Ticker

6/recent/ticker-posts

তাজউদ্দীন আহমদের অপ্রকাশিত ডায়েরি | ১৯৫২ পর্ব-১

তাজউদ্দীন আহমদের অপ্রকাশিত ডায়েরি

১৯৫২ পর্ব-১

২৬ বছরের একজন যুবক তাজউদ্দীন আহমদ। যিনি প্রচণ্ড রকমের সমাজ এবং রাজনীতিসচেতন। যিনি নিরলসভাবে প্রতিদিনের প্রতিটি মুহূর্তকে কোনো না কোনো কাজে নিয়োজিত রাখছেন।

তার ভাবনা নিজকে ছাড়িয়ে বৃহত্তর সমাজকে স্পর্শ করে। তার ভাবনার ভিত্তি যুক্তি এবং বাস্তবতা।

তার দৃষ্টি অবারিত যেমন স্বদেশে তেমনি বিশ্বে। তিনি বিশ্বাস করেন সমাজকে উন্নত অবস্থানে পৌঁছে দিতে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। সচেষ্ট থাকেন স্কুল গড়ে তোলায়। স্কুলের উন্নয়নের লক্ষ্যে যাচ্ছেন নানা এলাকায়। স্থানীয় পর্যায়ের মানুষদের সম্পৃক্ত করছেন স্থানীয় স্কুলের সঙ্গে। শিক্ষানীতি নিয়ে কথা বলছেন। যুগোপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থার কথা বলছেন।


সরকারের নিপীড়নমূলক যেকোনো অন্যায় কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে অংশ নিচ্ছেন। জনমত গড়ে তুলছেন। বিবৃতি লিখছেন। লিফলেট বিলি করছেন। ভাষা আন্দোলনে মুখ্য ভূমিকা পালন করছেন।

শিক্ষকতা করছেন। বই পড়ছেন অজস্র। অসুস্থ মানুষকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাচ্ছেন। অথবা ডাক্তারের কাছে চিঠি লিখে রোগীকে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। গবাদিপশুর রোগ বালাই নিরাময়ের জন্যও কাজ করছেন।

শৃঙ্খলা তার জীবনের অঙ্গ। ক্লান্তি তার কাছে হার মানে। সাইকেলে দূর থেকে দূরান্তে ছুটে চলেছেন। ভলিবল, ব্যাডমিন্টন খেলছেন। খেলছেন দাবা। আড়াই চাল আর সাড়ে তিন চালের খেলা তার ধৈর্যকে নিয়ে যাচ্ছে অসীমে।

তার দূরদৃষ্টিকে যেন আরও স্বচ্ছ করে তুলছে। তিনি হয়ে উঠছেন পরিকল্পনা কুশলী। তিনি তৈরি হচ্ছেন এক বৃহত্তম মহত্তম কাজ সমপাদনের লক্ষ্যে।

কোন ধরনের ভন্ডামি, শঠতা থেকে তার অবস্থান লক্ষ্য যোজন দূরে। দৃঢ়চিত্ত, গভীর জ্ঞান ও সরলতা তাকে বিশ্বস্ত কর্মোদ্যোগী গুণী মানুষের মর্যাদায় আপনাতেই যেন নিয়ে যাচ্ছে। প্রকৃতির কাছ থেকে তিনি সংগ্রহ করছেন প্রাণশক্তি। রোদ বৃষ্টি মেঘ মানুষের চরিত্র থেকে ফসলের মাঠে যে ভূমিকা রাখে, তা থেকে তিনি নিরূপণ করেন সমাজের দুঃখ-কষ্ট, হাসি-কান্না। তাজউদ্দীন হয়ে উঠতে থাকেন অনন্য।

তাজউদ্দীন আহমদের ১৯৫২ সালের ডায়েরি জুড়ে এমনই সব চিত্রের সমাহার।

তাজউদ্দীন আহমদ নিয়মিত ডায়েরি লিখতেন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে ডায়েরিগুলোর অধিকাংশই ধ্বংস হয়। কিছু ডায়েরি গবেষণার কাজে লাগবে বলে ১৯৬৬ সালে তাজউদ্দীন আহমদ-এর কাছ থেকে নিয়ে যান বদরুদ্দীন উমর। তার কাছে থাকা ডায়েরিগুলোই রক্ষা পায়। ১৯৫২ সালের ডায়েরিটি সেই রক্ষা পাওয়া ডায়েরিগুলোর একটি। ডায়েরিটি ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করেছেন কবি বেলাল চৌধুরী।

