Ticker

6/recent/ticker-posts

বিদায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়!

Sunil Gangopadhayay
বিদায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়!
উপমহাদেশের প্রখ্যাত সাহিত্যিক, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কলমবন্ধু সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় আর নেই। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে তিনি হূদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। ১৯৩৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলায় জন্ম নেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও একমাত্র ছেলে শৌভিক গঙ্গোপাধ্যায়কে রেখে গেছেন। আগামীকাল সকালে কলকাতায় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। এর আগে তাঁর মরদেহ রাখা হবে কলকাতার পিস হ্যাভেনে। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম কলমবন্ধু। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। ঘুরেছেন বিভিন্ন শরণার্থী শিবির। লিখেছেন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রবন্ধ, কবিতা। সাহিত্যের সব অঙ্গনেই বিচরণ ছিল সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের। লিখেছেন কবিতা, গল্প, নাটক, উপন্যাস, রম্যরচনা প্রভৃতি। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে: ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’, ‘সেই সময়’, ‘রক্ত’, ‘অর্জুন’, ‘পুরুষ’, ‘অগ্নিপুত্র’, ‘প্রথম আলো’, ‘সরল সত্য’, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’, ‘মহাপৃথিবী’, ‘রক্তমাংস’, ‘জীবন যে রকম’ প্রভৃতি। তিনি ছিলেন ‘কৃত্তিবাস’ পত্রিকার সম্পাদক। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ আনন্দ পুরস্কার, সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কারসহ বেশ কয়েকটি সম্মাননা পেয়েছেন তিনি। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে কলকাতার সাহিত্যাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
You can follow us on Twitter or join our Facebook fanpage or even follow our Google+ Page to keep yourself updated on all the latest from Bangla Literature. Also try our chrome extension.

Post a Comment

5 Comments

Amarboi.com said…
প্রথমে গেলেন হুমায়ূন এবার সূনীল- প্রিয় লেখকগুলো এভাবে একে একে চলে যাচ্ছেন কেন?
Amarboi.com said…
কেউ কথা রেখেছিল কি না, তা হয়তো সুনীলই জানেন। কেউ কথা না রাখলেও আজ আর সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কিছু যায়-আসে না। বিশ্বসংসারের মায়া ছেড়ে তিনি এখন অন্য ভুবনে। এটাই এখন নির্মম সত্য যে, সেই অজানা লোক থেকে এসে আর কখনো দুই বাংলার অগণিত ভক্ত-পাঠককে সাহিত্যরসে মাতাবেন না তিনি।
১৯৩৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ফরিদপুরে জন্ম নেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। মাত্র চার বছর বয়সে পাড়ি জমান কলকাতায়। ১৯৫৩ সালে তিনি ‘কৃত্তিবাস’ নামে একটি কবিতাপত্রিকা সম্পাদনা শুরু করেন। ১৯৫৮ সালে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘একা এবং কয়েকজন’ এবং ১৯৬৬ সালে প্রথম উপন্যাস ‘আত্মপ্রকাশ’ প্রকাশিত হয়।
