Ticker

6/recent/ticker-posts

আধুনিক বাংলা ছন্দ (১ম, ২য় খণ্ড) নীলরতন সেন

আধুনিক বাংলা ছন্দ (১ম, ২য় খণ্ড)
নীলরতন সেন
আধুনিক বাংলা ছন্দ (১ম, ২য় খণ্ড)
নীলরতন সেন

নিবেদন
‘আধুনিক বাংলা ছন্দ' গ্রন্থটির পরিবর্ধিত দ্বিতীয় সংস্করণের (১৯৭৯-৮০) পাঠ অক্ষুন্ন রেখে, দে’জ এর প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হল। প্রথম সংস্করণে (১৯৬২) খ্র: ১৮৫৮ থেকে ১৯৫৮ - এই একশ’ বছরের বাংলা ছন্দের ইতিহাস আলােচিত হয়েছিল। দ্বিতীয় সংস্করণে এই কালসীমা খ্রী ১৮৩১ থেকে ১৯৭৮ পর্যন্ত বিস্তৃত করা হয়েছে। ইচ্ছা ছিল, বর্তমান সংস্করণে দুই বাংলার সাম্প্রতিক কবিদের (১৯৫০-১৯৯০) সম্পর্কে আরও একটু বিশদ করে দুটি প্রবন্ধ লিখে, যােগ করব। কিন্তু লিখতে বসে মনে হল, এ-কালের ছন্দমনস্ক বিশিষ্ট কবিদের প্রতি সুবিচার করতে হলে দুটির বেশি প্রবন্ধ লেখা প্রয়ােজন। সুতরাং এঁদের সম্পর্কে গ্রন্থের তৃতীয় পর্ব রূপে আর একটি গ্রন্থ রচনার প্রয়ােজন রয়েছে। তাছাড়া, দীর্ঘদিন ধরেই রবীন্দ্র-ছন্দ সম্পর্কে একটি স্বতন্ত্র গ্রন্থ রচনারও পরিকল্পনা রয়েছে। বস্তুতঃ, এ-দুটি গ্রন্থ রচিত হবার পরই আধুনিক বাংলা ছন্দের ইতিহাস রচনা-পর্ব সম্পূর্ণ হবে।
পূর্ববর্তী দ্বিতীয় সংস্করণের ন্যায়, এবারেও গ্রন্থের প্রথম পর্বের প্রথম ও দ্বিতীয় অধ্যায়ে যথাক্রমে ‘বাংলা ছন্দের রীতি ও রূপ’ এবং বাংলা ছন্দের ক্রমবিকাশ’ সংক্ষেপে সূত্রাকারে আলােচনা করে পরবর্তী তিনটি অধ্যায়ে ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের যুগ (১৮৩১. ১৮৫৮) থেকে হেমচন্দ্ৰ নবীনচন্দ্রের যুগ (১৮৭৩-১৮৯০) আলােচিত হয়েছে। গ্রন্থের দ্বিতীয় পর্বে রবীন্দ্রযুগ-আদিপর্ব (১৮৯০-১৯০০) থেকে সাম্প্রতিক যুগ (১৯৫৮১৯৭৮) পর্যন্ত পাঁচটি অধ্যায়ের পর একটি সংক্ষিপ্ত অধ্যায়ে (ষষ্ঠ অধ্যায়ে) বাংলা কাব্যছন্দের বিবর্তন ও ভাবী সম্ভাবনা আলােচিত হয়েছে।
এবারে বইটি প্রকাশ করতে গিয়ে, কয়েক বছর পূর্বে প্রয়াত আমার ছন্দশিক্ষার গুরু ছন্দাচার্য প্রবােধচন্দ্র সেনের (১৮৯৭-১৯৮৬) অভাব মর্মে মর্মে অনুভব করছি। পূর্ববর্তী দুটি সংস্করণের সর্ববিধ পরিকল্পনায় তার সস্নেহ উপদেশ লাভ করেছি। এবারে সেই দুর্লভ সুযােগ থেকে বঞ্চিত হতে হল। এই সংস্করণেও তারই প্রবর্তিত সর্বাধুনিক ছন্দ-পরিভাষা ব্যবহার করা গেল। যাঁরা এককালে তারই দ্বারা প্রবর্তিত এবং দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত, বাংলা ছন্দরীতির মাত্রাবৃত্ত, অক্ষরবৃত্ত এবং স্বরবৃত্ত – এই তিন নামের সঙ্গে পরিচিত, তারা ওই তিন নামের পরিবর্তে যথাক্রমে কলাবৃত্ত, মিশ্রবৃত্ত, এবং দলবৃত্ত নাম তিনটি মনে রাখলেই এ-গ্রন্থ পাঠে অসুবিধা বােধ করবেন না। প্রসঙ্গত উল্লেখ করি গ্রন্থটির বর্তমান দে’জ-সংস্করণ প্রকাশে শ্রীসুধাংশুশেখর দে আন্তরিক আগ্রহ না দেখালে, বইটির এত তাড়াতাড়ি পুনঃপ্রকাশ সম্ভব হত না।
আগস্ট ৪, ১৯৯৫
নীলরতন সেন

বই নিয়ে শুধুমাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, বই নিয়ে শুধু মাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, নতুন প্রজন্ম চকঝমকের আকর্ষণে বইয়ের দিক থেকে ঘুরিয়ে নিচ্ছে মুখ। আমাদের এ আয়োজন বইয়ের সাথে মানুষের সম্পর্ককে অনিঃশেষ ও অবিচ্ছিন্ন করে রাখা। আশাকরি আপনাদের সহযোগিতায় আমাদের এই ইচ্ছা আরোও দৃঢ় হবে। দুনিয়ার পাঠক এক হও! বাংলা বই বিশ্বের বিবিধ স্থানে, সকল বাংলাভাষীর কাছে সহজলভ্য হোক!