সংক্ষিপ্ত আত্মকথা
রঘুনাথ মাইতি
গান্ধীজী ১৯২৫ সালে নবজীবন” পত্রিকায় নিজের জীবন- কাহিনী লিখতে শুরু করেন। সত্যরূপী ভগবানকে লাভ করাই তার জীবনের চরম লক্ষ্য_তাই তিনি প্রতিটি কাজ সত্যনির্ণয়ের উদ্দেশ্যে করেন। আত্মজীবনীকে সেইজন্যই তিনি "আমার সত্যের প্রয়োগ” বলেন। এই বইখানি জীবনী-সাহিত্যে অতুলনীয়। নানা ভাষায় এর অনুবাদ হয়েছে।
কিন্ত আরও প্রচারের যথেষ্ট অবসর আছে। মুল বইখানি বা তার অনুবাদ বেশ বড়, সকলের এত বড় বই পড়ার সময় হয় না৷ সেজন্য মহাদেব দেশাই ও শ্রীহরি ভট্ট উপাধ্যায় ১৯৩৯ সালে হিন্দীতে “সংক্ষিপ্ত আত্মকথা” নাম দিয়ে গান্ধীজীর আত্মজীবনীর একটি সংক্ষিপ্ত সংস্করণ “সস্তা সাহিত্য মণ্ডল”__“নঈদিল্লী” থেকে বের করেন। এ বইয়ে মূল আত্মকথার ভাষা যথাসম্ভব বজায় রেখে এবং বড় বড় বর্ণনা বাদ দিয়ে সারাংশ মাত্র দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা সত্যাগ্রহের মূল ঘটনাগুলিও ওতে সন্নিবিষ্ট করা হয়েছে।
বাঙলাতেও সর্বসাধারণের জন্য গান্ধীজীর সংক্ষিপ্ত আত্মকথা প্রচার করা আবশ্যক মনে হ'ল। “সস্তা সাহিত্য মণ্ডল” থেকে প্রকাশিত উক্ত সংক্ষিপ্ত আত্মকথাকেই অবলম্বন করে মূলের ভাব ও ভাষা যথাসম্ভব অব্যাহত রেখে ক্ষুদ্র আকারে এই পুস্তকখানি বের করা হ'ল। উদ্দেশ্য এই-_যাতে অতি অল্লশিক্ষিত লোকও অনায়াসে অল্প সময়ের মধ্যে গান্ধীজী সম্পর্কে একটা! ধারণা করে নিতে পারেন।
বই নিয়ে শুধুমাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, বই নিয়ে শুধু মাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, নতুন প্রজন্ম চকঝমকের আকর্ষণে বইয়ের দিক থেকে ঘুরিয়ে নিচ্ছে মুখ। আমাদের এ আয়োজন বইয়ের সাথে মানুষের সম্পর্ককে অনিঃশেষ ও অবিচ্ছিন্ন করে রাখা। আশাকরি আপনাদের সহযোগিতায় আমাদের এই ইচ্ছা আরোও দৃঢ় হবে। দুনিয়ার পাঠক এক হও! বাংলা বই বিশ্বের বিবিধ স্থানে, সকল বাংলাভাষীর কাছে সহজলভ্য হোক! সাধ্যের মধ্যে থাকলে বইটি কিনবেন এই প্রত্যাশা রইলো।
0 Comments