Ticker

6/recent/ticker-posts

শিক্ষার উত্তম-মধ্যম - সলিমুল্লাহ খান

ইতিহাস কারখানা চতুর্থ খণ্ড

উৎসর্গ

পরিবার প্রজাতি রাষ্ট্র

সলিমুল্লাহ খান

আগামী প্রকাশনী মধুপোক

প্রকাশকালঃ ২০২৩

সলিমুল্লাহ খান



শিক্ষার উত্তম-মধ্যম

সলিমুল্লাহ খান

আমার এক সাংবাদিক বন্ধু—পেশায় সাংবাদিক হইলেও যাহাকে বলে নেশায় সাহিত্যিক—কিছুদিন আগে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন, বাংলাদেশের শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণির লোকজন আজকাল ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' উদযাপন করিবার পক্ষে এতখানি উৎসাহী হইয়াছেন কেন? প্রশ্নটির সঙ্গে তিনি একটা লেজও জুড়িয়া দিলেন: বাঙালি শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণি কি কোন অপরাধ ঢাকিবার মতলবে এত বেশি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' পথিক হইতেছেন? একদিন যাঁহারা শহিদ হইয়াছিলেন, আজ তাঁহারা ‘ভাষা শহিদ' মাত্র। কাল কি হইবেন তাহা কেবল কালই বলিতে পারে ।

সেদিন তাঁহার প্রশ্নের জওয়াব দিতে পারি নাই। কিন্তু ঋণ শোধ করিতে হইবে বলিয়া এই কয় ছত্র লিখিতে হইতেছে। এই দেশ যখন ব্রিটিশ জাতির শাসনাধীন ছিল তখন জনসাধারণের বেশির ভাগই শিক্ষার সুযোগ হইতে বঞ্চিত ছিলেন। ১৯৪৭ সালে ভারতভাগের সময় যে অংশ লইয়া পাকিস্তানের পূর্ববঙ্গ প্রদেশ গঠিত হইয়াছিল তাহার সাক্ষরতার হার ছিল শতকরা ছয়ের মতন । আশা করা গিয়াছিল, দেশ স্বাধীন হইলে বেশির ভাগ লোক শিক্ষার সুযোগ পাইবেন। দেশের সকলের কাছে শিক্ষার আলো পৌঁছাইতে হইলে দেশীয় ভাষা বা মাতৃভাষার মাধ্যম ছাড়া উপায় নাই – এ সত্যে সকলেই একদা আস্থা রাখিয়াছিলেন।

বিভাগপূর্ব ‘বাংলাদেশে শিক্ষার ভিতর মাতৃভাষা প্রতিষ্ঠার শেষ চেষ্টা কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ম্যাট্রিকুলেশন, ইন্টারমিডিয়েট ও বি.এ পরীক্ষায় বাংলাভাষায় পরীক্ষার ব্যবস্থা।' এই ব্যবস্থার একটি উপকার এই যে লেখকেরা বাংলায় বইপত্র লিখিতে উৎসাহিত হন আর ছাত্রসাধারণও অল্পস্বল্প বাংলা লিখিতে-পড়িতে অভ্যস্ত হন। বহুদর্শী মনীষী ব্রজেন্দ্রনাথ শীল (১৮৬৪-১৯৩৮) মহাশয়ের কথা ধার করিয়া বলিতে, কেহ আমার মত একেবারে আনাড়ী থাকিয়া যায় না, এইটুকুই যা লাভ' (শীল ২০১৩: ৪৪)।

শীল মহাশয় অধিক দুঃখের সহিত যোগ করিয়াছিলেন, ‘কিন্তু তাহা [অর্থাৎ লাভটা] কিছুই নয়, অতি সামান্য। এ ব্যবস্থায় বাংলা সাহিত্য বা ভাষা বিশেষভাবে অধ্যয়ন অধ্যাপনার বিষয় হয় নাই; পরীক্ষা অনেকটা সখের জিনিষ দাঁড়াইয়া গেছে। আর ইহাতে বাংলার ভিতর দিয়া দৰ্শন, বিজ্ঞান, ইতিহাস প্রভৃতি শিখিবার কোন কথাই নাই; সুতরাং যথার্থ মানসিকবিকাশের কোন সুযোগ নাই' (শীল ২০১৩: ৪৪-৪৫)।

দুঃখের মধ্যে, ঘটনার শেষ কিন্তু এখানেই হয় নাই। শীল মহাশয় আরো একটা সমস্যার দিকে আঙ্গুল তুলিয়াছিলেন:

আর একটি ব্যবস্থা এ সকলের চেয়েও মাতৃভাষায় শিক্ষালাভের পথকে বেশ একটুখানি প্রশস্ত করিয়াছিল। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষার্থী ইচ্ছা করিলে ইতিহাস বিষয়ে বাংলায় পরীক্ষা দিতে পারে; সে বিষয়ে বাংলা পাঠ্যপুস্তকও নির্দিষ্ট হয়। শিক্ষক মহাশয়ও ইচ্ছা করিলেই অধ্যাপনার সময়ে বাংলাভাষা অবলম্বন করিতে পারেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে আমাদের দেশে অল্পসংখ্যক স্কুলে ছাত্র কিম্বা অধ্যাপক এই সুযোগটি গ্রহণ করিয়া থাকেন (শীল ২০১৩: ৪৫)।

ব্রজেন্দ্রনাথ শীল মহাশয়ের অনুরাগীরা বলিয়া থাকেন তিনি দেশি- বিদেশি দশটি ভাষা জানিতেন। ১৯১২ হইতে ১৯২১ সালের কালখণ্ডে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শনের অধ্যাপক থাকিবার পর তিনি মহীশূর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে আসীন ছিলেন ১৯২১ হইতে ১৯৩০ পর্যন্ত 1 তাঁহার যে রচনাটি হইতে সাক্ষ্য গ্রহণ করিতেছি তাহা ১৯১৫ সালের। এই সাক্ষ্য হইতে যাহা শিখিলাম তাহাতেই আমার সকল দুঃখের সার হইল । ইচ্ছা করিলে পরীক্ষা বাংলায় দেওয়া যায়। কিন্তু অল্পসংখ্যক ছাত্রই সেই সুযোগটি গ্রহণ করিয়া থাকেন। শিক্ষক মহাশয়ও ইচ্ছা করিলেই অধ্যাপনার সময় বাংলা ভাষা অবলম্বন করিতে পারেন। কিন্তু অল্পসংখ্যক অধ্যাপকই সেই ইচ্ছাটি পোষণ করেন। প্রশ্ন হইতেছে: কেন এমন হয়? ইচ্ছার জন্মভূমি যে সংসারে সেখানে যে ভাষার কদর সে ভাষাতেই ছাত্রদের পরীক্ষা দেওয়ার ইচ্ছা জাগিবে। অধ্যাপক মহাশয়েরাও অধ্যাপনায় সেই ভাষাই অবলম্বন করিবেন। ইহাই স্বভাবশাস্ত্রের বিধান ।

ইংরেজ শাসনের অবসানের সঙ্গে সঙ্গে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুইটি আলাদা দেশ তৈয়ার হইল। তখন পাকিস্তান নামা দেশে যেমন ইংরেজির জায়গায় উর্দু তেমনি নতুন ভারতেও একই জায়গায় হিন্দি ভাষা বসাইবার আয়োজন চলিতেছিল। পাকিস্তানের পূর্ববঙ্গ প্রদেশে উর্দুর বিপক্ষে শুদ্ধ নয়, ইংরেজির স্থলেও বাংলার পক্ষে আন্দোলন জমিয়াছিল। কিন্তু ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে অন্য অনেকের মধ্যে ইতিহাসবেত্তা যদুনাথ সরকার (১৮৭০-১৯৫৮) মহাশয় প্রভৃতি মনীষী শিক্ষার বাহন ইংরেজি রাখিবার পক্ষে সবুজ শাকের মত যুক্তি প্রদর্শন করিয়াছিলেন।

সরকার মহাশয়ের যুক্তি পড়িয়া সাহিত্যসাধক সৈয়দ মুজতবা আলী যাহা লিখিয়াছিলেন তাহা — যুক্তিগুণে না হউক – প্রসাদগুণে উপাদেয় বলিয়া এখানে খানিক উদ্ধার করিতেছি:

সরকার মহাশয় ইংরেজি ভাষার যে গুণকীর্তন করেছেন তার সঙ্গে আমরা সম্পূর্ণ একমত। ইংরেজির মতো আন্তর্জাতিক ভাষা পৃথিবীতে আর নেই, অদ্যকার (বিশেষ জোর দিয়ে আমিও বলছি অদ্যকার) দিনে জ্ঞান-বিজ্ঞান এবং দর্শনের চর্চা করতে হলে ইংরেজি ভিন্ন গত্যন্তর নেই ।

কিন্তু ইংরেজি চিরকাল এদেশের শিক্ষার মাধ্যম, তথা উচ্চাঙ্গ জ্ঞান- বিজ্ঞান চর্চার বাহন হয়ে থাকবে এ ব্যবস্থা আমরা কাম্য বলে মনে করিনে।