এরপর সুনীলকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। আমৃত্যু লিখে গেছেন। কবিতা, উপন্যাস, ছোটগল্প, নাটক—সবখানে ছিল তাঁর সদর্প পদচারণ। সাংবাদিকতা ও কলাম লেখায়ও তাঁর পারদর্শিতা ছিল অতুলনীয়।
রবীন্দ্র-শরত্ উত্তরযুগে বাংলা সাহিত্যের প্রাণপুরুষ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন সুনীল। লেখনীর অসাধারণ জাদুশক্তি দিয়ে তিনি এপার-ওপার বাংলার সাহিত্যপ্রেমীদের গল্প, কবিতা, উপন্যাসের রসে মাতিয়ে রেখেছিলেন।
‘পূর্ব-পশ্চিম’, ‘সেই সময়’, ‘প্রথম আলো’, ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ তাঁর সাড়া জাগানো ঐতিহাসিক উপন্যাস। তাঁর অন্যান্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে: ‘আত্মপ্রকাশ’, ‘সরল সত্য’, ‘তুমি কে?’, ‘জীবন যেরকম’, ‘কালো রাস্তা সাদা বাড়ি’, ‘অর্জুন’, ‘কবি ও নর্তকী’, ‘স্বর্গের নীচে মানুষ’, ‘আমিই সে’, ‘একা এবং কয়েকজন’, ‘সংসারে এক সন্ন্যাসী’, ‘রাধাকৃষ্ণ’, ‘কনকলতা’, ‘সময়ের স্রোতে’, ‘মেঘ বৃষ্টি আলো’, ‘প্রকাশ্য দিবালোকে’, ‘দর্পণে কার মুখ’, ‘গভীর গোপন’, ‘কেন্দ্রবিন্দু’, ‘ব্যক্তিগত’, ‘বন্ধুবান্ধব’, ‘রক্তমাংস’, ‘দুই নারী’, ‘স্বপ্ন লজ্জাহীন’, ‘আকাশ দস্যু’, ‘তাজমহলে এক কাপ চা’, ‘ধূলিবসন’, ‘অমৃতের পুত্রকন্যা’, ‘আজও চমত্কার’, ‘জোছনাকুমারী’, ‘নবজাতক’, ‘শ্যামসাহেব’, ‘সপ্তম অভিযান’, ‘মধুময়’, ‘ভালবাসার দুঃখ’, ‘হূদয়ের অলিগলি’, ‘জনারণ্যে একজন’, ‘সমুদ্রের সামনে’, ‘বুকের মধ্যে আগুন’, ‘তিন নম্বর চোখ’, ‘সুখ অসুখ’, ‘অগ্নিপুত্র’, ‘বসন্তদিনের ডাক’, ‘সোনালি দুঃখ’, ‘যুবক যুবতীরা’, ‘পুরুষ’, ‘অচেনা মানুষ’, ‘বৃত্তের বাইরে’, ‘রূপালী মানবী’, ‘মহাপৃথিবী’, ‘উত্তরাধিকার’, ‘আকাশ পাতাল’, ‘রানু ও ভানু’, ‘অন্য জীবনের স্বাদ’, ‘দুজন’, ‘কিশোর ও সন্ন্যাসিনী’, ‘বুকের পাথর’, ‘দৃষ্টিকোণ’, ‘সেই দিন সেই রাত্রি’, ‘প্রথম নারী’, ‘সোনালী দিন’, ‘প্রতিপক্ষ’, ‘একাকিনী’, ‘দুই বসন্ত’, ‘অন্তরঙ্গ’, ‘সুপ্ত বাসনা’, ‘জলদস্যু’, ‘আঁধার রাতের অতিথি’ ‘দুই অভিযান’, ‘কাজরী’, ‘এক জীবনে’ প্রভৃতি।
তাঁর কবিতার বইয়ের মধ্যে আছে: ‘সুন্দরের মন খারাপ মাধুর্যের জ্বর’, ‘সেই মুহূর্তে নীরা’, ‘স্মৃতির শহর’, ‘সুন্দর রহস্যময়’, ‘আমার স্বপ্ন’, ‘জাগরণ হেমবর্ণ’, ‘আমি কী রকমভাবে বেঁচে আছি’, ‘ভালোবাসা খণ্ডকাব্য’, ‘নীরা, হারিয়ে যেও না’, ‘ভোরবেলার উপহার’, ‘রাত্রির রঁদেভু’, ‘হঠাত্ নীরার জন্য’ প্রভৃতি।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে: ‘প্রাণের প্রহরী’, ‘রাজা, রানী ও রাজসভায় মাধবী’,
‘মালঞ্চমালা’, ‘স্বাধীনতাসংগ্রামে নেতাজি’। গল্পগ্রন্থ হলো: ‘শাজাহান ও তার নিজস্ব বাহিনী’, ‘আলোকলতার মূল’। শিশুসাহিত্যে ‘কাকাবাবু-সন্তু’ নামে এক জনপ্রিয় গোয়েন্দা সিরিজের রচয়িতা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কিছু কাহিনি নিয়ে চলচ্চিত্রও হয়েছে। এর মধ্যে সত্যজিত্ রায় পরিচালিত ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ ও ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ অন্যতম। এ ছাড়া আছে ‘কাকাবাবু’ চরিত্রের দুটি কাহিনি ‘সবুজ দ্বীপের রাজা’ ও ‘কাকাবাবু হেরে গেলেন’।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ‘নীললোহিত’, ‘সনাতন পাঠক’ ও ‘নীল উপাধ্যায়’ ছদ্মনামেও লিখতেন।
মৃত্যুর আগপর্যন্ত তিনি ভারতের জাতীয় সাহিত্য প্রতিষ্ঠান ‘সাহিত্য আকাদেমি’ ও ‘পশ্চিমবঙ্গ শিশু-কিশোর আকাদেমি’র সভাপতি ছিলেন।
