রহণ করেন। আজ বিদেশে প্রতিষ্ঠিত এই শিশুদের অনেকেই কখনও কখনও দেশমাতৃকার টানে বাংলাদেশ দেখতে আসেন।
বিগত শতকের একাত্তরে যখন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলছে, সেই দুঃসময়ে, সেই সুসময়ের কথা লিখিত হয়েছে একটি গ্রন্থে। গ্রন্থটি লিখেছেন এমন একজন নারী, যিনি ভাস্কর; যাঁর কাজ দেখলে অবনঠাকুরের কথা মনে পড়ে যায়। প্রথাবদ্ধ ভাস্কর্যশিক্ষা নেননি বটে, তবে তাঁর কাজে ভাস্কর্যগুণ আছে। ছন্দ আছে। অন্য দিকে বর্তমানে তিনি প্রতিবাদী এক কণ্ঠস্বর। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকার্যে পাকিস্তানিদের লোমহর্ষক নির্যাতনের সাক্ষ্যও দিয়েছেন। কী ভাবে তিনি নির্যাতিত হয়েছিলেন সে কথাও বলেছেন।
আলোচ্য বইয়ে ফেরদৌসী তাঁর সম্ভ্রম হারানোর বেদনা ও কষ্টের কথা লিখেছেন বিস্তারিত ভাবে। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর সব পর্যায়ের সেনারা মানুষ হত্যার সঙ্গে যে কত নারীলোলুপ হয়ে উঠেছিল তা চোখের সামনে ভেসে ওঠে। বুকচাপা এক কষ্ট নিয়ে ফেরদৌসী সে সব কথা লিখেছেন। সেনারা ছলে ও বলে নারীধর্ষণের মধ্যে দিয়ে এক মানসিক উল্লাসের স্বাদ পেত। কিন্তু বহু নারী ধর্ষিত হলেও ফেরদৌসীর মতো কেউ এই দুঃসহ কষ্টের কথা লেখেননি। সে দিক থেকে এই বইটি হৃদয়মথিত করা তাৎপর্যময় এক আলেখ্য হয়ে উঠেছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় ফেরদৌসী খুলনার একটি জুটমিলে চাকরি করতেন। অবরুদ্ধ খুলনায় তিনি সেই ঘেরাটোপে বন্দি হন ও ধর্ষিত হতে থাকেন। প্রথম যে দিন ধর্ষিত হন তার বিবরণ বড় মর্মস্পর্শী। পরে বারবার এর পুনরাবৃত্তি ঘটে। সম্ভ্রম রক্ষার জন্য প্রাণান্ত চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন ফেরদৌসী। কখনও একজনের হাত থেকে পরিত্রাণ পেলেও আর একজন ওঁত পেতে থাকে। একাত্তরের এপ্রিলের পর থেকে খুলনা ও খালিশপুর শিল্পাঞ্চলে পাকিস্তানি অবাঙালি, রাজাকার ও পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যে ভাবে স্বাধীনতাকামী বাঙালিকে নিধন করার যজ্ঞে মেতে উঠেছিল তা বিশদে উঠে এসেছে।
বইটিতে ফেরদৌসী তাঁর বাল্য ও কৈশোরের কথাও লিখেছেন। তাঁর বাল্য ও কৈশোর কেটেছে খুলনায়। কৈশোরকালের জীবনযুদ্ধের ও বেঁচে থাকার আকূতির কথা আছে। তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন মধ্যবিত্তের বেঁচে থাকার খুঁটিনাটি, অসচ্ছলতা ও প্রাত্যহিক নানা অনুষঙ্গ। কৈশোরে সংগ্রাম করতে হলেও তাঁর কাছে সময়টা ছিল বর্ণময়। বাড়িতে ছিল সংস্কৃতি চর্চার আবহ। পিতার চাকরিসূত্রে খালিশপুর ও ঢাকায় পড়াশোনা করেন তিনি। খুলনা থেকে দৌলতপুর, কখনও ঢাকা, আবার খুলনায় কৈশোরের এই পরিক্রমা, শিক্ষাগ্রহণ ও জীবন অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন তিনি। স্কুলের শিক্ষা শেষে তাঁর বিয়ে হয়। সে বিয়ে সুখের হয়নি। স্বামীর পীড়নে বিবাহিত জীবন হয়ে ওঠে দুর্বিষহ। স্বামী তিন সন্তান ও স্ত্রীর দায় বহন না করায় জীবনসংগ্রামে বিপর্যস্ত হতে হতে যখন দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে তখন ফেরদৌসী খুলনা জুটমিলে চাকরি নেন। নিজের পায়ে দাঁড়ানর জন্য তাঁর এই চেষ্টায় পাশে ছিলেন তাঁর মা। এই পর্বেই তিনি একাত্তরের দিনগুলির সম্মুখীন হন। বাড়ির সামনে পাক বাহিনীকে ব্রাশফায়ারে একসঙ্গে চৌদ্দোজনকে মেরে ফেলতে দেখেছেন। এই হত্যাযজ্ঞ তাঁর হৃদয়কে দীর্ঘদিন বিষাদগ্রস্ত করে রেখেছিল। হত্যাদৃশ্য দেখা, ত্রাসের মধ্যে জীবনযাপন ছিল নিত্যসঙ্গী। মুক্তিযোদ্ধাদের কথাও লিখেছেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বামী তাঁকে পরিত্যাগ করেন, সন্তানদের নিয়ে কিছু দিনের জন্য নিরুদ্দিষ্টও হয়ে যান। সন্তানদের ও সম্ভ্রমহানির জন্য তাঁর জীবনে যে শূন্যতা এসেছিল এবং বেঁচে থাকার সমস্ত অবলম্বন চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গিয়েছিল, সেই সময় জীবন বিপন্ন জেনেও একজন উদারহৃদয় মানুষ পরম নির্ভরতা নিয়ে এগিয়ে এসেছিলেন তাঁর জীবনে। সব জেনেই বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেন তিনি, জীবনসঙ্গী হন। চরাচরব্যাপী অন্ধকারের মধ্যে সেটাই ছিল এক আলোকরেখা।
This is the largest online Bengali books reading library. In this site, you can read old Bengali books pdf. Also, Bengali ghost story books pdf free download. We have a collection of best Bengali books to read. We do provide kindle Bengali books free. We have the best Bengali books of all time. We hope you enjoy Bengali books online free reading.
Labels:
articles,
জীবনীগ্রন্থ,
প্রবন্ধ,
ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী,
মুক্তিযুদ্ধ
মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস সমগ্র - হুমায়ূন আহমেদ
This is the largest online Bengali books reading library. In this site, you can read old Bengali books pdf. Also, Bengali ghost story books pdf free download. We have a collection of best Bengali books to read. We do provide kindle Bengali books free. We have the best Bengali books of all time. We hope you enjoy Bengali books online free reading.
জোছনা ও জননীর গল্প - হুমায়ূন আহমেদ

জোছনা ও জননীর গল্প
লেখকঃ হুমায়ুন আহমেদ
প্রকাশকালঃ ফেব্রুয়ারী ২০০৪
নতুন স্ক্যান জলছাপ মুক্ত।
একজন মানুষের তার দেশের প্রতি, দেশ মাতৃকার প্রতি তার জন্মের ঋণ শোধ করার সাথে একজন লেখকের শোধ করার পার্থক্য কি খুব বেশি? সামাজিক দায়বদ্ধতা বলে যে গুরুগম্ভীর শব্দটা আমরা হরহামেশাই শুনি সেই দায়বদ্ধতাটা লেখক হিসেবে কিভাবে পুরন করবেন একজন লেখক? মানুষের যেমন পিতৃঋণ-মাতৃঋণ শোধ করতে হয়, দেশমাতার ঋণও শোধ করতে হয়। হুমায়ূন আহমেদের কাছে একজন লেখক হিসেবে সে ঋণ শোধ করা যায় লেখার মাধ্যমে। আর দেশ দেশ মাতৃকার প্রতি একজন লেখক হুমায়ুন আহমেদের যে ঋণ তা শোধ করার মাধ্যম হসেবে তিনি বেছে নিয়েছেন ‘জোছনা ও জননীর গল্প’কে। ভূমিকাতেই হুমায়ূন আহমেদ পরিস্কার করে বলে দিয়েছেন যে ‘জোছনা ও জননীর গল্প’ কোন ইতিহাসের বই না কিন্তু এটা এমন একটা উপন্যাস যে উপন্যাসের কাহিনীকে সাজানো হয়েছে দেশ মাতার ঋণ শোধ করার জন্য। একজন লেখক হিসেবে লেখাকে পন্য বানানোর জন্য নয়, একজন লেখক হিসেবে মানুষের সেন্টিমেন্টকে কাজে লাগিয়ে বইয়ের পসারের জন্য তিনি এ উপন্যাসটি লেখেন নি। তাই উপন্যাস হলেও হুমায়ূন চেষ্টা করেছে ইতিহাসের একেবারে কাছাকাছি থাকার। সে অর্থে ‘জোছনা ও জননীর গল্প’ আমার মতে উপন্যসে আদলে গড়া ইতিহাসের দলিল। যে সে ইতিহাসের নয়, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের দলিল। ‘জোছনা ও জননীর গল্প’ এর শুরুটা ফাল্গুন মাসের শুরুতে, তার মানে ১৯৭১ এর ফেব্রুয়ারীর মাঝামাঝি সময়ে যখন নীলগঞ্জ হাইস্কুলের আরবী শিক্ষক মাওলানা ইরতাজউদ্দিন কাশেমপুরীর ছোটভাই শাহেদ, ভাইয়ের বউ আসমানী আর ভিয়ের মেয়ে রুনিকে দেখতে ঢাকা আসে। এই মাওলানা ইরতাজউদ্দিন, শাহেদ, আসমানী আর তাদের ঘিরে থাকা মানুষজনদের নিয়ে ‘জোছনা ও জননীর গল্প’। এত বড় একটা উপন্যাসের চরিত্র চিত্রন করা খুব কঠিন কাজ। যে বিষয়টি এই উপন্যাসে চরিত্র চিত্রনে আমার খুব ভালো লেগেছে তা হল প্রতিটি চরিত্রের পরিপুর্নতা। এত বড় উপন্যাস হিসেবে এর প্রধান প্রধান চরিত্রের নয়মাসকাল সময়ের উত্থান-পতন যেন ভূমিকায় লেখা হুমায়ূন আহমেদের সেই লেখাটাই মনে করিয়ে দেয়ঃ ‘সে বড় অদ্ভুত সময় ছিল। সপ্ন ও দুঃসপ্নের মিশ্র এক জগত। সবই বাস্তব, আবার সবই অবাস্তব।’ তাইতো মনটা আপ্লুত হয়ে উঠে যখন মাওলানা ইরতাজউদ্দিন বলে উঠে ‘যা বলতেছি চিন্তাভাবনা করে বলতেছি। এখন থেকে আমি জুম্মার নামাজ পড়ব না। পরাধীন দেশে জুম্মার নামাজ হয় না। নবী-এ-করিম যতদিন মক্কায় ছিলেন জুম্মার নামাজ পড়েন নাই।’(পৃষ্ঠাঃ ৩৮০)। পাকিসাত্নীদের প্রতি ঘৃণায় রিরি করে উঠে আমাদের শরীর যখন দেখি নামাজ না পড়ানোর অপারধে মাওলানা সাহেবকে উলঙ্গ করে নীলগঞ্জ বাজারে চক্কর দেয়ানো হয়। তারপর তাকে সোহাগী নদীর পাড়ে গুলি করে মেরে ফেলা হয়। তারপরের ঘটোনায় আমরা আশ্চর্যান্নিত হয়ে যাই। ‘নীলগঞ্জের মানুষ বিস্ময়ের সঙ্গে দেখল, হেডমাষ্টার সাহেবের সঙ্গে ঘোমটা পরা একজন মহিলা প্রবল বর্ষনের মধ্যে মাওলানা ইরতাজউদ্দিনের বিশাল শরীর টেনে নিয়ে যাবার চেষ্টা করছে। তাদের খুব কষ্ট হচ্ছে। অনেকেই দৃশ্যটা দেখছে, কেউ এগিয়ে আসছে না। হটাত একজনকে ভিজতে ভিজতে এগিয়ে আসতে দেখা গেল। সে আসিয়া বেগমের কাছে এসে উর্দুতে বলল, মাতাজি আপনি সরুন, আমি ধরছি। মনসুর সাহেব বললেন, আপনার নাম? আগন্তুক বলল, আমি বেলুচ রেজিমেন্টের একজন সেপাই। আমার নাম আসলাম খাঁ।’ এটাই তো যুদ্ধ। সে বড় অদ্ভুত সময় ছিল। শাহেদের গল্পটা কি ভিন্ন কিছু। নিজের স্ত্রী সন্তানকে হারিয়ে তাদের খুজে ফেরার কি নিদারুন কাহিনী। শাহেদ যেন যুদ্ধকালীন বাংলাদেশের সকল বাবাদের প্রতিনিধি, সকল প্রেমময় স্বামীদের প্রতিনিধি। যে যুদ্ধা যায় নি কিন্রু এ মাথা, ও মাথা চষে ফেলেছে মেয়ে আর বউকে পাওয়ার জন্য। রাস্তায় রাস্তায় তল্লাশী, মিথ্যা কথা বলা, কোন এক পাকিস্তানীর দাক্ষিন্য, কোনটা বাদ যায় না। জিজ্ঞাসাবাদ চলে। কেউ হয়তো ছাড়া পাবে, কেউ পাবে না। একটা কথায় যেন পুরো সময়টা ধরে রাখা হয়েছে ‘অনিশ্চয়তা। The day and night of uncertainty. (পৃষ্ঠাঃ ৩৫৭)’ কিংবা কংকনের গল্প। কংকনের সাথে লেখকের পরিচয় আমেরিকায়। সেখান থেকেই হয়তোবা লেখক শাহেদকে চিত্রিত করেছে। কোন একসময় যুদ্ধের সেই ‘অনিশ্চয়তা’র মধ্যে কংকনকে খুজে পায় শাহেদ। তারপর থেকে কংকনকে নিয়ে তার উদবাস্তু শিবিরে যাওয়ার পথ মৌসুমী ভৌমিকের ‘যশোর রোডের’ কথা মনে করিয়ে দেয়। কংকন তাও তার বাবা-মাকে খুজে পেয়েছিল। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ তো এমন অনেক কংকনের জন্ম দিয়েছে যারা আর তাদের বাবা-মাকে খুজে পায়নি। শাহেদ তার প্রাণপ্রিয় স্ত্রী-সন্তানকে খুজে পেয়েছে কিন্তু এমন ভাগ্য কজনের হয়েছে এই বাংলাদেশের জন্ম হতে গিয়ে। তাইতো লেখকের সামনে ‘রোরুদ্যমান তরুনীর দিকে তাকিয়ে হটাত আমার মনে হলো, কংকন কাঁদছে না। কাঁদছে আমাদের বাংলাদেশ। আমাদের জননী। (পৃষ্ঠাঃ ৩৬১)’। মরিয়মের ভাগ্য কিন্তু ওরকম হয়নি। বিয়ের পরপরই স্বামী নাইমুল মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছে। বাংলার চিরন্তন বধুর মতই নিজের বিপদের কথা চিন্তা না করে স্বামীর ভালোর চিন্তা করেছে। স্বামীকে চিঠি লিখেছে, জানে সে চিঠি পৌছুবে না কিন্তু কি লিখেছে ‘তুমি ভালো থেকো। শরীরের যত্ন নিও। বেশি সাহস দেখানোর দরকার নেই। অন্যরা সাহস দেখাক, তোমাকে সাহস দেখাতে হবে না।.......... আচ্ছা শোন, রাতে ঘুমুতে যাবার আগে আয়াতুল কুড়শি পড়ে তিনবার হাততালি দিয়ে ঘুমুতে যাবে। তালির শব্দ যতদুর যায় ততদুর পর্যন্ত কোনো বালামুসিবত আসতে পারে না। আমরা সবসময় তাই করি। (পৃষ্ঠাঃ ২২১)।’ আমরা হাউমাউ করে কেদে উঠি যখন মরিয়মের ক্ষেত্রে ‘বাস্তবের সমাপ্তি এরকম ছিল না। নাইমুল কথা রাখেনি। সে ফিরে আসতে পারেনি তার স্ত্রীর কাছে। বাংলার বিশাল প্রান্তরের কোথাও তার কবর হয়েছে। কেউ জানে না কোথায়। এ দেশের ঠিকানাবিহীন অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধার কবরের মধ্যে তারটাও আছে। তাতে কিছু যায় আসে না। বাংলার মাটি পরম আদরে তার বীর সন্তানকে ধারন করেছে। জোসনার রাতে সে তার বীর সন্তানদের কবরের অপুর্ব নকশা তৈরি করে। গভীর বেদনায় বলে, আহারে! আহারে! (পৃষ্ঠাঃ ৫০৫)’ একটা দুটো বা তিনটি চরিত্র দিয়ে কিভাবে একটা দেশের প্রসব যন্ত্রনার গল্প বলা যায় আমি জানি না। তারপরেও এতা এমন একটা উপন্যাস যার কথা বলতে সাধ হয়। পাঁচশতের বেশি পৃষ্ঠার এ উপন্যাস যেন মুক্তিযুদ্ধের নয়মাসের এক খন্ডিত রুপ, যার মাধ্যমে লেখক সে সময়কে তুলে ধরতে চেয়েছেন। মাওলানা ইরতাজউদ্দিনকে দিয়ে তার সাথের মানুষজনকে, শাহেদকে দিয়ে সে সময়ের কোন স্বামীকে, গোরাঙ্গকে দিয়ে হিন্দুদের অবস্থাকে, নাইমুলকে দিয়ে এদেশের মুক্তিকামী যুবকদের, শাহ কলিমের মাধ্যমে সুবিধাভোগী, সার্থান্নেসী মানুশকে চিত্রিত করেছেন লেখক সুনিপুনভাবে। কত ঐতিহাসিক চরিত্র যেন সময়ের প্রয়োজনে এসেছে এই উপন্যাসে। কত ঐতিহাসিক সময় এসেছে এখানে। ৭ই মার্চের ভাষন, ২৫ শে মার্চের কালোরাত্রী, তারপর যুদ্ধ, অস্থায়ী সরকার গঠন, মাওলানা ভাষানী, তাজউদ্দিন, ইয়াহিয়া, জুলফিকার আলী ভুট্টো, নিক্সন, ইন্দ্রিরা গান্ধী; কে নেই এ উপন্যাসে! সবাই আছে। সবাইকেই যে থাকতে হবে। এটা যে উপন্যাস না, এটা যে একজন লেখকের দেশের প্রতি ঋণ শোধের চেষ্টা। এটা যেন পুরো বাংলাদেশের সে সময়কার গল্প। ঢাকার গল্প, নীলগঞ্জের মাধ্যমে গ্রামের গল্প, বরিশাল বা পিরোজপুরের মাধ্যমে নদীমাতৃক বাংলাদেশের গল্প, শরনার্থী শিবিরের গল্প, ভারতের কলকাতার গল্প, অস্থায়ী সরকারের গল্প। এটা যেন মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে সাহসী যোদ্ধার গল্প, সুজোগসন্ধানী সুবিধাবাদীদের গল্প, কাপুরুষতার গল্প, বাবার গল্প, ভাইয়ের গল্প, বন্ধুর গল্প, শত্রুর গল্প, মায়ের গল্প, মেয়ের গল্প, বীরঙ্গনাদের গল্প, শহীদদের গল্প, গাজীদের গল্প; কারা নেই এখানে? উপন্যাসে বর্ণিত প্রায় সব ঘটনাই সত্যি। কিছু হুমায়ূন আহমেদের নিজের অভিজ্ঞতা থেকে লেখা যেটা আমরা উপন্যাসের মাঝে প্রায়ই দেখতে পাই। ইতিহাসের যে সময়টার তিনি বর্ণনা করেছেন সে সময় বা তার কাছাকাছি সময়ের তার ব্যাক্তিগত জীবনের ঘটনা প্রবাহ তিনি তখন তুলে ধরেছেন। কিছু অন্যের অভিজ্ঞতা থেকে ধার নেয়া। যেটার নির্গঘন্ট বইয়ের শেষে হুমায়ূন আহমেদ দিয়ে দিয়েছেন। তিনি উপন্যাস প্রকাশের আগেই পান্ডুলিপিটা অনেককে পড়িয়েছেন। এই প্রজন্মের পাঠক, যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি তাদের অনেকের কাছেই অনেক ঘটনা কাল্পনিক বলে মনে হয়েছে। তাদের জন্য হুমায়ূন আহমেদ একটা কথাই বলেছেন ‘সে বড় অদ্ভুত সময় ছিল। সপ্ন ও দুঃসপ্নের মিশ্র এক জগত। সবই বাস্তব, আবার সবই অবাস্তব।’ হুমায়ূন আহমেদ সেই ভয়ঙ্কর সুন্দর সুররিয়েলিষ্টিক সময় পার করে এসে তার খানিকটা ধরতে চেয়েছিলেন এ প্রজন্মের জন্য যাতে তার মানবজীবন ধন্য হয়। ‘জোছনা ও জননীর গল্প’ পড়ে মনে হয় তার অনেকটাই তিনি ধরতে পেরেছেন। সৌজন্যেঃ প্রথম আলো ব্লগ
Download and Join our Facebook Group
This is the largest online Bengali books reading library. In this site, you can read old Bengali books pdf. Also, Bengali ghost story books pdf free download. We have a collection of best Bengali books to read. We do provide kindle Bengali books free. We have the best Bengali books of all time. We hope you enjoy Bengali books online free reading.
আমেরিকায় জাহানারা ইমামের শেষ দিনগুলি - ড. নূরুন নবী

আমেরিকায় জাহানারা ইমামের শেষ দিনগুলি - ড. নূরুন নবী
একাত্তরের বাংলাদেশের পুনর্জন্ম দানের জন্যে ক্যান্সারে আক্রান্ত জাহানারা ইমাম কীভাবে কাজ করেছেন, সে সময় তার মনোবল কেমন ছিল, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সহযোদ্ধাদের ভূমিকা এবং চিকিৎসার জন্যে ১৯৯০ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত ঘনঘন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালিন দিনগুলো বাংলাদেশের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে থাকবে। সেই অজানা অধ্যায় নতুন প্রজন্মের জানার বিশেষ প্রয়োজন উপলব্ধি করেই ড. নূরন্নবী এ গ্রন্থ রচনায় মনোনিবেশ করেন।
বইটির অনলাইন সংস্করণ এনেছে মুক্তিযুদ্ধ ই-আর্কাইভ
একাত্তরের বাংলাদেশের পুনর্জন্ম দানের জন্যে ক্যান্সারে আক্রান্ত জাহানারা ইমাম কীভাবে কাজ করেছেন, সে সময় তার মনোবল কেমন ছিল, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সহযোদ্ধাদের ভূমিকা এবং চিকিৎসার জন্যে ১৯৯০ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত ঘনঘন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালিন দিনগুলো বাংলাদেশের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে থাকবে। সেই অজানা অধ্যায় নতুন প্রজন্মের জানার বিশেষ প্রয়োজন উপলব্ধি করেই ড. নূরন্নবী এ গ্রন্থ রচনায় মনোনিবেশ করেন।
বইটির অনলাইন সংস্করণ এনেছে মুক্তিযুদ্ধ ই-আর্কাইভ
This is the largest online Bengali books reading library. In this site, you can read old Bengali books pdf. Also, Bengali ghost story books pdf free download. We have a collection of best Bengali books to read. We do provide kindle Bengali books free. We have the best Bengali books of all time. We hope you enjoy Bengali books online free reading.
আওয়ামী লীগঃ যুদ্ধ দিনের কথা ১৯৭১ - মহিউদ্দিন আহমদ

আওয়ামী লীগ: যুদ্ধদিনের কথা ১৯৭১ বইয়ের ভূমিকায় লেখক জানাচ্ছেন, ‘বাংলাদেশ রাষ্ট্রটির জন্ম স্বাভাবিকভাবে হয়নি। একটি রাষ্ট্র ভেঙে আরেকটি রাষ্ট্র, তা-ও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে।’ সেই যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিল যে আওয়ামী লীগ, তার ১৯৭১ সালের পূর্বাপর ইতিহাস তুলে ধরেন তিনি এ বইয়ে। এতে মোট ছয়টি অধ্যায়-‘সংলাপ’, ‘অপারেশন সার্চলাইট’, ‘স্বাধীনতা ঘোষণা’, ‘জঙ্গনামা’, ‘শেষ দৃশ্য’ এবং ‘উপসংহার’। বইটির সূচনা বেশ নাটকীয়ভ। ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর। এদিন ঘোষিত নির্বাচনের ফলাফল প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়াকে চরমভাবে হতাশ করে। নিরঙ্কুশভাবে বিজয়ী হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ।
বইতে তুলে ধরা হয়েছে বাঙালি জনতার প্রচণ্ড বিক্ষোভ মিছিল, ২ মার্চ কলাভবনে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন, রবীন্দ্রনাথের ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটিকে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত করার সিদ্ধান্ত, বিক্ষুব্ধ জনতার ওপর সামরিক বাহিনীর হামলা, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, ২৫ মার্চের ভয়াল কালোরাত, স্বাধীনতার ঘোষণা, প্রতিরোধযুদ্ধের সূচনা, বঙ্গবন্ধুকে বন্দী করা, তাজউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে প্রবাসী সরকার গঠন, যুদ্ধের সেনাধ্যক্ষ নির্বাচন ও সেক্টর গঠন, মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সরকারের সহায়তা, পাকিস্তান বাহিনীর পরাজয়, ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ইত্যাদি।
সৌজন্যেঃ মুক্তিযুদ্ধ ই-আর্কাইভ
বইতে তুলে ধরা হয়েছে বাঙালি জনতার প্রচণ্ড বিক্ষোভ মিছিল, ২ মার্চ কলাভবনে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন, রবীন্দ্রনাথের ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটিকে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত করার সিদ্ধান্ত, বিক্ষুব্ধ জনতার ওপর সামরিক বাহিনীর হামলা, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, ২৫ মার্চের ভয়াল কালোরাত, স্বাধীনতার ঘোষণা, প্রতিরোধযুদ্ধের সূচনা, বঙ্গবন্ধুকে বন্দী করা, তাজউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে প্রবাসী সরকার গঠন, যুদ্ধের সেনাধ্যক্ষ নির্বাচন ও সেক্টর গঠন, মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সরকারের সহায়তা, পাকিস্তান বাহিনীর পরাজয়, ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ইত্যাদি।
সৌজন্যেঃ মুক্তিযুদ্ধ ই-আর্কাইভ
This is the largest online Bengali books reading library. In this site, you can read old Bengali books pdf. Also, Bengali ghost story books pdf free download. We have a collection of best Bengali books to read. We do provide kindle Bengali books free. We have the best Bengali books of all time. We hope you enjoy Bengali books online free reading.