এ কথা ঠিক যে, আজই যদি আমরা ইংরেজি বর্জন করি তবে সমূহ ক্ষতিগ্রস্ত হব, কিন্তু কোন দিনই শিক্ষার মাধ্যমরূপে বর্জন করতে পারব না এ কথা আমরা বিশ্বাস করিনে (আলী ২০১৮: ২৩৯)।

মুজতবা আলী সাহেবের এই লেখাটি ১৯৪৭ সালের পরের কোন এক সময়ের। ঠিক কোন বছরের লেখা বলিতে পারিব না, তবে ১৯৫০ সালের দশকের পরে না হইবার সম্ভাবনাই বেশি। তাহার কারণ যদুনাথ সরকার মহাশয় এন্তেকাল ফরমাইয়াছিলেন ১৯৫৮ নাগাদ। লেখাটির কোথাও ‘পরলোকগত' শব্দটি দেখিলাম না ।

সকলেই জানেন, মুজতবা আলী সাহেবও ফরাশি জার্মান প্রভৃতি অনেক ভাষা জানিতেন। তাঁহাকে বিদগ্ধই বলা যায়। তবে তাঁহার কথাই শেষকথা এমন কথা বলিব না। অবশ্য তাঁহার সাক্ষ্য ফেলিয়া দিবার মতন জিনিশও নহে । সৈয়দ মুজতবা আলী লিখিতম্:

বস্তুত বহু গবেষণা করে শিক্ষকগণ এই চূড়ান্ত নিষ্পত্তিতেই এসেছেন যে, মানুষকে ব্যাপকভাবে দোভাষী করা যায় না। গোলামদের কথা আলাদা । তারা যখন দেখে অর্থাগমের একমাত্র পন্থা মুনিবের ভাষা শেখা তখন সবকিছু বিসর্জন দিয়ে প্রভুর ভাষা শেখে— আমি যেরকম শিখেছিলুম, ফলে আজ না পারি উত্তম বাংলা বলতে, না পারি মধ্যম ইংরেজি লিখতে। কিন্তু আমার ছেলে গোলাম নয়— আমার আশা সে একদিন বাংলাতেই জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা করবে। আমার ছেলে না পারুক, যদি আপনার ছেলে পারে তাতেই আমি খুশি এবং যদি সেদিন তার খ্যাতিতে আকৃষ্ট হয়ে ইংরেজ-ফরাসি আপন আপন মাতৃভাষাতে তার কেতাব অনুবাদ করে – আজ যেরকম মাও সেতুঙের চীনা বই বেরুনোমাত্রই ইংরেজ গায়ে পড়ে তৎক্ষণাৎ স্ব-ভাষায় তার অনুবাদ করে, এখনও যেরকম ইংরেজ ‘শকুন্তলা’ নাট্যের অনুবাদ করে— তবে আমি অমর্ত্যলোক থেকে তাকে দু হাত তুলে আশীর্বাদ করব। অনন্তকাল ধরে আমরা শুধু ইংরেজি থেকে নেবই, কিছু দেবার সময় কখনও আমাদের আসবে না, এ-কথা ভাবতেও আমার মন বিরূপ হয় (আলী ২০১৮: ২৪১)।

মুজতবা আলী সাহেবের মন যতই বিরূপ হয় হইতে পারে, তবে ইংরেজি হইতে লইবার কাল এখনো অনন্তই আছে। দেবার সময় আজও আমাদের আসে নাই। আমাদের দেশের নেতৃবৃন্দ বলেন, যাহারা চারিদিকে এত বিজলিবাতি, এত দালানকোঠা, এত রাজপথ, এত সেতু, এত উন্নতির কিছুই দেখে না তাহারা নিতান্ত ‘আগাছা’। আশঙ্কা হয়, যাহারা না পারেন ‘উত্তম বাংলা’ বলিতে, না পারেন ‘মধ্যম ইংরেজি' লিখিতে তাহাদিগকে কি বলিব! গাছা? না পরগাছা?

এখানেই আমার বন্ধু তাঁহার প্রশ্নের জওয়াব পাইবেন। বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন মধ্যম শ্রেণি উত্তম (অর্থাৎ বাংলা) ভাষায় শিক্ষা দিবার মত প্রতিষ্ঠান স্থাপন করিতে সক্ষম নহেন। তাই তাঁহারা চক্ষুলজ্জা পরিহার করিয়াছেন। তাঁহারা যাহা করিতেছেন তাহা সেই মধ্যম (অর্থাৎ ইংরেজি) ভাষায় শিক্ষার চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত।