Amarboi.com said…
সামনাসামনি দেখা হবে! সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে! আনিসুল হক বললেন, ‘হ্যাঁ। কথাও হবে।’ মানে সাক্ষাৎকারও। বিশ্ববিদ্যালয়ে সবে পা রাখা বাংলাদেশের তরুণ কবিটির জন্য তা ছিল সাংঘাতিক এক বুক ধড়ফড় করে ওঠা ব্যাপার। আশির দশকের শেষের কোনো এক শীতে সুনীল সেবার বাংলাদেশে এসেছিলেন।
আনিসুল হক তখন সাপ্তাহিক ‘খবরের কাগজ’-এ কাজ করেন; আমিও তখন সাপ্তাহিক পত্রিকাটির মাঝেমধ্যে লেখক-সাংবাদিক। সুনীল উঠেছিলেন ধানমন্ডির একটি অতিথিশালায়। তাঁর সঙ্গে দেখা করার তীব্র ব্যক্তিগত আগ্রহের হাওয়া উসকে দিয়েছিল ওই পত্রিকার জন্য সাক্ষাৎকার নেওয়ার বিষয়টি।
শীত-সকালের নরম রোদের আলো-আঁধার মাখা একটি ঘরে সুনীল তখন মাত্রই প্রাতরাশ সেরেছেন। তাঁর ঘরে ঢোকার পর বিছানায় ধবধবে সাদা লেপে শরীরের আধখানা ঢেকে বসতে বললেন আমাদের। বরাবরই মৃদু ও প্রিয়ভাষী আনিসুল হক; তাঁকে ছাপিয়ে আমার অনর্গল প্রশ্নে সুনীল সম্ভবত একটু হকচকিয়েই গিয়েছিলেন।
প্রশ্নগুলোর অধিকাংশই আজ বিস্মৃত। সম্ভবত, এর বেশির ভাগই ছিল বাংলাদেশের কবিতা আর পশ্চিমবঙ্গের কবিতার তুলনামূলক আলোচনা, যেখান থেকে সুনীলের নিজস্ব একটা মতামত বা বক্তব্য মিলবে। এ দেশের কবিতার প্রশংসা সুনীল বরাবরই করেছেন। সেদিন স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, বাংলা কবিতার রাজধানীটির অবস্থান এ দেশেই। কথাবার্তার শুরুতে আনিসুল হক বিনয় দেখিয়ে বলেছিলেন, তিনি তাঁর লেখা খুব বেশি পড়েননি। এরপর সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা কবিতার বইগুলোর নাম টানা বলতে শুরু করলে তিনি একগাল হেসে বলেছিলেন, ‘ব্যস, ব্যস, ওতেই হবে।’ আমি কথা বলছিলাম তাঁর গদ্যের বইগুলো নিয়ে। ‘একা এবং কয়েকজন’, ‘সুদূর ঝর্ণার জলে’, ‘ছবির দেশে কবিতার দেশে’ থেকে তখন গড়গড় করে আউড়ে যেতে পারতাম কবিতার পঙক্তির মতো গদ্যের প্যারাগ্রাফ। সুনীল সম্ভবত এই অর্বাচীনের আবেগ আর হতবুদ্ধি সাক্ষাত্কার-গ্রহীতাদের সামলাতেই ঢাকার খবর, বাংলাদেশের সংবাদপত্রের বর্তমান নিয়ে কথার মোড় ঘুরিয়েছিলেন। তাঁর কথার সুরেও একসময় আবেগ ভর করছিল, যখন বাংলাদেশের সঙ্গে তাঁর নাড়ির টানের প্রসঙ্গটি আবার ফিরে এসেছিল। ‘পূর্ব-পশ্চিম’ উপন্যাসে সুনীল সেই দেশভাগ, মাটির টান আর নাড়ি ছেঁড়ার যন্ত্রণা অবিকল তুলে এনেছেন।
সাক্ষাত্কারের একপর্যায়ে প্রশ্ন আর কথাবার্তার তোড় কমলে আনিসুল হক ও আমি—দুজনই সম্ভবত একসঙ্গে—বলে উঠেছিলাম মার্গারিটার কথা। সুনীলের লেখা ‘সুদূর ঝর্ণার জলে’র মার্গারিটা, সুনীলের মার্গারিটা। সে সময় আমাদের দুজনের হূত্কমলের অধিষ্ঠাত্রী ছিল মার্গারিটা। ‘...শুধু কবিতার জন্য আমি অমরত্ব তাচ্ছিল্য করেছি’ একসময় যে কবি লিখেছিলেন, সব্যসাচী এ লেখক গদ্যে-পদ্যে মার্গারিটার মতো এমন মানসপ্রতিমায় আরও অসংখ্যবার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছেন। কবিতার নীরা, নিখিলেশ থেকে শুরু করে একা এবং কয়েকজনের সূর্য, ট্রাভেলগ আর স্মৃতিকথনে মার্গারিটার স্মৃতিতর্পণে তখন আমরা তিনজনই একসময় কবি, কবির প্রেম ও সাহিত্যের বাগানের দরজা ডিঙিয়ে ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় ভেসে গিয়েছিলাম। মনে আছে, এর পরও সুনীলের বাংলাদেশে আসার অনুভূতি, বাংলাদেশের প্রতি তাঁর নাড়ির টান ছাপিয়ে আমাদের তিনজনের থমথমে বুকে স্পন্দিত হচ্ছিল মার্গারিটা...আহা, মার্গারিটা!