Labels:
articles,
History,
Liberation of bangladesh,
প্রবন্ধ,
মহিউদ্দিন আহমদ,
মুক্তিযুদ্ধ
আত্মকথা ১৯৭১ - নির্মলেন্দু গুণ

আত্মকথা ১৯৭১ - নির্মলেন্দু গুণ
অন্ধকারে হালকা আলো পড়া একটি মুখ, দুটো চোখের সামনে চশমার স্বচ্ছ কাচের আবরণী, কিন্তু দৃষ্টি প্রসারিত চশমার ফাঁক দিয়ে উন্মুক্ত বাংলাদেশে। সেই চোখ দুটোতে প্রিয়জন হারানোর বেদনা, অতীত খুঁড়ে বীভৎসতা বলার কষ্ট, জন্মচেতনা থেকে ক্রমাগত বিচ্যুত হতে থাকা মানুষকে ফিরিয়ে আনার সংকল্প- সব মিলিয়ে প্রচ্ছদপটে যে নির্মলেন্দু গুণ উঠে এসেছেন, সেটি প্রকৃতপক্ষে আমার ছবি, আপনার ছবি, মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করা আমাদের সম্মিলিত ছবি। সেই ছবি যুদ্ধাপরাধী-রাজাকার-ইতিহাসবিকৃতিকারী ও তাদের আশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ও প্রতিবাদের ছবি।
মার্কসের মতে, পৃথিবীর ইতিহাস যদিও শ্রেণী সংগ্রামের ইতিহাস হওয়ার কথা, কিন্তু আমাদের অ্যাকাডেমিক জীবনে ইতিহাস মানে যুদ্ধ, ইতিহাস মানে রক্তপাত এবং বিজয়ীর কথা। কিন্তু ইতিহাস আসলে নিজেই পক্ষপাতদুষ্ট এক অভিধা। যে কারণে যুগে যুগে রচিত হওয়া যে ইতিহাস আমরা শুনে আসছি, সেই ইতিহাস আসলে যুদ্ধের সেনাদের চাইতে, যুদ্ধে প্রভাবিত হওয়া জনমানুষের চাইতে নেতৃত্ব দেওয়া জয়ী বীরদের কথা। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসও এই ডিসকোর্স থেকে বেরুতে পারে নি। ফলে বিভিন্ন বই-গবেষণা-আখ্যানে আমরা যে মুক্তিযুদ্ধের সন্ধান পাই, সেখানে সাধারণ মানুষের কষ্ট, আত্মত্যাগ ও তাদের জীবনযাত্রায় যুদ্ধের প্রভাবের কথা যতোটুকু উঠে এসেছে, তার চাইতে সহস্রগুণ বেশি উঠে এসেছে সম্মুখ সমরের যোদ্ধাদের কথা। সম্মুখ সমরের যোদ্ধাদের কথা যতোটুকু এসেছে, তারও সহস্রগুণ এসেছে তাদের নেতৃত্ব দেওয়া বীরদের কথা। অথচ সরাসরি যুদ্ধ যতোটুকু ইতিহাসের পাঠ, জনমানসে তার প্রভাবের ইতিহাস তার চাইতে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। কম গুরুত্বপূর্ণ নয় ছোট ছোট লড়াইয়ের ঘটনাগুলোও। একটি আরেকটির চাইতে বড় কিংবা ছোট নয়, ইতিহাসের এই দুটো ধারা আসলে একে অপরের পরিপূরক। একটিকে ভালো করে বুঝতে চাইলে আরেকটিকে কোনোমতেই বাদ দিয়ে ইতিহাস তৈরি করা যাবে না।
নির্মলেন্দু গুণ প্রকাশে তিনি গদ্যকার, স্বভাবে কবি, মননে দুটোর মিশেল। ফলে অনুপম ভাষা দিয়ে তিনি যেভাবে আত্মকথায় আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে তুলে এনেছেন, তা আমাদের দুটো চাহিদাকেই পূরণ করে। অ্যাকাডেমিক ইতিহাস লেখার ধারা অনুসরণ না করেও তিনি একাধারে যেমন তুলে এনেছেন সে সময়কার ঐতিহাসিক মুহূর্তগুলো, তেমনি বইয়ের অধিকাংশ পৃষ্ঠায় মিশে আছে সাধারণ মানুষের যাতনা ও আনন্দের ঘটনাগুলো। তিনি বইটিতে যেমন দেখিয়েছেন কীভাবে মেজর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে অনেকের মতো গুরুত্বপূর্ণ একজন হয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার করেছিলেন, তেমনি তুলে এনেছেন বুড়িগঙ্গার ওপারে কেরানীগঞ্জের গণহত্যার অজানা কথা। তিনি যেমন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের নথি থেকে তুলে দিয়েছেন সে সময়কার কিছু ঘটনাপ্রবাহের কথা, তেমনি যুদ্ধকালীন অবস্থায় রাস্তায় রাস্তায় মানুষের অবর্ণনীয় দুর্ভোগের কথাও। ফলে ইতিহাসের দুটি ধারাই তার মধ্যে সচেতনভাবে প্রবাহিত হয়ে প্রকাশিত হয়েছে আমাদের মতো বিভ্রান্তের ঘূর্ণিপাকে অবস্থানকারীদের সামনে।
আমরা যদি কেউ জানতে চাই যুদ্ধের সম্মুখ সমরের মতো মঞ্চের পেছনে সাধারণ মানুষের ভূমিকার কথা, তাহলে এই বইটি আমাদের পড়তে হবে। আমরা যদি চাই সে সময়কার মানুষের চিন্তন প্রক্রিয়ার কথা, তাহলে আমাদেরকে বইটি পড়তে হবে। আমরা যদি চাই নিজেদের জন্মচেতনাকে জেনে তাকে অনুভবে প্রতিষ্ঠিত করতে তাহলে এই বইটি আমাদের অবশ্যপাঠ্য।
পোস্টটি যিনি লিখেছেন "অনিশ্চিত"
বইটি পাঠিয়েছেন আমাদের ফেসবুক বন্ধু সৌমেন্দ্র পর্বত
অন্ধকারে হালকা আলো পড়া একটি মুখ, দুটো চোখের সামনে চশমার স্বচ্ছ কাচের আবরণী, কিন্তু দৃষ্টি প্রসারিত চশমার ফাঁক দিয়ে উন্মুক্ত বাংলাদেশে। সেই চোখ দুটোতে প্রিয়জন হারানোর বেদনা, অতীত খুঁড়ে বীভৎসতা বলার কষ্ট, জন্মচেতনা থেকে ক্রমাগত বিচ্যুত হতে থাকা মানুষকে ফিরিয়ে আনার সংকল্প- সব মিলিয়ে প্রচ্ছদপটে যে নির্মলেন্দু গুণ উঠে এসেছেন, সেটি প্রকৃতপক্ষে আমার ছবি, আপনার ছবি, মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করা আমাদের সম্মিলিত ছবি। সেই ছবি যুদ্ধাপরাধী-রাজাকার-ইতিহাসবিকৃতিকারী ও তাদের আশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ও প্রতিবাদের ছবি।
মার্কসের মতে, পৃথিবীর ইতিহাস যদিও শ্রেণী সংগ্রামের ইতিহাস হওয়ার কথা, কিন্তু আমাদের অ্যাকাডেমিক জীবনে ইতিহাস মানে যুদ্ধ, ইতিহাস মানে রক্তপাত এবং বিজয়ীর কথা। কিন্তু ইতিহাস আসলে নিজেই পক্ষপাতদুষ্ট এক অভিধা। যে কারণে যুগে যুগে রচিত হওয়া যে ইতিহাস আমরা শুনে আসছি, সেই ইতিহাস আসলে যুদ্ধের সেনাদের চাইতে, যুদ্ধে প্রভাবিত হওয়া জনমানুষের চাইতে নেতৃত্ব দেওয়া জয়ী বীরদের কথা। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসও এই ডিসকোর্স থেকে বেরুতে পারে নি। ফলে বিভিন্ন বই-গবেষণা-আখ্যানে আমরা যে মুক্তিযুদ্ধের সন্ধান পাই, সেখানে সাধারণ মানুষের কষ্ট, আত্মত্যাগ ও তাদের জীবনযাত্রায় যুদ্ধের প্রভাবের কথা যতোটুকু উঠে এসেছে, তার চাইতে সহস্রগুণ বেশি উঠে এসেছে সম্মুখ সমরের যোদ্ধাদের কথা। সম্মুখ সমরের যোদ্ধাদের কথা যতোটুকু এসেছে, তারও সহস্রগুণ এসেছে তাদের নেতৃত্ব দেওয়া বীরদের কথা। অথচ সরাসরি যুদ্ধ যতোটুকু ইতিহাসের পাঠ, জনমানসে তার প্রভাবের ইতিহাস তার চাইতে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। কম গুরুত্বপূর্ণ নয় ছোট ছোট লড়াইয়ের ঘটনাগুলোও। একটি আরেকটির চাইতে বড় কিংবা ছোট নয়, ইতিহাসের এই দুটো ধারা আসলে একে অপরের পরিপূরক। একটিকে ভালো করে বুঝতে চাইলে আরেকটিকে কোনোমতেই বাদ দিয়ে ইতিহাস তৈরি করা যাবে না।
নির্মলেন্দু গুণ প্রকাশে তিনি গদ্যকার, স্বভাবে কবি, মননে দুটোর মিশেল। ফলে অনুপম ভাষা দিয়ে তিনি যেভাবে আত্মকথায় আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে তুলে এনেছেন, তা আমাদের দুটো চাহিদাকেই পূরণ করে। অ্যাকাডেমিক ইতিহাস লেখার ধারা অনুসরণ না করেও তিনি একাধারে যেমন তুলে এনেছেন সে সময়কার ঐতিহাসিক মুহূর্তগুলো, তেমনি বইয়ের অধিকাংশ পৃষ্ঠায় মিশে আছে সাধারণ মানুষের যাতনা ও আনন্দের ঘটনাগুলো। তিনি বইটিতে যেমন দেখিয়েছেন কীভাবে মেজর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে অনেকের মতো গুরুত্বপূর্ণ একজন হয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার করেছিলেন, তেমনি তুলে এনেছেন বুড়িগঙ্গার ওপারে কেরানীগঞ্জের গণহত্যার অজানা কথা। তিনি যেমন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের নথি থেকে তুলে দিয়েছেন সে সময়কার কিছু ঘটনাপ্রবাহের কথা, তেমনি যুদ্ধকালীন অবস্থায় রাস্তায় রাস্তায় মানুষের অবর্ণনীয় দুর্ভোগের কথাও। ফলে ইতিহাসের দুটি ধারাই তার মধ্যে সচেতনভাবে প্রবাহিত হয়ে প্রকাশিত হয়েছে আমাদের মতো বিভ্রান্তের ঘূর্ণিপাকে অবস্থানকারীদের সামনে।
আমরা যদি কেউ জানতে চাই যুদ্ধের সম্মুখ সমরের মতো মঞ্চের পেছনে সাধারণ মানুষের ভূমিকার কথা, তাহলে এই বইটি আমাদের পড়তে হবে। আমরা যদি চাই সে সময়কার মানুষের চিন্তন প্রক্রিয়ার কথা, তাহলে আমাদেরকে বইটি পড়তে হবে। আমরা যদি চাই নিজেদের জন্মচেতনাকে জেনে তাকে অনুভবে প্রতিষ্ঠিত করতে তাহলে এই বইটি আমাদের অবশ্যপাঠ্য।
পোস্টটি যিনি লিখেছেন "অনিশ্চিত"
বইটি পাঠিয়েছেন আমাদের ফেসবুক বন্ধু সৌমেন্দ্র পর্বত
This is the largest online Bengali books reading library. In this site, you can read old Bengali books pdf. Also, Bengali ghost story books pdf free download. We have a collection of best Bengali books to read. We do provide kindle Bengali books free. We have the best Bengali books of all time. We hope you enjoy Bengali books online free reading.
মূলধারা ৭১ - মঈদুল হাসান
This is the largest online Bengali books reading library. In this site, you can read old Bengali books pdf. Also, Bengali ghost story books pdf free download. We have a collection of best Bengali books to read. We do provide kindle Bengali books free. We have the best Bengali books of all time. We hope you enjoy Bengali books online free reading.
Labels:
মঈদুল হাসান,
মুক্তিযুদ্ধ
শীর্ষ মানবতা বিরোধী অপরাধীদের ফাঁসির রায় - ইতিহাসের দায়মুক্তি - শ ম রেজাউল করিম
শীর্ষ মানবতা বিরোধী অপরাধীদের ফাঁসির রায় - ইতিহাসের দায়মুক্তি - শ ম রেজাউল করিম
This is the largest online Bengali books reading library. In this site, you can read old Bengali books pdf. Also, Bengali ghost story books pdf free download. We have a collection of best Bengali books to read. We do provide kindle Bengali books free. We have the best Bengali books of all time. We hope you enjoy Bengali books online free reading.
Labels:
Liberation of bangladesh,
ইতিহাস,
প্রবন্ধ,
মুক্তিযুদ্ধ,
শ ম রেজাউল করিম
রামগড়ের ডায়েরি - সৈয়দ আমীরুজ্জামান বীরবিক্রম
রামগড়ের ডায়েরি - সৈয়দ আমীরুজ্জামান বীরবিক্রম
একাত্তরের এক বীর সেনানীর নয়মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধে লিপ্ত থাকার মাত্র নয় বছর আগের তিন মাসের (১৯৬২-র জুন থেকে আগস্ট) পার্বত্যজীবনের দিনলিপি এই 'রামগড়ের ডায়েরি' মহান মুক্তিযুদ্ধের নয় বছর আগের এই দিনলিপিতে বীরবিক্রম খেতাবে ভূষিত দুঃসাহসী সশস্ত্র যোদ্ধার চাকরি সূত্রে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিপদসঙ্কুল ও প্রতিকূল পরিবেশে মুক্তিযুদ্ধপূর্ব দৈনন্দিন ফৌজি কর্তব্যপালনের সময়কার বর্ণনার মধ্যে পাঠক খুঁজে পা্বেন অন্য এক ধীরমনস্ক প্রকৃতিপ্রেমী ও মানবপ্রেমী সুরসিক মানুষকে।
পৃথিবীর যুদ্ধবিরোধী অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপন্যাস এরিখ মারিয়া রেমার্কের 'অল কোয়ায়েট অন দ্যা ওয়েস্টটার্ন ফ্রন্ট'-এর বিশবছরের সৈনিক পল-এর কথা স্মরণ হয় এই ডায়েরি পড়ে। উভয়ের সৈনিকজীবনেই সমরাস্ত্র সংশ্লিষ্টতা অতিক্রম করে প্রকৃতি, মানুষ ও মন 'সবার উপরে সত্য'--এই বিশ্বজনীন মানবিকতা চিরভাস্বর হয়ে উঠেছে।
রেমার্কের তরুণ সৈনিক তার মায়ের প্রিয় সাধারণ পোশাকেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করত; পিতার আদেশেও ফৌজি উর্দি পরে সে বাবার বন্ধুদের সামনে যেতে অসম্মতি জানিয়েছিল এক ধরনের যুদ্ধবিরূপতায়। রামগড়ের দিনলিপিকার সৈয়দ আমিরুজ্জামান বীরবিক্রমও পার্বত্যজীবনের নিসর্গ ও মানুষকে ফৌজি দায়িত্বের উর্ধ্বে চিরজাগুরুক রেখেছেন তাঁর স্মৃতিমথিত ডায়েরিতে।
একাত্তরের এক বীর সেনানীর নয়মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধে লিপ্ত থাকার মাত্র নয় বছর আগের তিন মাসের (১৯৬২-র জুন থেকে আগস্ট) পার্বত্যজীবনের দিনলিপি এই 'রামগড়ের ডায়েরি' মহান মুক্তিযুদ্ধের নয় বছর আগের এই দিনলিপিতে বীরবিক্রম খেতাবে ভূষিত দুঃসাহসী সশস্ত্র যোদ্ধার চাকরি সূত্রে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিপদসঙ্কুল ও প্রতিকূল পরিবেশে মুক্তিযুদ্ধপূর্ব দৈনন্দিন ফৌজি কর্তব্যপালনের সময়কার বর্ণনার মধ্যে পাঠক খুঁজে পা্বেন অন্য এক ধীরমনস্ক প্রকৃতিপ্রেমী ও মানবপ্রেমী সুরসিক মানুষকে।
পৃথিবীর যুদ্ধবিরোধী অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপন্যাস এরিখ মারিয়া রেমার্কের 'অল কোয়ায়েট অন দ্যা ওয়েস্টটার্ন ফ্রন্ট'-এর বিশবছরের সৈনিক পল-এর কথা স্মরণ হয় এই ডায়েরি পড়ে। উভয়ের সৈনিকজীবনেই সমরাস্ত্র সংশ্লিষ্টতা অতিক্রম করে প্রকৃতি, মানুষ ও মন 'সবার উপরে সত্য'--এই বিশ্বজনীন মানবিকতা চিরভাস্বর হয়ে উঠেছে।
রেমার্কের তরুণ সৈনিক তার মায়ের প্রিয় সাধারণ পোশাকেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করত; পিতার আদেশেও ফৌজি উর্দি পরে সে বাবার বন্ধুদের সামনে যেতে অসম্মতি জানিয়েছিল এক ধরনের যুদ্ধবিরূপতায়। রামগড়ের দিনলিপিকার সৈয়দ আমিরুজ্জামান বীরবিক্রমও পার্বত্যজীবনের নিসর্গ ও মানুষকে ফৌজি দায়িত্বের উর্ধ্বে চিরজাগুরুক রেখেছেন তাঁর স্মৃতিমথিত ডায়েরিতে।
This is the largest online Bengali books reading library. In this site, you can read old Bengali books pdf. Also, Bengali ghost story books pdf free download. We have a collection of best Bengali books to read. We do provide kindle Bengali books free. We have the best Bengali books of all time. We hope you enjoy Bengali books online free reading.
