Ticker

6/recent/ticker-posts

স্বয়ম্বরা - আবুল ফজল

স্বয়ম্বরা - আবুল ফজল
স্বয়ম্বরা - আবুল ফজল
কিংবদন্তীতুল্য প্রজ্ঞা ও মনীষা নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন আবুল ফজল। আর সেই প্রজ্ঞা ও মনীষার ভিত্তিতে ছিল হাজার বছরের বাঙালির ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি। Fazal was a fearless and socially committed writer whos works reflect patriotism, secularism, and humanism. He was considered the conseience of the nation in his time.Though primarily a writer, Fazal participated in and led almost all intellectual and civil movements against the Pakistani autocratic regime.
সমাজ সচেতনতার পরিচ্ছন্ন বোধ থেকে আবুল ফজল গভীরভাবে সমাজের রোগগ্রস্ততার স্বরূপ উন্মোচন করতে পেরেছিলেন। এবং এ ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন নিঃশঙ্কচিত্ত। ফলে জাতির বিভিন্ন সংকটকালে তাঁর ভূমিকা ছিল বিস্ময়কর যৌক্তিক ও কল্যাণমুখী।
১৯৬৭ সালে পাকিস্তান সরকার যখন পাকিস্তানের আদর্শবিরোধী বলে রেডিও-টেলিভিশন থেকে রবীন্দ্রসঙ্গীত প্রচার বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় তখন তিনি এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করেন। তাঁর এই প্রতিবাদের ভিতর দিয়ে বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতি গভীর মমত্ববোধের পরিচয় পাওয়া যায়। ফলে অনিবার্যভাবেই স্বাধীনতা উত্তর কালে আবুল ফজল জাতীয় ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেন এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হয়ে দেশের সেবায় আত্মনিয়োগ করেন।
মূলত সমাজ সংস্কারমূলক প্রবন্ধ সাহিত্যের জন্য তিনি খ্যাত। কিন্তু গল্প-উপন্যাসও লিখেছেন অনেক। তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনাগুলোর মধ্যে উপন্যাস হলো চৌচির (১৯৩৪), প্রদীপ ও পতঙ্গ (১০৪০), রাঙ্গা প্রভাত (১৯৫৭); গল্পগ্রন্থ মাটির পৃথিবী (১৯৪০), মৃতের আত্মহত্যা (১৯৭৮); নাটক প্রগতি (১৯৪৮, স্বয়ম্বরা (১৯৬৬); প্রবন্ধসাহিত্য বচিত্র কথা (১৯৪০), সাহিত্য ও সংস্কৃতি সাধনা (১০৬১), সাহিত্য সংস্কৃতি ও জীবন (১৯৬৫), সমাজ সাহিত্য ও রাষ্ট্র (১৯৬৮), সমকালীন চিন্তা (১৯৭০), মানবতন্ত্র (১৩৭৯), সাহিত্য ও অন্যান্য প্রসঙ্গ (১৯৭৪), শুভবুদ্ধি (১৯৭৪), একুশ মানে মাথা নত না করা (১৯৭৮), রবীন্দ্র প্রসঙ্গ (১০৭৯); আত্মকাহিনি ও দিনলিপি রেখাচিত্র (১৯৬৬), লেখকের রোজনামচা (১৯৬৯), দুর্দিনের দিনলিপি (১৯৭২); জীবনী ও স্মৃতিকথা শেখ মুজিব : তাঁকে যেমন দেখেছি (১৯৭৮) ইত্যাদি। সাহিত্য ক্ষেত্রে অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ অনেক পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ডক্টরেট উপাধিতে সম্মানীত করে। আর বাঙালি জাতি তাঁকে সম্মানীত করে ‘মুক্তবুদ্ধির সজাগ প্রহরী’, ও ‘বাঙালি জাতির বিবেক’ অভিধায়।