সভ্যতার অপর নাম লজ্জা। মানুষেরই লজ্জা আছে। যখন মানুষ লজ্জা পরিহার করে তখন কি তাহাকে আর মানুষ বলা চলে? দুঃখের কথা শেষ হইয়াও শেষ হয় না। ফরাশি ভাষায় একটি প্রবাদ আছে যাহার সারমর্ম হইল: কবিতায় মধ্যম আর অধমে কোন তফাত নাই (দ্রষ্টব্য, লাকাঁ ১৯৯০: ৪৬)। যাহা মধ্যম তাহাই অধম। আমাদের বর্তমান চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রসঙ্গেও এই প্রবাদটি খাটিবে। এই দেশে ইংরেজি মাধ্যম শিক্ষা শুদ্ধমাত্র মধ্যম শিক্ষা নহে, এই শিক্ষা অধম হইতে বাধ্য ।

একুশে ফেব্রুয়ারি এই দেশে একদা ‘শহিদ দিবস' বলিয়া গণ্য হইত । এখনো তাহার রেশ আছে। তাই তাহার নাম হইয়াছে ‘ভাষা শহিদ দিবস' আর সঙ্গে জুটিয়াছে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' উপাধি। কিছুদিনের মধ্যে প্রথম অংশটুকু সম্পূর্ণ অবলুপ্ত হইলে আমি অবাক হইব না। শহিদ দিবস এখনই ক্ষমতাসীন শ্রেণিকে লজ্জা দিতেছে। তাই তাঁহারা দিনটিকে একটি সংখ্যায় পর্যবসিত করিয়াছেন। এই সেদিনও দেশের পত্রপত্রিকা বিশেষ সংখ্যার নাম রাখিয়াছে ‘অমর একুশে: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস'।

বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একটি পূজনীয় নাম। তাঁহার নামে সরোবর হইতে বিশ্ববিদ্যালয় সকলই স্থাপিত হইয়াছে। কিন্তু তাঁহার উপদেশ কি ছিল তাহা সকলেই ভুলিয়া বসিয়াছেন । তিনি বলিয়াছিলেন— এক নম্বরে— মাতৃভাষায় সাহিত্য গড়িয়া না উঠিলে শিক্ষার মান উত্তম হইবে না। সাহিত্যের পুষ্টিসাধনের জন্য বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান, দৰ্শন, ইতিহাস, কলাবিদ্যা প্রভৃতি বিষয়ে উচ্চাঙ্গের বইপত্র লিখিতে হইবে। কেবল তাহার সঙ্গেই মাতৃভাষায় উচ্চশিক্ষা দেওয়া যাইবে। তাঁহার দুই নম্বর কথা ছিল, মাতৃভাষার মাধ্যমে বিজ্ঞান, দর্শন, ইতিহাস, কলাবিদ্যা প্রভৃতি শিক্ষা না দিলে ছাত্র বা শিক্ষক কাহারোই যথার্থ মানসিক বিকাশ হইবে না, তাঁহাদের কাহারোই উদ্ভাবনী ও সৃজনী শক্তি স্ফূর্তিলাভ করিবে না। রবীন্দ্রনাথের পরম বন্ধু ব্রজেন্দ্রনাথ মন্তব্য করিয়াছিলেন, ‘বস্তুত এই দুইটি উপায়ের মধ্যেই একটি অঙ্গাঙ্গী সম্বন্ধ আছে। কারণ, সাহিত্য ছাড়া শিক্ষা হয় না এবং শিক্ষা ছাড়াও সাহিত্য হয় না' (শীল ২০১৩: ৪৩)।

আমরা সামান্য মানুষ । যাঁহারা চারিদিকে এত উন্নতির আলো দেখিয়াও না দেখার ভান করিতেছেন তাঁহারা যদি আগাছা হন, তবে বিশেষ করিয়া আমাদের ভাষায় সাহিত্য ও শিক্ষা দুইয়েরই এহেন অধোগতি দেখিবেন না বলিয়া যাঁহারা পণ করিয়াছেন তাঁহাদিগকেই বা অধিক কি বলিব !

২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২


দোহাই

  • সৈয়দ মুজতবা আলী, ‘ইংরেজি বনাম মাতৃভাষা,' রচনাবলি, ২য় খণ্ড (ঢাকা: বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, ২০১৮), পৃ. ২৩৯-৪৭।

  • ব্রজেন্দ্রনাথ শীল, ‘শিক্ষাবিস্তার, বাংলা রচনা, তপনকুমার ঘোষ সম্পাদিত (কলকাতা: পত্রলেখা, ২০১৩), পৃ. ৪৩-৪৮।

  • Jacques Lacan, Television: A Challenge to the Psychoanalytic Establishment, trans. Denis Hollier et al., ed. Joan Copjec (New York: WW Norton, 1990 ).



Post a Comment

0 Comments