মুক্তিযুদ্ধ কোষ (সকল খণ্ড) - মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত

গত শতাব্দীতে বাঙালির শ্রেষ্ঠ অর্জন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় এবং স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণার মাধ্যমে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ।
ত্রিশলক্ষেরও বেশি বাঙালি শহীদ হন আর ছয়লক্ষের মতো নারী হন ধর্ষিত।
আহত অগুনিত।
মুক্তিযুদ্ধ অভিঘাত হেনেছিল প্রায় প্রতিটি বাঙালি পরিবারে।
একদিকে যেমন মুক্তিযোদ্ধারা অস্ত্রহাতে যুদ্ধ করেছেন, তেমনি অবরুদ্ধ দেশে থেকেও প্রায় সব বাঙালি মুক্তি অর্জনে সহায়তা করেছেন।
তাদের সবার দুঃখ বেদনা, আত্মত্যাগ, বিজয়, আনন্দের গাথা এবং হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামস, শান্তিকমিটির অবর্ণনীয় অত্যাচার, গণহত্যার বিবরণ ১২ খণ্ডের মুক্তিযুদ্ধ কোষ।
১২ খণ্ডে সমাপ্ত মুক্তিযুদ্ধ কোষ এর মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা প্রায় ৮০৩৪ এবং ভুক্তি সংখ্যা ২০,৩৯১টি।
স্বাধীনতার চারদশক পর আমরা পেলাম ১২ খণ্ডে প্রায় পূর্ণাঙ্গ একটি মুক্তিযুদ্ধ কোষ।
বইগুলো অনলাইনে যৌথভাবে এনেছে আমারবই ডট কম এবং মুক্তিযুদ্ধ ই-আর্কাইভ ট্রাস্ট।Download and Comments/Join our Facebook Group
This is the largest online Bengali books reading library. In this site, you can read old Bengali books pdf. Also, Bengali ghost story books pdf free download. We have a collection of best Bengali books to read. We do provide kindle Bengali books free. We have the best Bengali books of all time. We hope you enjoy Bengali books online free reading.
মা - আনিসুল হক (বাংলা ইপাব)

উপন্যাসের কাহিনী মুক্তিযোদ্ধা মাগফার আহমেদ চৌধুরী আজাদ এবং তাঁর মায়ের জীবন নিয়ে । শহীদ আজাদের মা সাফিয়া বেগম ছিলেন ঢাকার সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যে একজনের স্ত্রী। তিনি ছিলেন আত্মমর্যাদাবান। তাই তার স্বামী যখন দ্বিতীয় বিবাহ করলেন, তখন তিনি তা মেনে নেননি। ছোট্ট আজাদকে নিয়ে শত বিলাসিতা আর প্রাচুর্যের ঘেরাটোপ পেরিয়ে নেমে এসেছিলেন নিজের গড়া যুদ্ধক্ষেত্রে। সেই যুদ্ধের তিনি ছিলেন সফল যোদ্ধা। অভাব অনটনকে পেছনে ফেলে নিজ হাতে তিনি মানুষের মত মানুষ করে তুলেছিলেন আজাদকে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে আজাদ তাঁর বন্ধুদের সাথে যোগ দেয় । ঢাকায় ক্র্যাক প্লাটুন এর দলে তিনি ছিলেন । এই গেরিলা দলটি তৎকালীন সময়ে “হিট এন্ড রান" পদ্ধতিতে অসংখ্য আক্রমণ পরিচালনা করে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর মধ্যে ব্যাপক ত্রাসের সঞ্চার করে । ১৯৭১ সালের ২৯ আগস্ট পাকিস্তানি বাহিনী রেইড চালিয়ে ক্র্যাক প্লাটুন এবং সংশ্লিষ্ট অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ধরে নিয়ে যায় । আজাদের বাড়িতেও রেইড হয় , আজাদ তাঁর সহযোদ্ধাদের সাথে ধরা পড়েন । পাকিস্তানিরা তাদের নির্মমভাবে নির্যাতন করে তথ্য জানতে চায় । প্রচণ্ড অত্যাচারের মাঝেও তারা আজাদের মুখ থেকে কিছু বের করতে পারে না । তখন তার মাকে বলা হয়, ছেলে যদি সবার নাম-ধাম ইত্যাদি বলে দেয়, তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে । আজাদের মা ছেলেকে বলেন কিছুই না বলতে । আজাদ বলে, মা দুদিন ভাত খাই না, ভাত নিয়ে এসো। মা পরের দিন ভাত নিয়ে হাজির হন বন্দিশিবিরে, কিন্তু ছেলের দেখা মেলে না। আজাদের মা আর কোনোদিনও জীবনে ভাত খাননি। যুদ্ধের ১৪ বছর পরে মা মারা যান, নিঃস্ব, রিক্ত-বেশে। মুক্তিযোদ্ধারা তাঁকে কবরে শায়িত করলে আকাশ থেকে ঝিরঝির করে ঝরতে থাকে বৃষ্টি ।
eBook Created By : Sisir Suvro
Download : | ePUB | | Mobi | | PDF |
This is the largest online Bengali books reading library. In this site, you can read old Bengali books pdf. Also, Bengali ghost story books pdf free download. We have a collection of best Bengali books to read. We do provide kindle Bengali books free. We have the best Bengali books of all time. We hope you enjoy Bengali books online free reading.
Labels:
epub,
Kindle,
Liberation of bangladesh,
আনিসুল হক,
উপন্যাস,
মুক্তিযুদ্ধ
বাংলা ও বাঙালির ইতিহাস চতুর্থ খন্ড তৃতীয় পর্ব

ইতিহাস কেবল ঘটনা দিয়েই তৈরি হয় না, ঘটনার বিবরণ কিংবা স্মরণ, যা সামাজিক মনে গভীর, দীর্ঘস্থায়ী ছাপ তৈরি করে রেখে যায়, তার উপর ভর করেও ইতিহাস দাঁড়িয়ে থাকে। তাই, ও-বাংলার মুক্তিযুদ্ধ যেমন বাংলার আধুনিক ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, এ-বাংলার সংবাদপত্রে সেই সংগ্রামের ধারাবিবরণী যে ভাবে ‘রচিত’ হচ্ছে, সেটাও বাঙালির ইতিহাসের কম জরুরি উপাদান নয়! ঢাকা থেকে প্রকাশিত বাংলা ও বাঙালির ইতিহাস চতুর্থ খণ্ডের তিনটি পর্বের তিনটি বই হাতে নিয়ে এই কথাটাই মনে হল, কেননা ঘটনার তথ্য পরিবেশনের সঙ্গে অনেকখানি জায়গা এখানে দেওয়া হয়েছে ঘটনার প্রতিক্রিয়া, প্রতিফলন ও পরবর্তী স্মরণের উপর। ভূমিকাতেই বলা আছে, বাংলার সামগ্রিক ইতিহাস রচনার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ।
‘সামগ্রিক’ কথাটা বেশ সমস্যাজনক। তবু বহুকৌণিক বিশ্লেষণে, বহু-আঙ্গিকের রচনায় একটা বড় ইতিহাসকে ধরার চেষ্টা এতে চোখে পড়বেই। এই বড় ইতিহাসের শেষাংশে এসে চতুর্থ খণ্ডের বিষয় মার্চ ১৯৭১ থেকে ডিসেম্বর ১৯৭২। কেন এই দেড় বছর এতখানি গুরুত্ব পায়, ভূমিকায় এবং প্রবন্ধগুলিতে সেটা ভাল ভাবেই প্রতিষ্ঠিত। শামসুজ্জামান খান যেমন স্পষ্ট বলেছেন, বাঙালি আসলে ভারতের একটি প্রান্তিক জনবসতি, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ধারার সমন্বয়ে তৈরি হলেও সেই সব ধারার মূলস্রোত থেকে আলাদা তার নিজস্ব আইডেন্টিটি। আর, স্বতন্ত্রতা-ঋদ্ধ এই বাঙালি জাতির রাজনৈতিক আত্মপ্রতিষ্ঠার সময়টি হল ১৯৭১। পশ্চিমবঙ্গে বসে আমরা নিশ্চয়ই ব্যাপারটা এ ভাবে ভাবি না। কিন্তু মানতেই হবে, মুসলিমপ্রধান পূর্ব বাংলার দৃষ্টি থেকে কথাটির তাৎপর্য যথেষ্ট। সাতচল্লিশ সালের পনেরোই অগস্ট যতই যুগান্তকারী হোক, বাংলার ইতিহাসে সেই মুহূর্তটির গুরুত্ব নেহাতই ক্ষণস্থায়ী এবং খণ্ডিত। বাংলার ইতিহাস, আরও ঠিক করে বলতে গেলে, বাঙালির ইতিহাস ১৯৭১ সালে এসে একটা অর্থময়তা পেল, যদিও তার খণ্ডিত রূপটি ঘুচল না।
তাই মুক্তিযুদ্ধের সময়ে এ বাংলায় পত্রপত্রিকা কী লিখছিল, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে কী ভাবে বাংলাদেশ সহায়ক কমিটি তৈরি হয়েছিল, কী ছিল তাদের লক্ষ্য, কী ভাবে তাদের সংগৃহীত অর্থ দিয়ে ত্রাণের কাজ চলত, কিংবা বাঙালি নৌবাহিনীর ভূমিকা, বাঙালি ছেলেদের গেরিলা কর্মপদ্ধতি, এ সব মিলেই বাঙালির ইতিহাসের একটা বড় ছবির নির্মাণ। এত দিন অবধি এই সব ছিল শোনা কাহিনি, কিংবা প্রকাশিত সংবাদ— সুসংবদ্ধ ইতিহাস নয়, কেননা সেগুলি কোনও বড় বিশ্লেষণী কাঠামোয় জায়গা পায়নি। এই খণ্ডগুলির দৌলতে সেই জানাশোনা কাহিনির একটা ইতিহাস পাওয়া গেল, বাঙালি আইডেন্টিটির ক্রমবিবর্তনের অধ্যায় হিসেবে।
বাঙালি আইডেন্টিটির স্ফুরণ বিষয়ে অন্যরা কী ভাবছিল তখন? মায়ানমার, জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অনেকগুলো দেশের দৃষ্টিকোণ মেলে বিভিন্ন লেখায়। পশ্চিম পাকিস্তানেরও। পূর্ব পাকিস্তানের ‘গণহত্যা’ বিষয়ে সেখানে সচেতনতা ছিল না বললেই চলে। তুলনায় যাঁরা প্রগতিশীল, তাঁরাও মনে করতেন শেখ মুজিব অতীব বিপজ্জনক, তাঁর ছয় দফা দাবি সমূলে পরিত্যাজ্য, কেননা সেই ছয় দফা দাবি মেনে নিলে পূর্ব পাকিস্তান কেন, সিন্ধু বা বালুচিস্তানের মতো জায়গাও স্বশাসনের ধুয়োটি জোরালো করার অবকাশ পেয়ে যাবে। মানবিকতার প্রশ্ন তো আর পাকিস্তানের সার্বভৌমতার প্রশ্নের চেয়ে বড় হতে পারে না! মুনতাসির মামুনের এই লেখায় অবশ্য ব্যতিক্রমেরও হদিশ: পরের প্রজন্মের মনে সরকারি ইতিহাস পড়ার পরও কী ধরনের প্রশ্নের ভিড় জমে, তার আভাস।
চতুর্থ খণ্ডের প্রতিটি পর্ব প্রায় চারশো পাতার বই। প্রতিটি বই হাতে নিয়ে মনে হয়, এত বড় পরিসরে, বড় আঙ্গিকে বাঙালির ইতিহাস লেখার চেষ্টা করতে এখন ঢাকার বাংলা একাডেমীই পারে।
উপরের লেখাটি ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহিত।
Download and Comments/Join our Facebook Group
This is the largest online Bengali books reading library. In this site, you can read old Bengali books pdf. Also, Bengali ghost story books pdf free download. We have a collection of best Bengali books to read. We do provide kindle Bengali books free. We have the best Bengali books of all time. We hope you enjoy Bengali books online free reading.