সিমিন হোসেন রিমি-এর সম্পাদনায় প্রথমবারের মতো প্রকাশিত হচ্ছে সাপ্তাহিক-এ ধারাবাহিকভাবে।



জানুয়ারি ১, মঙ্গলবার

শ্রীপুরে ফিরে আসা

সকাল সাড়ে ছয়টায় উঠেছি।

কামরুদ্দিন সাহেবের সঙ্গে দেখা হলো।

সকাল সাড়ে দশটা থেকে সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত একটি দল গঠনের ব্যাপারে তার সঙ্গে কথা বললাম। আমরা গণআজাদী লীগ পুনরুজ্জীবনের পক্ষে, তবে লীগ শব্দের পরিবর্তে পার্টি শব্দ ব্যবহার করা যেতে পারে।

দুপুর ১২টা ১৮ মিনিটের ট্রেনে শ্রীপুরের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লাম।

বিকেলে ক্লাবের ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতায় আহমদ আলী ম-ল ও ফরেস্টার মুসলিমউদ্দীনের মধ্যে অনুষ্ঠিত খেলায় আমি রেফারির দায়িত্ব পালন করলাম। ম-ল খেলায় জয়ী হলো। রাত সাড়ে ৮টা থেকে পৌনে ১১টা পর্যন্ত মজিদ সাহেব, মালেক সাহেব প্রমুখের সাথে ক্লাবে বসে দাবা খেললাম।

রাত ১১টায় বিছানায় গেলাম।

আবহাওয়া : ঠাণ্ডা পরিবেশ।



২.১.৫২

সকাল ৬টায় উঠেছি।

সকাল সাড়ে ১০টায় স্কুলে গেলাম। প্রধান শিক্ষক ও প্রসন্ন বাবু ছিলেন না। নাম ডাকার পর ছুটি দেয়া হল। খেলাফত নেতা মককুল মৌলবী ক্লাবে আমার সঙ্গে বিকেল ৪টায় দেখা করলেন এবং আমাকে ১১ জানুয়ারি নোয়াকান্দিতে অনুষ্ঠিতব্য একটি মিটিংয়ে যোগ দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানালেন। আমি আমন্ত্রণ গ্রহণ করলাম।

প্রধান শিক্ষক মফিজউদ্দিন ক্লাবে আমার সঙ্গে দেখা করলেন। তিনি ৫ জানুয়ারি উত্তরখামারে অনুষ্ঠিতব্য একটি সভায় যোগ দেয়ার জন্য আমাকে আমন্ত্রণ জানালেন। আমি আমন্ত্রণ গ্রহণ করলাম। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্টেশন রুমে বসে তিনি আমার সঙ্গে কথা বললেন। রাতের খাবার শেষে রাত সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ক্লাবে ছিলাম।

রাত পৌনে ১০টায় বিছানায় গেলাম।

আবহাওয়া : আগের মতোই।



৩.১.৫২

সকাল ৭টায় উঠলাম।

সকাল ১১টায় স্কুলে গেলাম। প্রধান শিক্ষক, বলাই বাবু ও প্রসন্ন বাবু অনুপস্থিত ছিলেন। নাম ডাকার পর ছুটি দেয়া হল।

স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মালেক সাহেবের সঙ্গে ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতায় খেলে আমি জিতলাম। রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ক্লাবে ছিলাম। আজ রাতে শিক্ষক মোজাফফর হোসেন সাহেব এলেন।

রাত ১১টায় বিছানায় গেলাম।

আবহাওয়া : আগের মতোই।



সকাল ৮টা ২২ মিনিটের ট্রেনে শ্রীপুর ডাকঘরের ক্লার্ক মইনুদ্দিন সাহেব মানিকগঞ্জ সাবডিভিসনের লাসরা ডাকঘরের সাবপোস্ট মাস্টার পদে যোগ দিতে রওনা হয়ে গেলেন। তিনি ছিলেন আমার একজন ভাল বন্ধু এবং শ্রীপুর ক্লাবের একজন উদ্যমী সদস্য।



৪.১.৫২

সকাল ৭টায় উঠেছি।

আহমেদ, মজিদ, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর, ফরেস্টার মুসলেমউদ্দিন প্রমুখের সঙ্গে সারাদিন পাশা ও ব্যাডমিন্টন খেলে কাটালাম। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ক্লাবেই ছিলাম।