সুনীলের সাক্ষাৎকারটি খবরের কাগজে মুদ্রিত হয়েছিল। সম্পাদনার পর আকারে নাতিদীর্ঘ হয়ে মুদ্রিত সাক্ষাৎকারটি আজ কোথায় হারিয়ে গেছে! অবশেষে আজ সেই সব্যসাচী লেখক, সাক্ষাৎকারের সেই মানুষটিও হারিয়ে গেলেন।
বহু ক্লেশ সয়ে জীবনের অধিক বহুবর্ণিল, বহুমাত্রিক এক জীবন চিত্রিত করে বাংলা সাহিত্যকে পাঠকের হূৎপিণ্ডের খুব কাছে এনে দিয়েছিলেন সুনীল। সেখানে তাঁর অনায়াস বর্ণনা, লেখার উজ্জ্বলতায় এক ঝরনা বয়ে চলেছে। আজ তাঁর প্রস্থানের শোকে মনে পড়ছে সেই হারিয়ে যাওয়া সাক্ষাৎকারের কথা। দুই তরুণের মুখোমুখি হয়ে দেওয়া সে সাক্ষাৎকারের অসংখ্য প্রশ্নের উত্তরে কখনো তাঁর মুখে ছিল প্রশ্রয়মাখা হাসি, কখনো যুক্তি দিয়ে বোঝানো এক অগ্রজপ্রতিমেষু লেখকের অভিজ্ঞতাজাত জ্ঞান; একসময় বেদনায় খানিক মুখ লুকিয়ে দেশভাগের যন্ত্রণাও প্রকাশ করেছিলেন সুনীল। গভীর মন্দ্রকণ্ঠে একসময় বলে উঠেছিলেন, হাহাকার না থাকলে লেখক হওয়া যায় না। আজ লেখক সুনীলের জন্য আমরা হাহাকার করছি; হাহাকার করছে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ। তাঁর বুকের ভেতর থেকে উচ্চারিত সেদিনের সেই শব্দগুলো কবে দেশ-কালের সীমানা ছাড়িয়েছে! পরম সেই শব্দের খোঁজেই বোধহয় এবার সুনীলও পাড়ি জমালেন।
আব্দুল্লাহ সিদ্দিকি said…
আরও অনেক কিছু পাওয়ার আশায় ছিলাম, যদিও কিছুই দিতে পারিনি তাকে।
দ্বিতীয় জীবন বলে যদি কিছু থাকে, তবে সেখানে তিনি শান্তিতে থাকুন।
ধনঞ্জয় স্বর্ণকার said…
আধুনিক (সমকালীন) বাংলা সাহিত্যের সঙ্গে আমার পরিচয় বলতে গেলে তাঁর "এই ৃথিবীর অতিথি" (নবকল্লোল, বৈশাখ ১৪০৬) উপন্যাসের মাধমে। ওই একটি লেখার মাধ্যমেই তিনি আমার প্রিয় ঔপন্যাসিক হয়ে উঠেছিলেন।
সত্যি বলতে কি তিনি সত্যি-ই আর এই ৃথিবীতে নেই এই কথাটা এখন-ও মেনে নিতে পারছি না। রবীন্দ্রনাথের মত তাঁর মৃত্যু-ও মনে হচ্ছে অকালমৃত্যু।
তাঁর আত্মার চিরশান্তি কামনা করি - যদি-ও তিনি মরণোত্তর জীবনে বিশ্বাস করতেন না।