Labels:
articles,
History,
Liberation of bangladesh,
ইতিহাস,
প্রবন্ধ,
মুক্তিযুদ্ধ
বাংলা ও বাঙালির ইতিহাস চতুর্থ খন্ড ২য় পর্ব

ইতিহাস কেবল ঘটনা দিয়েই তৈরি হয় না, ঘটনার বিবরণ কিংবা স্মরণ, যা সামাজিক মনে গভীর, দীর্ঘস্থায়ী ছাপ তৈরি করে রেখে যায়, তার উপর ভর করেও ইতিহাস দাঁড়িয়ে থাকে। তাই, ও-বাংলার মুক্তিযুদ্ধ যেমন বাংলার আধুনিক ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, এ-বাংলার সংবাদপত্রে সেই সংগ্রামের ধারাবিবরণী যে ভাবে ‘রচিত’ হচ্ছে, সেটাও বাঙালির ইতিহাসের কম জরুরি উপাদান নয়! ঢাকা থেকে প্রকাশিত বাংলা ও বাঙালির ইতিহাস চতুর্থ খণ্ডের তিনটি পর্বের তিনটি বই হাতে নিয়ে এই কথাটাই মনে হল, কেননা ঘটনার তথ্য পরিবেশনের সঙ্গে অনেকখানি জায়গা এখানে দেওয়া হয়েছে ঘটনার প্রতিক্রিয়া, প্রতিফলন ও পরবর্তী স্মরণের উপর। ভূমিকাতেই বলা আছে, বাংলার সামগ্রিক ইতিহাস রচনার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ।
‘সামগ্রিক’ কথাটা বেশ সমস্যাজনক। তবু বহুকৌণিক বিশ্লেষণে, বহু-আঙ্গিকের রচনায় একটা বড় ইতিহাসকে ধরার চেষ্টা এতে চোখে পড়বেই। এই বড় ইতিহাসের শেষাংশে এসে চতুর্থ খণ্ডের বিষয় মার্চ ১৯৭১ থেকে ডিসেম্বর ১৯৭২। কেন এই দেড় বছর এতখানি গুরুত্ব পায়, ভূমিকায় এবং প্রবন্ধগুলিতে সেটা ভাল ভাবেই প্রতিষ্ঠিত। শামসুজ্জামান খান যেমন স্পষ্ট বলেছেন, বাঙালি আসলে ভারতের একটি প্রান্তিক জনবসতি, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ধারার সমন্বয়ে তৈরি হলেও সেই সব ধারার মূলস্রোত থেকে আলাদা তার নিজস্ব আইডেন্টিটি। আর, স্বতন্ত্রতা-ঋদ্ধ এই বাঙালি জাতির রাজনৈতিক আত্মপ্রতিষ্ঠার সময়টি হল ১৯৭১। পশ্চিমবঙ্গে বসে আমরা নিশ্চয়ই ব্যাপারটা এ ভাবে ভাবি না। কিন্তু মানতেই হবে, মুসলিমপ্রধান পূর্ব বাংলার দৃষ্টি থেকে কথাটির তাৎপর্য যথেষ্ট। সাতচল্লিশ সালের পনেরোই অগস্ট যতই যুগান্তকারী হোক, বাংলার ইতিহাসে সেই মুহূর্তটির গুরুত্ব নেহাতই ক্ষণস্থায়ী এবং খণ্ডিত। বাংলার ইতিহাস, আরও ঠিক করে বলতে গেলে, বাঙালির ইতিহাস ১৯৭১ সালে এসে একটা অর্থময়তা পেল, যদিও তার খণ্ডিত রূপটি ঘুচল না।
তাই মুক্তিযুদ্ধের সময়ে এ বাংলায় পত্রপত্রিকা কী লিখছিল, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে কী ভাবে বাংলাদেশ সহায়ক কমিটি তৈরি হয়েছিল, কী ছিল তাদের লক্ষ্য, কী ভাবে তাদের সংগৃহীত অর্থ দিয়ে ত্রাণের কাজ চলত, কিংবা বাঙালি নৌবাহিনীর ভূমিকা, বাঙালি ছেলেদের গেরিলা কর্মপদ্ধতি, এ সব মিলেই বাঙালির ইতিহাসের একটা বড় ছবির নির্মাণ। এত দিন অবধি এই সব ছিল শোনা কাহিনি, কিংবা প্রকাশিত সংবাদ— সুসংবদ্ধ ইতিহাস নয়, কেননা সেগুলি কোনও বড় বিশ্লেষণী কাঠামোয় জায়গা পায়নি। এই খণ্ডগুলির দৌলতে সেই জানাশোনা কাহিনির একটা ইতিহাস পাওয়া গেল, বাঙালি আইডেন্টিটির ক্রমবিবর্তনের অধ্যায় হিসেবে।
বাঙালি আইডেন্টিটির স্ফুরণ বিষয়ে অন্যরা কী ভাবছিল তখন? মায়ানমার, জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অনেকগুলো দেশের দৃষ্টিকোণ মেলে বিভিন্ন লেখায়। পশ্চিম পাকিস্তানেরও। পূর্ব পাকিস্তানের ‘গণহত্যা’ বিষয়ে সেখানে সচেতনতা ছিল না বললেই চলে। তুলনায় যাঁরা প্রগতিশীল, তাঁরাও মনে করতেন শেখ মুজিব অতীব বিপজ্জনক, তাঁর ছয় দফা দাবি সমূলে পরিত্যাজ্য, কেননা সেই ছয় দফা দাবি মেনে নিলে পূর্ব পাকিস্তান কেন, সিন্ধু বা বালুচিস্তানের মতো জায়গাও স্বশাসনের ধুয়োটি জোরালো করার অবকাশ পেয়ে যাবে। মানবিকতার প্রশ্ন তো আর পাকিস্তানের সার্বভৌমতার প্রশ্নের চেয়ে বড় হতে পারে না! মুনতাসির মামুনের এই লেখায় অবশ্য ব্যতিক্রমেরও হদিশ: পরের প্রজন্মের মনে সরকারি ইতিহাস পড়ার পরও কী ধরনের প্রশ্নের ভিড় জমে, তার আভাস।
চতুর্থ খণ্ডের প্রতিটি পর্ব প্রায় চারশো পাতার বই। প্রতিটি বই হাতে নিয়ে মনে হয়, এত বড় পরিসরে, বড় আঙ্গিকে বাঙালির ইতিহাস লেখার চেষ্টা করতে এখন ঢাকার বাংলা একাডেমীই পারে।
উপরের লেখাটি ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহিত।
Download and Comments/Join our Facebook Group
This is the largest online Bengali books reading library. In this site, you can read old Bengali books pdf. Also, Bengali ghost story books pdf free download. We have a collection of best Bengali books to read. We do provide kindle Bengali books free. We have the best Bengali books of all time. We hope you enjoy Bengali books online free reading.
Labels:
articles,
History,
Liberation of bangladesh,
ইতিহাস,
প্রবন্ধ,
মুক্তিযুদ্ধ
একাত্তরের বীরযোদ্ধা (২য় খন্ড) মতিউর রহমান

মুক্তির লড়াইয়ে আমাদের বিজয়ের পেছনে ছিল সম্মুখযুদ্ধে বহু মুক্তিযোদ্ধার সাহসিকতাপূর্ণ অংশগ্রহণ। তাই রাষ্ট্রও সেই সোনার সন্তানদের বরণ করে নিয়েছিল বীরত্বসূচক খেতাব দিয়ে। কিন্তু যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ ছাড়া এ দেশ কখনো স্বাধীন হতো না, তাঁদের অনেকেই এখনো রয়ে গেছেন লোকচক্ষুর অন্তরালে। তাঁদের অনেকেরই পরিচয় আমাদের অজ্ঞাত, বীরত্বগাথা অজানা। খেতাব পাওয়া সেই মুক্তিযোদ্ধাদের কথা বিস্মৃতির গহ্বর থেকে বের করে এনে ভবিষ্যতে সংরক্ষণের প্রচেষ্টা এই সংকলন। এ বই আমাদের যুদ্ধক্ষেত্রে নিয়ে যাবে, ইতিহাসের চমকপ্রদ ও রোমাঞ্চকর উপাদানের সন্ধান দেবে আর পাঠকের মধ্যে সঞ্চার করবে মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনগুলোর উদ্দীপনা।
Download and Comments/Join our Facebook Group
This is the largest online Bengali books reading library. In this site, you can read old Bengali books pdf. Also, Bengali ghost story books pdf free download. We have a collection of best Bengali books to read. We do provide kindle Bengali books free. We have the best Bengali books of all time. We hope you enjoy Bengali books online free reading.
একাত্তরের বীরযোদ্ধা (প্রথম খন্ড) মতিউর রহমান

মুক্তির লড়াইয়ে আমাদের বিজয়ের পেছনে ছিল সম্মুখযুদ্ধে বহু মুক্তিযোদ্ধার সাহসিকতাপূর্ণ অংশগ্রহণ। তাই রাষ্ট্রও সেই সোনার সন্তানদের বরণ করে নিয়েছিল বীরত্বসূচক খেতাব দিয়ে। কিন্তু যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ ছাড়া এ দেশ কখনো স্বাধীন হতো না, তাঁদের অনেকেই এখনো রয়ে গেছেন লোকচক্ষুর অন্তরালে। তাঁদের অনেকেরই পরিচয় আমাদের অজ্ঞাত, বীরত্বগাথা অজানা। খেতাব পাওয়া সেই মুক্তিযোদ্ধাদের কথা বিস্মৃতির গহ্বর থেকে বের করে এনে ভবিষ্যতে সংরক্ষণের প্রচেষ্টা এই সংকলন। এই খণ্ডে তুলে ধরা হয়েছে খেতাব পাওয়া ৩০০ জন মুক্তিযোদ্ধার বীরত্বগাথা। বাকি মুক্তিযোদ্ধাদের কথা দ্বিতীয় খণ্ডে অন্তর্ভুক্ত হবে। এ বই আমাদের যুদ্ধক্ষেত্রে নিয়ে যাবে, ইতিহাসের চমকপ্রদ ও রোমাঞ্চকর উপাদানের সন্ধান দেবে আর পাঠকের মধ্যে সঞ্চার করবে মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনগুলোর উদ্দীপনা।
Download and Comments/Join our Facebook Group
This is the largest online Bengali books reading library. In this site, you can read old Bengali books pdf. Also, Bengali ghost story books pdf free download. We have a collection of best Bengali books to read. We do provide kindle Bengali books free. We have the best Bengali books of all time. We hope you enjoy Bengali books online free reading.
বাংলা ও বাঙালির ইতিহাস চতুর্থ খন্ড প্রথম পর্ব

ইতিহাস কেবল ঘটনা দিয়েই তৈরি হয় না, ঘটনার বিবরণ কিংবা স্মরণ, যা সামাজিক মনে গভীর, দীর্ঘস্থায়ী ছাপ তৈরি করে রেখে যায়, তার উপর ভর করেও ইতিহাস দাঁড়িয়ে থাকে। তাই, ও-বাংলার মুক্তিযুদ্ধ যেমন বাংলার আধুনিক ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, এ-বাংলার সংবাদপত্রে সেই সংগ্রামের ধারাবিবরণী যে ভাবে ‘রচিত’ হচ্ছে, সেটাও বাঙালির ইতিহাসের কম জরুরি উপাদান নয়! ঢাকা থেকে প্রকাশিত বাংলা ও বাঙালির ইতিহাস চতুর্থ খণ্ডের তিনটি পর্বের তিনটি বই হাতে নিয়ে এই কথাটাই মনে হল, কেননা ঘটনার তথ্য পরিবেশনের সঙ্গে অনেকখানি জায়গা এখানে দেওয়া হয়েছে ঘটনার প্রতিক্রিয়া, প্রতিফলন ও পরবর্তী স্মরণের উপর। ভূমিকাতেই বলা আছে, বাংলার সামগ্রিক ইতিহাস রচনার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ।
‘সামগ্রিক’ কথাটা বেশ সমস্যাজনক। তবু বহুকৌণিক বিশ্লেষণে, বহু-আঙ্গিকের রচনায় একটা বড় ইতিহাসকে ধরার চেষ্টা এতে চোখে পড়বেই। এই বড় ইতিহাসের শেষাংশে এসে চতুর্থ খণ্ডের বিষয় মার্চ ১৯৭১ থেকে ডিসেম্বর ১৯৭২। কেন এই দেড় বছর এতখানি গুরুত্ব পায়, ভূমিকায় এবং প্রবন্ধগুলিতে সেটা ভাল ভাবেই প্রতিষ্ঠিত। শামসুজ্জামান খান যেমন স্পষ্ট বলেছেন, বাঙালি আসলে ভারতের একটি প্রান্তিক জনবসতি, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ধারার সমন্বয়ে তৈরি হলেও সেই সব ধারার মূলস্রোত থেকে আলাদা তার নিজস্ব আইডেন্টিটি। আর, স্বতন্ত্রতা-ঋদ্ধ এই বাঙালি জাতির রাজনৈতিক আত্মপ্রতিষ্ঠার সময়টি হল ১৯৭১। পশ্চিমবঙ্গে বসে আমরা নিশ্চয়ই ব্যাপারটা এ ভাবে ভাবি না। কিন্তু মানতেই হবে, মুসলিমপ্রধান পূর্ব বাংলার দৃষ্টি থেকে কথাটির তাৎপর্য যথেষ্ট। সাতচল্লিশ সালের পনেরোই অগস্ট যতই যুগান্তকারী হোক, বাংলার ইতিহাসে সেই মুহূর্তটির গুরুত্ব নেহাতই ক্ষণস্থায়ী এবং খণ্ডিত। বাংলার ইতিহাস, আরও ঠিক করে বলতে গেলে, বাঙালির ইতিহাস ১৯৭১ সালে এসে একটা অর্থময়তা পেল, যদিও তার খণ্ডিত রূপটি ঘুচল না।
তাই মুক্তিযুদ্ধের সময়ে এ বাংলায় পত্রপত্রিকা কী লিখছিল, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে কী ভাবে বাংলাদেশ সহায়ক কমিটি তৈরি হয়েছিল, কী ছিল তাদের লক্ষ্য, কী ভাবে তাদের সংগৃহীত অর্থ দিয়ে ত্রাণের কাজ চলত, কিংবা বাঙালি নৌবাহিনীর ভূমিকা, বাঙালি ছেলেদের গেরিলা কর্মপদ্ধতি, এ সব মিলেই বাঙালির ইতিহাসের একটা বড় ছবির নির্মাণ। এত দিন অবধি এই সব ছিল শোনা কাহিনি, কিংবা প্রকাশিত সংবাদ— সুসংবদ্ধ ইতিহাস নয়, কেননা সেগুলি কোনও বড় বিশ্লেষণী কাঠামোয় জায়গা পায়নি। এই খণ্ডগুলির দৌলতে সেই জানাশোনা কাহিনির একটা ইতিহাস পাওয়া গেল, বাঙালি আইডেন্টিটির ক্রমবিবর্তনের অধ্যায় হিসেবে।
বাঙালি আইডেন্টিটির স্ফুরণ বিষয়ে অন্যরা কী ভাবছিল তখন? মায়ানমার, জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অনেকগুলো দেশের দৃষ্টিকোণ মেলে বিভিন্ন লেখায়। পশ্চিম পাকিস্তানেরও। পূর্ব পাকিস্তানের ‘গণহত্যা’ বিষয়ে সেখানে সচেতনতা ছিল না বললেই চলে। তুলনায় যাঁরা প্রগতিশীল, তাঁরাও মনে করতেন শেখ মুজিব অতীব বিপজ্জনক, তাঁর ছয় দফা দাবি সমূলে পরিত্যাজ্য, কেননা সেই ছয় দফা দাবি মেনে নিলে পূর্ব পাকিস্তান কেন, সিন্ধু বা বালুচিস্তানের মতো জায়গাও স্বশাসনের ধুয়োটি জোরালো করার অবকাশ পেয়ে যাবে। মানবিকতার প্রশ্ন তো আর পাকিস্তানের সার্বভৌমতার প্রশ্নের চেয়ে বড় হতে পারে না! মুনতাসির মামুনের এই লেখায় অবশ্য ব্যতিক্রমেরও হদিশ: পরের প্রজন্মের মনে সরকারি ইতিহাস পড়ার পরও কী ধরনের প্রশ্নের ভিড় জমে, তার আভাস।
চতুর্থ খণ্ডের প্রতিটি পর্ব প্রায় চারশো পাতার বই। প্রতিটি বই হাতে নিয়ে মনে হয়, এত বড় পরিসরে, বড় আঙ্গিকে বাঙালির ইতিহাস লেখার চেষ্টা করতে এখন ঢাকার বাংলা একাডেমীই পারে।
উপরের লেখাটি ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহিত।
Download and Comments/Join our Facebook Group
This is the largest online Bengali books reading library. In this site, you can read old Bengali books pdf. Also, Bengali ghost story books pdf free download. We have a collection of best Bengali books to read. We do provide kindle Bengali books free. We have the best Bengali books of all time. We hope you enjoy Bengali books online free reading.