রাত সাড়ে ৮টায় বিছানায় গেলাম।

আবহাওয়া : আগের মতোই।



বেলা ২টা ১৫ মিনিটের ট্রেনে ভাওয়াল সিডব্লিউ এস্টেটের ম্যানেজার ও পুলিশ ইন্সপেক্টর ‘বি’ শ্রীপুর এসেছিলেন, এখানে অবস্থানরত ডিএফও’র সঙ্গে যৌথ অনুসন্ধানের জন্য। তাদের অনুসন্ধানের বিষয় ছিল ভাওয়ালের বনাঞ্চলের ঘটনাবলী ও বন কর্মচারী, বিশেষ করে আরও, এ করিমের বিষয়ে।



৫.১.৫২

ভোর সাড়ে ৫টায় উঠেছি।

সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত স্কুলে ছিলাম। দুপুর ২টায় সাহাবুদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে সাইকেলে উত্তর খামারের উদ্দেশে রওনা হলাম। পথে বড়হরে হাকিম মিয়ার বাড়িতে কয়েক মিনিটের জন্য থামলাম। বাড়িতে শুধু ইউসুফ আলী মামা ছিলেন। বিকেল ৪টায় দিকে এইচ ই স্কুলের সামনে আয়োজিত সভায় উপস্থিত হলাম।

সভায় সভাপতিত্ব করেন এসডিও (উত্তর) এ সাত্তার। আমি সভায় পৌঁছে দেখি আহসান মিয়া বক্তৃতা করছেন। তারপর রশিদ মিয়া কয়েক মিনিটের জন্য বক্তৃতা করলেন। আসর নামাজের পর আমি আধঘণ্টা ধরে বক্তব্য রাখলাম। আমি যখন লবণ সংকট নিয়ে কথা বলছিলাম তখন কাপাসিয়া থানার ওসি আমাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু আমি আমার যুক্তি তুলে ধরতে লাগলাম। এসডিও তাকে ব্যাঘাত সৃষ্টি না করার জন্য বললেন। এসডিওর বক্তৃতার মধ্য দিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সভা শেষ হয়।

সভার আয়োজন ভালই ছিল। মাইক ছিল ঠিকঠাক। সভার বিরতির সময় রেডিও পাকিস্তানের ঢাকা কেন্দ্রের বদরুদ্দীন শ্রোতাদের গান শোনালেন। সভায় তিন হাজার বা তার চেয়ে বেশি মানুষের উপস্থিতি ছিল। সভা শেষে মফিজউদ্দিন সাহেবের বাড়িতে এসডিও আমার সঙ্গে বর্তমান শিক্ষা পদ্ধতি নিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা কথা বললেন। তারপর তিনি আরজু মিয়ার বাড়িতে গেলেন। যেখানে তিনি উঠেছেন।

ডা. হোসেন আলী, আহসান মিয়া, শাহাজউদ্দিন, আড়ালের সরকার, ময়মনসিংহের একজন হাকিম ও অন্যদের সঙ্গে মফিজউদ্দীন মাস্টার সাহেবের বাড়িতে রাতের খাবার খেলাম।

রাত ১১টায় সরকার ও শাহাবুদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে রমিজউদ্দীনের বাড়িতে ঘুমাতে গেলাম।

আবহাওয়া : আগের মতোই।



৬.১.৫২

ভোর সাড়ে ৫টায় উঠলাম।

মফিজউদ্দিন সাহেবের বাড়িতে নাস্তা খেলাম। রমিজউদ্দীনের বাড়িতেও নাস্তা খেলাম তিনি আমাদেরকে বললেন, গত বছর কীভাবে তার আইএ পাস ছেলেকে পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে যোগদানের ক্ষেত্রে দুর্বল ও কম বয়সের মনগড়া অজুহাতে বাধা প্রদান করা হয়েছে।

সকাল ৮টায় মিয়া বাড়িতে এসডিও (উত্তর) সঙ্গে দেখা হল এবং প্রায় ঘণ্টাখানেক টুকিটাকি বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা বললাম। এরপর সকাল ৯টায় তিনি হাতির পিঠে চড়ে কাপাসিয়ার উদ্দেশে রওনা হলেন। আর আমি সাহাবুদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে শ্রীপুরের উদ্দেশে রওনা হলাম। বড়হরে আমরা ১৫ মিনিটের জন্য থামলাম। হাকিম মিয়া বাড়িতেই ছিলেন। শ্রীপুরে পৌঁছলাম বেলা সাড়ে ১১টায়। দুপুর ২টা পর্যন্ত ক্লাস নিলাম।

