Ticker

6/recent/ticker-posts

উপন্যাস সমগ্র ০৩ - শওকত ওসমান

উপন্যাস সমগ্র ০৩ - শওকত ওসমান উপন্যাস সমগ্র ০৩ - শওকত ওসমান

শওকত ওসমান এটি লেখকের ছদ্মনাম। তার আসল নাম শেখ আজিজুর রহমান। পিতা: শেখ মোহম্মদ এহিয়া, মাতা; গুল আর্জান বেগম। জন্ম ২ জানুয়ারি ১৯১৭, পশ্চিম বঙ্গের হুগলি জেলার আরামবাগ মহকুমার খনাকুল থানার সবলসিংহপুর গ্রামে। পাড়ার নাম মেহেদি-মহল্লা।
গ্রামের মাদ্রাসার লেখা-পড়া শেষে ১৯২৯-এ ভর্তি হন কলকাতার মাদ্রাস-এ-আলিয়ায়। ১৯৩৩ সালে এই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রথম বিভাগে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ন হন। ১৯৩৪-এ সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে ভর্তি এবং ১৯৩৬ সালে প্রথম বিভাগে আই.এ.পাস করেন। এখান থেকেই বি.এ পাস ১৯৩৯ সালে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় বিভাগে বাংলায় এম. এ. ১৯৪১ সালে।
ছাত্র জীবনেই বিয়ে করেন হাওড়া জেলার ঝামটিয়া গ্রামের শেখ কওসর আলী ও গোলাপজান বেগমের কনিষ্ঠ কন্যা সালেহা খাতুনকে ১৯৩৮ সালের ৬ই মে।
১৯৪১ সালে কলকাতা কমার্স কলেজে বাংলার প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। দেশ-বিভাগের পর অনেকটা এ্যাডভেঞ্চারের মত করে অপশান দিয়ে চট্টগ্রাম গভর্ণমেন্ট কমার্স কলেজে যোগ দেন। ১৯৫০ সালে দুই বাংলায় বড় চট্টগ্রামে তার সঙ্গে যোগ দেয়। তখন থেকে চট্টগ্রামে ৩৪বি চন্দনপুরায় বসবাস করেছেন। ১৯৫৮ ঢাকা কলেজে বদলি হয়ে আসেন এবং পূর্বে মোমেনবাগে কেনা জায়গায় বাড়ি করেন এবং আমৃত্যু ৭এ মোমেনবাগে কাটিয়ে গেছেন।
১৯৭০ সালে সহকারী অধ্যাপকের পদ লাভ করেন। ১৯৭১ সালে যুদ্ধ চলাকালীন সময় কাটান কলকাতায় । ১৯৭২ সালের ১লা এপ্রিল চাকরি শেষ হবার আগেই অবসর গ্রহণ করেন, লেখায় পুরো সময় দেবেন বলে।
১৯৭৫-এ ১৫ই আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হলে ভীষণ মনোকষ্টে ভোগেন এবং বাংলাদেশ ত্যাগ করে কলকাতায় আশ্রয় নেন। ফিরে আসেন ১৯৮১ সালে ।
ভ্রমণ করেছেন নানা দেশ : পাকিস্তান, ভারত, ইংল্যাণ্ড, ফ্রান্স, সোভিয়েত ইউনিয়ন, তুরস্ক ও ইরান।
১৯৯৮-এ ২৯-এ মার্চ হঠাৎ সেরিব্রাল এ্যাটাকে আক্রান্ত হন। ১৪ই মে সকাল ৭-৪০ মিনিটে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
ছেলেবেলা থেকেই লেখালেখি শুরু করেন। প্রথম কিছুদিন লেখেন কবিতা। পরে আসেন গদ্যে। নিরন্তর লিখে গেছেন, নাটক, গল্প-উপন্যাস, প্রবন্ধ, রস-রচনা, রাজনৈতিক লেখা, শিশুতোষ রচনা, এমন কি কাব্য রচনাও করেছেন ব্যাঙ্গ আকারে। অনুবাদও করেছেন প্রচুর। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত অক্লান্তভাবে লিখে গেছেন। বাংলা একাডেমী, স্বাধীনতা ও একুশে পদকসহ পেয়েছেন দেশের সব পুরস্কার ও পদক। তার জননী', ‘ক্রীতদাসের হাসি’, ‘রাজসাক্ষী ও জলাংগীসহ বেশ কিছু ছোটগল্পের সংকলন ইংরেজিতে অনূদিত হয়েছে।
তার পরিবারের সব সদস্যই শিল্পী। জ্যেষ্ঠ পুত্র বুলবন ওসমান সাহিত্যিক-চিত্রশিল্পী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চরুকলা ইন্সটিটিউটের শিল্পকলার ইতিহাসের প্রফেসর। মধ্যম পুত্র আসফাক ওসমান মৃৎশিল্প-শিল্পী। তৃতীয় সন্তান ইয়াফেস্ ওসমান স্থপতি। কনিষ্ঠ পুত্র জানেসার ওসমান চলচ্চিত্র নির্মাতা।

৩য় খন্ডে রয়েছে ৪টি উপন্যাস;

নেকড়ে অরণ্য
জলাংগী
পতঙ্গ পিঞ্জর
আর্তনাদ

Download and Comments/Join our Facebook Group