Labels:
articles,
History,
Liberation of bangladesh,
ইতিহাস,
প্রবন্ধ,
মুক্তিযুদ্ধ
অসমাপ্ত আত্মজীবনী - শেখ মুজিবুর রহমান
অসমাপ্ত আত্মজীবনী
শেখ মুজিবুর রহমান
২০০৪ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা চারটি খাতা আকস্মিকভাবে তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার হস্তগত হয়। খাতাগুলি অতি পুরানো, পাতাগুলি জীর্ণপ্রায় এবং লেখা প্রায়শ অস্পষ্ট। মূল্যবান সেই খাতাগুলি পাঠ করে জানা গেল এটি বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, যা তিনি ১৯৬৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে অন্তরীণ অবস্থায় লেখা শুরু করেছিলেন, কিন্তু শেষ করতে পারেননি। জেল-জুলুম, নিগ্রহ-নিপীড়ন যাঁকে সদা তাড়া করে ফিরেছে, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে উৎসর্গীকৃত-প্রাণ, সদাব্যস্ত বঙ্গবন্ধু যে আত্মজীবনী লেখায় হাত দিয়েছিলেন এবং কিছুটা লিখেছেনও, এই বইটি তার সাক্ষর বহন করছে।
বইটিতে আত্মজীবনী লেখার প্রেক্ষাপট, লেখকের বংশ পরিচয়, জন্ম, শৈশব, স্কুল ও কলেজের শিক্ষাজীবনের পাশাপাশি সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, দুর্ভিক্ষ, বিহার ও কলকাতার দাঙ্গা, দেশভাগ, কলকাতাকেন্দ্রিক প্রাদেশিক মুসলিম ছাত্রলীগ ও মুসলিম লীগের রাজনীতি, দেশ বিভাগের পরবর্তী সময় থেকে ১৯৫৪ সাল অবধি পূর্ব বাংলার রাজনীতি, কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক মুসলিম লীগ সরকারের অপশাসন, ভাষা আন্দোলন, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা, যুক্তফ্রন্ট গঠন ও নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন, আদমজীর দাঙ্গা, পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের বৈষম্যমূলক শাসন ও প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের বিস্তৃত বিবরণ এবং এসব বিষয়ে লেখকের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার বর্ণনা রয়েছে। আছে লেখকের কারাজীবন, পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি ও সর্বোপরি সর্বংসহা সহধর্মিণীর কথা, যিনি তাঁর রাজনৈতিক জীবনে সহায়ক শক্তি হিসেবে সকল দুঃসময়ে অবিচল পাশে ছিলেন। একইসঙ্গে লেখকের চীন, ভারত ও পশ্চিম পাকিস্তান ভ্রমণের বর্ণনাও বইটিকে বিশেষ মাত্রা দিয়েছে।
শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এ. ডিগ্রি লাভ করেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে অধ্যয়ন করেন। ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম। তিনি তাঁর দল আওয়ামী লীগকে ১৯৭০ সালের জাতীয় ও প্রাদেশিক নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী করেন। তাঁর এই অর্জন স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের অন্যতম প্রেক্ষাপট রচনা করে। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তিনি এক ঐতিহাসিক ভাষণে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়ে ঘোষণা করেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।” ঐ সংগ্রামের জন্য তিনি জনগণকে “যা কিছু আছে তাই নিয়ে” প্রস্তুত থাকতে বলেন। তিনি ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেন ও পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন। নির্বাচিত গণপ্রতিনিধিরা ১০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করেন। তাঁরা স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারি করেন এবং বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেন। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন হলে শেখ মুজিব পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ১০ জানুয়ারি বীরের বেশে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। বাঙালির অবিসম্বাদিত নেতা হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমান জীবদ্দশায় কিংবদন্তী হয়ে ওঠেন।
১৯৭২ সালে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও ১৯৭৫ সালে রাষ্ট্রপতির আসনে অধিষ্ঠিত হন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এক সামরিক অভ্যুত্থানে তিনি শাহাদতবরণ করেন।
শেখ মুজিবুর রহমান
২০০৪ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা চারটি খাতা আকস্মিকভাবে তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার হস্তগত হয়। খাতাগুলি অতি পুরানো, পাতাগুলি জীর্ণপ্রায় এবং লেখা প্রায়শ অস্পষ্ট। মূল্যবান সেই খাতাগুলি পাঠ করে জানা গেল এটি বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, যা তিনি ১৯৬৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে অন্তরীণ অবস্থায় লেখা শুরু করেছিলেন, কিন্তু শেষ করতে পারেননি। জেল-জুলুম, নিগ্রহ-নিপীড়ন যাঁকে সদা তাড়া করে ফিরেছে, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে উৎসর্গীকৃত-প্রাণ, সদাব্যস্ত বঙ্গবন্ধু যে আত্মজীবনী লেখায় হাত দিয়েছিলেন এবং কিছুটা লিখেছেনও, এই বইটি তার সাক্ষর বহন করছে।
বইটিতে আত্মজীবনী লেখার প্রেক্ষাপট, লেখকের বংশ পরিচয়, জন্ম, শৈশব, স্কুল ও কলেজের শিক্ষাজীবনের পাশাপাশি সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, দুর্ভিক্ষ, বিহার ও কলকাতার দাঙ্গা, দেশভাগ, কলকাতাকেন্দ্রিক প্রাদেশিক মুসলিম ছাত্রলীগ ও মুসলিম লীগের রাজনীতি, দেশ বিভাগের পরবর্তী সময় থেকে ১৯৫৪ সাল অবধি পূর্ব বাংলার রাজনীতি, কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক মুসলিম লীগ সরকারের অপশাসন, ভাষা আন্দোলন, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা, যুক্তফ্রন্ট গঠন ও নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন, আদমজীর দাঙ্গা, পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের বৈষম্যমূলক শাসন ও প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের বিস্তৃত বিবরণ এবং এসব বিষয়ে লেখকের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার বর্ণনা রয়েছে। আছে লেখকের কারাজীবন, পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি ও সর্বোপরি সর্বংসহা সহধর্মিণীর কথা, যিনি তাঁর রাজনৈতিক জীবনে সহায়ক শক্তি হিসেবে সকল দুঃসময়ে অবিচল পাশে ছিলেন। একইসঙ্গে লেখকের চীন, ভারত ও পশ্চিম পাকিস্তান ভ্রমণের বর্ণনাও বইটিকে বিশেষ মাত্রা দিয়েছে।
শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এ. ডিগ্রি লাভ করেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে অধ্যয়ন করেন। ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম। তিনি তাঁর দল আওয়ামী লীগকে ১৯৭০ সালের জাতীয় ও প্রাদেশিক নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী করেন। তাঁর এই অর্জন স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের অন্যতম প্রেক্ষাপট রচনা করে। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তিনি এক ঐতিহাসিক ভাষণে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়ে ঘোষণা করেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।” ঐ সংগ্রামের জন্য তিনি জনগণকে “যা কিছু আছে তাই নিয়ে” প্রস্তুত থাকতে বলেন। তিনি ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেন ও পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন। নির্বাচিত গণপ্রতিনিধিরা ১০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করেন। তাঁরা স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারি করেন এবং বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেন। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন হলে শেখ মুজিব পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ১০ জানুয়ারি বীরের বেশে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। বাঙালির অবিসম্বাদিত নেতা হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমান জীবদ্দশায় কিংবদন্তী হয়ে ওঠেন।
১৯৭২ সালে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও ১৯৭৫ সালে রাষ্ট্রপতির আসনে অধিষ্ঠিত হন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এক সামরিক অভ্যুত্থানে তিনি শাহাদতবরণ করেন।
বই নিয়ে শুধুমাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, বই নিয়ে শুধু মাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, নতুন প্রজন্ম চকঝমকের আকর্ষণে বইয়ের দিক থেকে ঘুরিয়ে নিচ্ছে মুখ। আমাদের এ আয়োজন বইয়ের সাথে মানুষের সম্পর্ককে অনিঃশেষ ও অবিচ্ছিন্ন করে রাখা। আশাকরি আপনাদের সহযোগিতায় আমাদের এই ইচ্ছা আরোও দৃঢ় হবে। দুনিয়ার পাঠক এক হও! বাংলা বই বিশ্বের বিবিধ স্থানে, সকল বাংলাভাষীর কাছে সহজলভ্য হোক!
This is the largest online Bengali books reading library. In this site, you can read old Bengali books pdf. Also, Bengali ghost story books pdf free download. We have a collection of best Bengali books to read. We do provide kindle Bengali books free. We have the best Bengali books of all time. We hope you enjoy Bengali books online free reading.
যখন ক্রীতদাস: স্মৃতি ৭১ - নাজিম মাহমুদ

“একাত্তর অক্টোবর শেষে নিউইয়র্ক টাইমসের এক সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান বললেন, শেখ মুজিবকে যদি পূর্ব পাকিস্তানে ছেড়ে দেওয়া হয়, সেখানকার জনগণই তাঁকে হত্যা করবে। কি উদ্দেশ্যে এই ভবিষ্যৎবাণী উচ্চারিত, অথচ কি অমোঘ এই বাক্য! ইয়াহিয়া খান নিশ্চয়ই তার আশেপাশের পা চাটা বাঙালী চামচা দেখে বাঙালী জাতি সম্পর্কে একটি সাধারণ ধারণা পোষণ করতেন, বাঙালী গাদ্দার। তাই এমন সহজে বাঙালী জাতিকে পিতৃহন্তা বলেও ভাবতে পারেন তিনি। কি আশ্চর্য এই মূল্যায়ন! নাটোরে যুদ্ধবন্দী পাকসেনাদের সেই চিৎকার এখনও আমার কানে লেগে - 'হম ফির আয়েঙ্গে।'এই চিৎকারকে সেদিন যে সহযাত্রীরা উপহাস করেছিল, তারা আজ কোথায়? 'হম ফির আয়েঙ্গে' - এখন বুঝতে পারি কতভাবেই না ফিরে আসা যায়। ধর্মীয় রাজনীতির পোশাকে সাম্প্রদায়িকতার সড়ক বেয়ে ফিরে আসা যায়, ক্রিকেটপ্রীতির নামে সেই সাম্প্রদায়িকতার বিষটুকুও ধীরে ধীরে সঞ্চারিত করা যায়, কিংবা নতুন খাকী বোতলে পুরোনো মদ ঢেলেও ফিরিয়ে আনা যায় সেই হারানো দিন, সেই হারানো সালতানাৎ। এখন আমাদের পরিচয় সংকট। আমরা আগে বাঙালী, না আগে মুসলমান এই বিতর্ক অমীমাংসিত। আমাদের ঐতিহ্যের মূল শিকড় মাটির নিচে না বালির নিচে, তা নিয়ে কত আত্মানুসন্ধান কত সংশয়। তাই পাকসেনাদের স্বশরীরে ফেরা সম্ভব না হলেও তাদের প্রেতাত্মা আমাদের সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে উপস্থিত।”
Download and Comments/Join our Facebook Group
This is the largest online Bengali books reading library. In this site, you can read old Bengali books pdf. Also, Bengali ghost story books pdf free download. We have a collection of best Bengali books to read. We do provide kindle Bengali books free. We have the best Bengali books of all time. We hope you enjoy Bengali books online free reading.