বিকেলে ব্যাডমিন্টন খেললাম। ঘরে ফিরলাম সন্ধ্যা ৬টায়।

বিছানায় গেলাম রাত ৯টায়।

আবহাওয়া : আগের মতোই।



৭.১.৫২

সকাল ৬টায় উঠেছি।

বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত স্কুলে ছিলাম। বিকেল ৩টায় ভাংনাহালি মাদ্রাসার সামনে আয়োজিত জনসভায় যোগ দিলাম। পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি মওলানা আব্দুল আজিজ সভাপতিত্ব করলেন। বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত আমি বক্তৃতা দিলাম। এরপর দিঘলার মওলানা ওয়ারিস আলী এবং আদিয়াবাদের মওলানা হারিসুল হক বক্তব্য রাখলেন। সভাপতির ভাষণের পর রাত সাড়ে ৯টায় সভা শেষ হলো। সভায় প্রায় দেড় হাজার লোক উপস্থিত ছিলেন।

আমি আমার বক্তৃতায় সমালোচনামুখর ছিলাম শাসনতন্ত্র প্রণয়ন, বিশেষ করে একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়নে বর্তমান মন্ত্রিসভার ব্যর্থতার জন্য। মাদ্রাসা শিক্ষাকে ব্যবহার করা হয় একমাত্র অর্ধশিক্ষিত বা অশিক্ষিত মোল্লাদের সন্তুষ্ট রাখতে। মওলানা আজিজ অধিকতর ক্ষোভের সাথে সরকারের, বিশেষত কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করলেন। এমনকি তিনি এও মন্তব্য করলেন যে, লিয়াকত আলী খানকে তার অপকর্মের জন্য আল্লাহই সরিয়ে দিয়েছেন। যারা নিজেদের সংশোধন করবে না তারাও যেন একই পরিণতি ভোগ করে, সেজন্য তিনি নিজে প্রার্থনা করেছেন। মওলানা আজিজ ও অন্যান্য অতিথিদের সঙ্গে আমার ছাত্র মান্নানের বাড়িতে রাতের খাবার খেলাম। রাত সাড়ে ১১টায় বাসায় ফিরে এলাম।

বিছানায় গেলাম রাত ১২টায়।

আবহাওয়া : রাতের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় ঠাণ্ডা কিছুটা কম।



৮.১.৫২

সকাল ৬টায় উঠেছি।

বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত স্কুলে ছিলাম। প্রধান শিক্ষক আমাকে সকাল সাড়ে ৮টায় স্কুলে নিয়ে গিয়েছিলেন। সদর সাবডিভিশনের ইন্টার স্কুল ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ব্যাপারে আমি তার জন্য কয়েকটি চিঠি লিখে দিলাম। বিকেলে ব্যাডমিন্টন খেললাম। রাত ৯টা পর্যন্ত ক্লাবে ছিলাম।

এফএইচএম হল থেকে নুরুল হক এসেছে। হল নির্বাচনী বিষয়ে আমাকে নেয়ার জন্য। সে রাত ৮টা ৩৯ মিনিটের ট্রেনে পৌঁছেছে। রাতে সে আমার সঙ্গে থাকল।

বিছানায় গেলাম রাত সাড়ে ১০টায়।

আবহাওয়া : আকাশ মেঘমুক্ত, ঠাণ্ডা।



৯.১.৫২

ভোর সাড়ে ৫টায় উঠেছি।

ফাতেহা ইয়াজদাহামের জন্য স্কুল বন্ধ। নুরুল হক সকাল ৮টা ২২ মিনিটের ট্রেনে চলে গেল। শরাফতের দোকানে নুরুল হক, প্রধান শিক্ষক ও আকরামতউল্লাহকে চা খাওয়ালাম।

দুপুর ২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের সঙ্গে দাবা খেললাম।

সাইকেলে করে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরলাম। রাতে আড়ালের জামাই ও দিগধার ভাই সাহেব আমাদের বাড়িতে এলেন।

বিছানায় গেলাম রাত ১০টায়।

আবহাওয়া : আগের মতোই।
(চলবে...)

Post a Comment

2 Comments

saiful said…
download kivabe korbo ??
Amarboi.com said…
এটা শুধুমাত্র কিছু অংশ। সম্পূর্ণ বইটি নয়, তাই ডাউনলোড লিঙ্ক নাই।