Authors
- অগ্নিপুত্র
- অজয় দাশগুপ্ত
- অজিত রায়
- অজিতকুমার দত্ত
- অতুলচন্দ্র গুপ্ত
- অদিতি ফাল্গুনী
- অদ্বৈত মল্লবর্মণ
- অদ্রীশ বর্ধন
- অনন্যা
- অনীশ দাস অপু
- অনীশ দেব
- অনুবাদ
- অন্তহীন
- অন্নদাশংকর রায়
- অন্যদিন
- অন্যান্য
- অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- অভিজিৎ রায়
- অভিধান
- অভ্র বসু
- অমর মিত্র
- অমরত্ব
- অমরেন্দ্র চক্রবর্তী
- অমর্ত্য সেন
- অমল দাশগুপ্ত
- অমিতাভ ঘোষ
- অমিতাভ চৌধুরী
- অরবিন্দ চক্রবর্তী
- অরবিন্দু আডিগা
- অরুণ সোম
- অরুন্ধতী মুখোপাধ্যায়
- অরুন্ধতী রায়
- অর্ঘ দাস
- অর্ণব সাহা
- অর্ধেক জীবন
- অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত
- অশোক ঘোষ
- অশোক মিত্র
- অ্যাইজাক আজিমভ
- অ্যালান মার্কস
- অ্যালেক্স রাদারফোর্ড
- আইন
- আকবর আলি খান
- আখতার হুসেন
- আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
- আজহার ইসলাম
- আজিজুল হক
- আত্মঘাতী বাঙ্গালী
- আত্মজীবনী
- আত্মপক্ষ
- আনন্দবাজার
- আনন্দমেলা
- আনন্দলোক
- আনা ফ্রাঙ্ক
- আনিসুজ্জামান
- আনিসুল হক
- আনু মুহাম্মদ
- আনোয়ার হোসেন মঞ্জু
- আন্দালিব রাশদী
- আপন ও পরবুদ্ধিজীবী
- আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ
- আবদুল গাফফার চৌধুরী
- আবদুশ শাকুর
- আবদুস সাঈদ
- আবদেল মাননান
- আবীর হাসান
- আবু ইসহাক
- আবু জাফর
- আবু জাফর শামসুদ্দীন
- আবু মোহাম্মদ ফজলুল করিম
- আবু সাইয়িদ
- আবুল আহসান চৌধুরী
- আবুল কালাম মনজুর মোরশেদ
- আবুল কাশেম
- আবুল ফজল
- আবুল বাশার
- আবুল হাসান
- আব্দুল মান্নান সৈয়দ
- আমাদের বইমেলা
- আমার ছেলেবেলা
- আয়েশা ফয়েজ
- আরজ আলী মাতুব্বর
- আরতি দাস
- আরব্য রজনী
- আলফ্রেড হিচকক
- আলম খোরশেদ
- আলমগীর রহমান
- আলাউদ্দিন আল আজাদ
- আলি দস্তি
- আলী আহমদ
- আলী যাকের
- আলেকজান্দার দ্যুমা
- আলেক্সেই তলস্তয়
- আলোর গন্ধ
- আশাপূর্ণা দেবী
- আশীফ এন্তাজ রবি
- আংশুমান চক্রবর্তী
- আসজাদুল কিবরিয়া
- আসাদ চৌধুরী
- আসাদুজ্জামান নূর
- আহমদ ছফা
- আহমদ রফিক
- আহমদ শরীফ
- আহমাদ মোস্তফা কামাল
- আহসান হাবিব
- আহসান হাবীব
- ই-বই
- ই-বুক
- ইতিহাস
- ইত্তেফাক
- ইন্দিরা গান্ধী
- ইফতেখার আমিন
- ইবনে ইসহাক
- ইমদাদুল হক মিলন
- ইয়স্তেন গার্ডার
- ইয়ান মার্টেল
- ইয়াসমীন হক
- ইরফান হাবিব
- ইরা লেভিন
- ইলা মিত্র
- ইশতিয়াক আহমেদ
- ঈদ সংখ্যা
- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
- উইল ডুরান্ট
- উইলবার স্মিথ
- উজ্জ্বল কুমার দাস
- উজ্জ্বল চক্রবর্তী
- উজ্জ্বলকুমার দাস
- উত্তম কুমার
- উত্তরঙ্গ
- উৎপলকুমার দত্ত
- উনিশ কুড়ি
- উন্মাদ
- উপন্যাস
- উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী
- উম্মে মুসলিমা
- উল্লাস মল্লিক
- উল্লাসকর দত্ত
- ঊপন্যাস
- ঋতুপর্ণ ঘোষ
- ঋত্বিক ঘটক
- এ কে খন্দকার
- এ টি এম শামসুদ্দীন
- এ বি এম মূসা
- এ. জি. স্টক
- এ. পি. জে. আবদুল কালাম
- এ. বি. গুথরী
- এইচ এম মনিরুজ্জামান
- একজন জলদাসীর গল্প
- একুশের বইমেলা
- এখানে ওজন মাপা হয়
- এটিএম শামসুল হুদা
- এডওয়ার্ড সাঈদ
- এডগার অ্যালান পো
- এন্থনি হোপ
- এফ. করিম
- এম আর আখতার মুকুল
- এম.এ.খান
- এলিস মুনরো
- এষা দে
- এস এম সুলতান
- এহসান উল হক
- এ্যারিস্টটল
- ঐতিহাসিক উপন্যাস
- ওমেগা পয়েন্ট
- ওরহান পামুক
- কঙ্কর সিংহ
- কথামালা
- কন্স্তান্তিন উশিন্স্কি
- কবরখানার চাবি
- কবি
- কবিতা
- কবীর চৌধুরী
- কবীর সুমন
- কমলকুমার মজুমদার
- কমলেন্দু সরকার
- কমিকস
- কম্পিউটার
- করুণা রাণী সাহা
- কলকাতা
- কলাম
- কল্যাণী দত্ত
- কাজলের দিনরাত্রি
- কাজি মাহবুব হোসেন
- কাজী আনোয়ার হোসেন
- কাজী ইমদাদুল হক
- কাজী গোলাম গউস সিদ্দিকী
- কাজী নজরুল ইসলাম
- কাজী মাহবুব হাসান
- কাটপেষ্ট
- কাফকা
- কাফি খাঁ
- কামরুদ্দীন আহমদ
- কামাল চৌধুরী
- কামিলা শামসি
- কায়কোবাদ
- কার্ল মার্ক্স
- কালকূট
- কালি ও কলম
- কালিদাস
- কালীপ্রসন্ন বন্দ্যোপাধ্যায়
- কালেরকন্ঠ
- কিউ.এন. জামান
- কিঙ্কর আহসান
- কিঙ্কর আহ্সান
- কিশোর আলো
- কিশোর ভারতী
- কিশোর সাহিত্য
- কুটুমিয়া
- কুসুমকুমারী দাস
- কৃষণ চন্দর
- কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়
- কেতাবি খবর
- কোরানশরিফ
- কৌরব
- ক্যাপিটাল
- ক্যারেন আর্মস্ট্রং
- ক্লদ লেভিং স্ত্রস
- ক্লিনটন বুথ সিলি
- ক্ষিতীশ সরকার
- খবর
- খুশবন্ত সিং
- খেলাধুলা
- গঙ্গা
- গজেন্দ্রকুমার মিত্র
- গণিত
- গল্প
- গল্প সংকলন
- গান্ধি
- গান্ধী
- গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস
- গিরীশচন্দ্র সেন
- গীতিকা
- গুলবদন বেগম
- গোধূলি
- গোপাল ভাঁড়
- গোলাম মওলা নঈম
- গোলাম মুরশিদ
- গোঁসাইবাগানের ভূত
- গৌতম ভদ্র
- গ্রন্থ পরিচিতি
- গ্রামসি
- গ্রেজিয়া দেলেদ্দা
- ঘনাদা
- চন্দ্রিল ভট্টাচার্য
- চল অচিনপুরে
- চলচ্চিত্র
- চার্লস ডারউইন ও বিবর্তনবাদ
- চিঙ্গিস আইৎ্মাতভ
- চিঠিপত্র
- চিত্তরঞ্জন মাইতি
- চিত্রনাট্য
- চিত্রা দেব
- চিনুয়া আচেবে
- চিলেকোঠার সেপাই
- চেতন ভগত
- ছোটগল্প
- জওহরলাল নেহরু
- জগদস্বাপ্রসাদ দীক্ষিত
- জগদীশ গুপ্ত
- জগন্নাথ প্রামাণিক
- জন গ্রিসহাম
- জয় গোস্বামী
- জয়শ্রী গঙ্গোপাধ্যায়
- জর্জ অরওয়েল
- জর্জ লুকাস
- জলদাসীর গল্প
- জলপুত্র
- জসিমউদ্দিন মন্ডল
- জসীমউদ্দিন
- জসীমউদ্দীন
- জহির রায়হান
- জাকির তালুকদার
- জাফর আলম
- জাফর ইকবাল
- জাহানারা ইমাম
- জি এইচ হাবিব
- জীবন স্মৃতি
- জীবনতারা হালদার
- জীবনানন্দ
- জীবনানন্দ ও কল্লোল যুগ
- জীবনানন্দ দাশ
- জীবনীগ্রন্থ
- জুকারবার্গের দুনিয়া
- জুলভার্ন
- জে কে রাওলিং
- জে বি এস হ্যালডেন
- জে বি বিউরি
- জেমস ওয়াইজ
- জেরোম কে জেরোম
- জোকস
- জোছনা ও জননীর গল্প
- জ্যাক দেরিদা
- জ্যোতি বসু
- জ্যোতিভূষণ চাকী
- জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী
- জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর
- ঝুম্পা লাহিড়ি
- টেকচাঁদ ঠাকুর
- ডঃ নীহার কুমার সরকার
- ডঃ মোহাম্মদ হাননান
- ডঃ সুশীলকুমার দে
- ড: ভবানীপ্রসাদ সাহু
- ড. ইসরাইল খান
- ড. নূরুন নবী
- ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
- ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ
- ড. সুনীল কুমার মুখোপাধ্যায়
- ডক্টর রমেশচন্দ্র মজুমদার
- ডক্টর হরিশংকর শ্রীবাস্তব
- ডরিস লেসিং
- ডাকঘর
- ডেল কার্নেগী
- ড্যান ব্রাউন
- ড্রাগনের মুখোশ
- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়ভার
- তপন বাগচী
- তপন রায়চৌধুরী
- তপন শাহেদ
- তপন সিনহা
- তপশ্রী
- তমাল বন্দ্যোপাধ্যায়
- তসলিমা নাসরিন
- তাকাশি হাইয়াকাওয়া
- তানজীম রহমান
- তানবীরা তালুকদার
- তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
- তারেক মাসুদ
- তারেক শামসুর রেহমান
- তাহমিমা আনাম
- তিলোত্তমা মজুমদার
- ত্রিপুরা বসু
- ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়
- দর্শন
- দান্তে
- দিলারা জামান
- দিলীপ কুমার মুখোপাধ্যায়
- দিলীপ দাস
- দীনেশচন্দ্র সেন
- দুলিরামের বউ
- দুলেন্দ্র ভৌমিক
- দেবব্রত মুখোপাধ্যায়
- দেবযান
- দেবাশিস ঘোষ
- দেবাশীষ দেব
- দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়
- দেবেশ রায়
- দেশ
- দেশ কবিতা সংকলন
- দেশ গল্প
- দ্বিজেন শর্মা
- দ্য গুড মুসলিম
- ধর্ম
- ধীরাজ ভট্টাচার্য
- ধীরেশচন্দ্র ভট্টাচার্য
- ধূর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়
- নচিকেতা চক্রবর্তী
- নতুন বাড়ি
- নবকল্লোল
- নবকুমার বসু
- নবনীতা দেব সেন
- নবারুণ ভট্টাচার্য
- নবারুন ভট্টাচার্য
- নবীন চাওলা
- নবেন্দু ঘোষ
- নরেন্দ্রনাথ মিত্র
- নলিনী দাস
- নলিনী বাবু BSc
- নাগীব মাহফুজ
- নাজিম মাহমুদ
- নাটক
- নারায়ণ দেবনাথ
- নাসরীন জাহান
- নাসিমা আনিস
- নিকোলাই গোগোল
- নিকোলাই তিখনভ
- নিমাই ভট্টাচার্য
- নিরঞ্জন মজুমদার
- নির্বাসনের কথা
- নির্মলেন্দু গুণ
- নিশাত জাহান রানা
- নীতীশ সেনগুপ্ত
- নীরদচন্দ্র চৌধুরী
- নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী
- নীহাররঞ্জন গুপ্ত
- নেসার আহমেদ
- নোবেল প্রাইজ
- পঞ্চতন্ত্র
- পত্র সাহিত্য
- পত্রিকা
- পরমা
- পরশুরাম
- পরিতোষ সেন
- পরিমল ভট্টাচার্য
- পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের নকশী কাঁথার মাঠ
- পাওলো কোয়েলহো
- পাঠ্যপুস্তক
- পাপিয়া ভট্টাচার্য
- পাবলো নেরুদা
- পারভেজ হোসেন
- পারমিতা ঘোষ মজুমদার
- পার্থ চট্টোপাধ্যায়
- পি জি ওডহাউস
- পিনাকী ঘোষ
- পিয়াস মজিদ
- পিরিমকুল কাদিরভ
- পুজাবার্ষিকী
- পুণ্যলতা চক্রবর্তী
- পুলক বন্দোপাধ্যায়
- পুশকিন
- পূরবী বসু
- পূর্ণিমা মিত্র
- পূর্ণেন্দু পত্রী
- পৃথ্বীরাজ সেন
- পৌলমী সেনগুপ্ত
- প্রচেত গুপ্ত
- প্রডিজি
- প্রতিভা বসু
- প্রথম আলো
- প্রদোষ চৌধুরী
- প্রফুল্ল রায়
- প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী
- প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক
- প্রফেসর মুহম্মদ ইউনূস
- প্রবন্ধ
- প্রবীর ঘোষ
- প্রবোধকুমার সান্যাল
- প্রমথ গুপ্ত
- প্রমথ চৌধুরী
- প্রমথনাথ বিশী
- প্রশান্ত দাস
- প্রসেনজিত দাশগুপ্ত
- প্রিসিলা রাজ
- প্রীতি কুমার মিত্র
- প্রেমচন্দ
- প্রেমময় দাশগুপ্ত
- প্রেমেন্দ্র মজুমদার
- প্রেমেন্দ্র মিত্র
- ফওজুল করিম
- ফকির লালন সাঁই
- ফজলুল আলম
- ফয়েজ আলম
- ফরিদুর রেজা সাগর
- ফল্গু কর
- ফাউনটেনপেন
- ফাতেমা জাহেরা সুলতানা
- ফাতেমা ভুট্টো
- ফারহানা মিলি
- ফারুক চৌধুরী
- ফিরে পাওয়া
- ফিরোজা বেগম
- ফিলিপ কে. হিত্তি
- ফেরদৌসী
- ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী
- ফেরদৌসী মজুমদার
- ফেলুদা
- ফ্রানৎস কাফকা
- ফ্রেডরিক এঙ্গেলস
- ফ্রেডরিখ ফরসাইথ
- বই
- বই আলোচনা
- বই কেনা
- বইমেলা
- বইমেলা ২০১১
- বইয়ের দুনিয়া
- বইয়ের দেশ
- বঙ্কিম রচনাবলী
- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
- বদরুদ্দীন উমর
- বদিউদ্দিন নাজির
- বদিউর রহমান
- বনফুল
- বনসাই
- বরিস পাস্টেরনাক
- বরুণ মজুমদার
- বরেন বসু
- বর্তমান
- বশীর বারহান
- বাউল
- বাণী বসু
- বারাক ওবামা
- বার্ট্রান্ড রাসেল
- বাংলা ইপাব
- বাংলা একাডেমি
- বাংলা কবিতা
- বাংলা বই
- বাংলা রহস্য গল্প
- বাংলাদেশ
- বাংলাভাষা
- বাংলার পাখি
- বাল্মীকি
- বি এম বরকতউল্লাহ
- বিকাশ ভট্টাচার্য
- বিজনবাবুর রহস্যময় ছবি
- বিজয়া রায়
- বিজিত ঘোষ
- বিজ্ঞান
- বিজ্ঞান তৃষা
- বিধান চন্দ্র পাল
- বিপুল দাস
- বিপ্লব দাশগুপ্ত
- বিবেকানন্দ ঝা
- বিবেকানান্দ
- বিভাস দাসগুপ্ত
- বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
- বিমল কর
- বিমল মিত্র
- বিমল মুখার্জি
- বিমল রায়
- বিষ্ণু প্রভাকর
- বীরবল
- বুদ্ধদেব গুহ
- বুদ্ধদেব বসু
- বুলবুল চৌধুরী
- বৃক্ষকথা
- বৃন্দাবন কর্মকার
- বেগম রোকেয়া
- বেঞ্জামিন ওয়াকার
- বেলাল চৌধুরী
- বেলাল বেগ
- বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর
- ব্যাকরণ
- ভক্তি প্রসাদ মল্লিক
- ভগত সিং
- ভাঙা বাড়ির রহস্য
- ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়
- ভি এস নইপাল
- ভিক্টর হুগো
- ভিন ভাষার চারটি গল্প
- ভুল ভোর
- ভূতের গল্প
- ভূমেন্দ্র গুহ
- ভ্রমণ কাহিনী
- ভ্রমন কাহিনী
- ভ্সেভলোদ নেস্তাইকো
- মঈদুল হাসান
- মঈনুল আহসান সাবের
- মওদুদ আহমদ
- মকবুল ফিদা হুসেইন
- মঞ্জু সরকার
- মণিলাল গঙ্গোপাধ্যায়
- মতি নন্দী
- মতিউর রহমান
- মনসুর মুসা
- মনিরউদ্দীন ইউসুফ
- মনের মানুষ
- মনোরঞ্জন রায়
- মন্দাক্রান্তা সেন
- মফিদুল হক
- মমতা ব্যানার্জি
- মমতাজ শহীদ
- মমতাজউদদীন আহমদ
- মলয় বসু
- মল্লিকা সেনগুপ্ত
- মশিউল আলম
- মহাদেব সাহা
- মহাভারত
- মহাশ্বেতা দেবী
- মহিউদ্দিন আহমদ
- মহুয়ার বান্ধবী
- মাই নেম ইজ রেড
- মাইক জান
- মাইকেল মধুসূদন দত্ত
- মাওলানা ভাসানী
- মাজহারুল ইসলাম
- মাঠরঙ্গ
- মাদার তেরিজা
- মানদা দেবী
- মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
- মান্না দে
- মামুনুর রশীদ
- মারিও পূজো
- মাসরুর আরেফিন
- মাসুদ রানা
- মাসুদুজ্জামান
- মাহবুব আলম
- মাহবুবুল আলম
- মাহবুবুল হক
- মাহমুদুল হক
- মিখহল শলোখফ
- মিগেল দে থের্ভান্তেস সাভেদ্রা
- মিজানুর রহমান কল্লোল
- মির্জা গালিব
- মিশেল ফুকো
- মিহির সেনগুপ্ত
- মীজানুর রহমান
- মীনাক্ষী দত্ত
- মীর মশাররফ হোসেন
- মীর মোশাররফ হোসেন
- মুক্তিযুদ্ধ
- মুখোমুখি
- মুজফফর আহমদ
- মুনতাসীর মামুন
- মুনীর আহমেদ
- মুনীর চৌধুরী
- মুহম্মদ জালালউদ্দীন বিশ্বাস
- মুহম্মদ নূরুল হুদা
- মুহম্মদ হান্নান
- মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান
- মেঘের উপর বাড়ি
- মেজর কামরুল হাসান ভূঁইয়া
- মৈত্রেয়ী দেবী
- মোঃ আবদুল হামিদ
- মোজাফফ্র হোসেন
- মোতাহের হোসেন চৌধুরী
- মোনাজাত উদ্দিন
- মোবাশ্বের আলী
- মোবাশ্বের খানম
- মোশাররফ হোসেন ভূঞা
- মোস্তফা কামাল
- মোস্তফা সরয়ার ফারুকী
- মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী
- মোহাম্মদ আবদুল হাই
- মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন
- মোহিতলাল মজুমদার
- মৌ ভট্টাচার্য
- মৌর্য যুগ
- ম্যাক্সিম গোর্কি
- ম্যাজিক
- যতীন সরকার
- যদুনাথ সরকার
- যশোধরা রায়চৌধুরী
- যশোবন্ত সিংহ
- যামিনীকান্ত সোম
- যাযাবর
- যুগান্তর
- রং পেন্সিল
- রইসউদ্দিন আরিফ
- রকিব হাসান
- রচনাবলী
- রচনাসমগ্র
- রঞ্জন
- রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়
- রঞ্জিত মজুমদার
- রঞ্জিত সেন
- রফিক উল ইসলাম
- রফিক-উম-মুনীর চৌধুরী
- রফিকুর রশীদ
- রবিঠাকুর
- রবিশংকর
- রবিশংকর বল
- রবীন্দ্র কুমার দাশগুপ্ত
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- রমাপদ চৌধুরী
- রমেন মজুমদার
- রমেশদা’র আত্মকথা
- রম্যরচনা
- রশীদ করিম
- রশীদ হায়দার
- রহস্য পত্রিকা
- রহীম উদ্দীন সিদ্দিকী
- রাও ফরমান আলী
- রাজনীতি
- রাজশেখর বসু
- রাজা রামমোহন রায়
- রাজেশ বসু
- রাফিক হারিরি
- রামকিঙ্কর বেইজ
- রামচন্দ্র গুহ
- রামতনু লাহিড়ী
- রামশরণ শর্মা
- রায়হান আবীর
- রাশিফল
- রাসসুন্দরী দাসী
- রাহুল সাংকৃত্যায়ন
- রিচার্ড ডকিন্স
- রিজিয়া রহমান
- রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ
- রুশ অনুবাদ
- রূপক সাহা
- রূপকথা
- রেজা ঘটক
- রেজাউর রহমান
- রোকন রহমান
- রোজা লুক্সেমবুর্গ
- রোনডা বার্ন
- রোববার
- রোমিলা থাপার
- লাবণ্য দাশ
- লালন
- লালবিহারী দে
- লি কুন শিন
- লিওনার্দ ম্লডিনাও
- লিলিয়ান তুমি অন্ধ বালিকা
- লীলা মজুমদার
- লুৎফর রহমান রিটন
- লুস্যুন
- লেখক
- লেনিন
- লেভ কাস্সিল
- লেম্যান ফ্রাঙ্ক বউম
- শ ম রেজাউল করিম
- শওকত আলী
- শওকত ওসমান
- শওকত হোসেন
- শংকর
- শংকরলাল ভট্টাচার্য
- শকুন্তলা
- শক্তিপদ রাজগুরু
- শঙ্কু মহারাজ
- শঙ্খ ঘোষ
- শচীন দেববর্মন
- শফিকুর রহমান
- শরৎচন্দ্র
- শরৎচন্দ্র রচনাবলী
- শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়
- শহিদ হোসেন খোকন
- শহিদুল্লাহ কায়সার
- শহীদ আখন্দ
- শহীদ কাদরী
- শহীদুল জহির
- শহীদুল্লা কায়সার
- শাকুর মজিদ
- শান্তনু মজুমদার
- শামসুদ্দিন চৌধুরি
- শামসুদ্দীন আবুল কালাম
- শামসুর রাহমান
- শামসুল আলম সাঈদ
- শামিম আহমেদ
- শারদীয়া পত্রিকা
- শার্লক হোমস
- শাহ আহমদ রেজা
- শাহজাহান মানিক
- শাহাদুজ্জামান
- শাহানা কায়েস
- শিক্ষামূলক
- শিবব্রত বর্মন
- শিবরাম চক্রবর্তী
- শিশির চক্রবর্তী
- শিশু-কিশোর সাহিত্য
- শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
- শুকতারা
- শুভ দাশগুপ্ত
- শুভ নববর্ষ
- শুভেন্দু দত্ত
- শেকসপিয়র
- শেখ আবদুল হাকিম
- শেখ মুজিবুর রহমান
- শেখ মুহম্মদ নূরুল ইসলাম
- শেখ হাসিনা
- শেখর সেনগুপ্ত
- শৈলেন ঘোষ
- শৈলেশ দে
- শৈলেশ্বর ঘোষ
- শ্বাশত নিপ্পন
- শ্রাবণ সন্ধ্যাটুকু
- শ্রী প্রহ্লাদকুমার প্রামাণিক
- শ্রী বসন্তকুমার পাল
- শ্রী ভূদেব চৌধুরী
- শ্রীজাত
- শ্রীপান্থ
- শ্রীপারাবত
- শ্রীভুবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়
- শ্রীলাল শুক্লা
- শ্রীশচন্দ্র দাশ
- ষষ্টীপদ চট্টোপাধ্যায়
- সংকলন
- সঙ্গীতা বন্দ্যোপাধ্যায়
- সচিত্র ভারত প্রদক্ষিন
- সতীনাথ ভাদুড়ী
- সত্য গুপ্ত
- সত্যজিৎ রায়
- সনৎকুমার সাহা
- সন্জীদা খাতুন
- সন্দীপ রায়
- সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়
- সফোক্লিস
- সংবর্ধনা
- সংবিধান
- সব্যসাচী চক্রবর্তী
- সমকাল
- সমর সেন
- সমরেশ বসু
- সমাজবিজ্ঞান
- সমীর সেনগুপ্ত
- সমীরণ গুহ
- সম্রাট
- সম্রাট অশোক
- সম্রাট জাহাঙ্গীর
- সরদার ফজলুল করিম
- সলিমুল্লাহ খান
- সলিল চৌধুরী
- সলিল বিশ্বাস
- সা’দ উল্লাহ
- সাইমন সেবাগ মন্টেফিওরি
- সাক্ষাৎকার
- সাদাত হোসেন মান্টো
- সাদেকুল আহসান
- সাদেকুল আহসান কল্লোল
- সানজিদা আখতার
- সানন্দা
- সান্টাক্লজের উপহার
- সাপ্তাহিক
- সায়ন্তনী পূততুন্ড
- সাযযাদ কাদির
- সালমান রুশদি
- সালেহ চোধুরী
- সালেহ চৌধুরী
- সাহানা দেবী
- সাহিত্যের সেরা গল্প
- সিদ্দিকা কবীর
- সিদ্দিকুর রহমান স্বপন
- সিদ্ধার্থ ধর
- সিনেমা
- সিমোন দ্য বোভোয়ার
- সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
- সুইসাইড
- সুকন্যা
- সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়
- সুকুমার রায়
- সুকুমার সেন
- সুকুমারী ভট্টাচার্য
- সুকোমল সেন
- সুচিত্রা ভট্টাচার্য
- সুচিত্রা সেন
- সুজন দাসগুপ্ত
- সুধাংশুরঞ্জন ঘোষ
- সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
- সুধীর চক্রবর্তী
- সুধীরচন্দ্র সরকার
- সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
- সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
- সুন্দর মুখোপাধ্যায়
- সুফিয়া কামাল
- সুবীর রায়চৌধুরী
- সুবীর সরকার
- সুবোধ ঘোষ
- সুব্রত চৌধুরী
- সুব্রত মুখোপাধ্যায়
- সুভাষ ভট্টাচার্য
- সুমন গুপ্ত
- সুমন্ত আসলাম
- সুরজিত দাশগুপ্ত
- সুরমা ঘটক
- সুরেন্দ্রনাথ ঠাকুর
- সুস্মিতা চক্রবর্তী
- সেই সাপ জ্যান্ত
- সেজান মাহমুদ
- সেবা প্রকাশনী
- সের্গেই স্মির্নভ
- সেলিনা বাহার জামান
- সেলিনা হোসেন
- সেলিম আল দীন
- সেলিম রেজা নিউটন
- সৈকত চৌধুরী
- সৈয়দ আমীরুজ্জামান বীরবিক্রম
- সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম
- সৈয়দ মঞ্জুরুল হক
- সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম
- সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ
- সৈয়দ শামসুল হক
- সোমেন চন্দ্র
- সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়
- সৌম্যেন পাল
- সৌরীন নাগ
- স্টিফেন কিং
- স্টিফেন ডব্লিউ হকিং
- স্টিভ জবস
- স্বপ্ন দেখব বলে
- স্বপ্নগ্রস্ত
- স্বপ্নময় চক্রবর্তী
- স্মরণজিত চক্রবর্তী
- স্মরণজিৎ চক্রবর্তী
- স্মৃতিকথা
- স্যামুয়েল পি. হান্টিংটন
- স্যামুয়েল বেকেট
- স্যার আর্থার কন্যান ডয়্যাল
- হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
- হরিদাসের গুপ্তকথা
- হরিপদ ভৌমিক
- হরিশংকর জলদাস
- হলুদ মলাট
- হাছন রাজা
- হানিফ সংকেত
- হাফিজ
- হায়দার আকবর খান রনো
- হায়াত মামুদ
- হারুনুর রশীদ
- হালখাতা
- হাসন রাজা
- হাসনাত আবদুল হাই
- হাসান আজিজুল হক
- হাসান খুরশীদ রুমী
- হাসান ফেরদৌস
- হিমাদ্রিকিশোর দাসগুপ্ত
- হিমানীশ গোস্বামী
- হিমু
- হিরনকুমার সান্যাল
- হিরোডোটাস
- হিলারী রডহ্যাম ক্লিনটন
- হীরেন চট্টোপাধ্যায়
- হুতোম প্যাঁচার জলসা
- হুতোম প্যাঁচার নকশা
- হুমায়ুন আজাদ
- হুমায়ুন কবীর
- হুমায়ূন আহমেদ
- হুমায়ূন মালিক
- হেনরী রাইডার হ্যাগার্ড
- হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য
- হেলাল হাফিজ